বিসিবির সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে ক্রিকেট একটি সংকটের মুখে পড়েছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে বাংলাদেশে ক্রিকেট ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড কূটনৈতিক যোগাযোগে ব্যর্থ হয়েছে। মঙ্গলবার এটিএন নিউজে এক দাবি এক দেশ ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় টকশোতে আরও অংশ নেন সাইদুর রহমান শামিম, হান্নান সরকার।
সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন বলেন, আইসিসি ক্রিকেট দ্বি-স্তরবিশিষ্ট করার প্রস্তাবের পর আমাদের উচিত ছিল অন্যান্য দেশের সঙ্গে যৌথ অবস্থান নেওয়া। সংশ্লিষ্ট তিন দেশের বাইরে অন্য দেশকে আমাদের বলা উচিত ছিল তোমাদের এই ক্ষেত্রে আমরা সমর্থন দেব আমাদের এই প্রস্তাবে তোমরা সমর্থন দেও। কিন্তু আমরা আমাদের স্বার্থের কথা বলেছি তাদের স্বার্থের কথা বলিনি। ফলে কঠিন সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। তিনি বলেন, এই ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও লাভ হবে না।
ভারতের ক্রিকেট বোর্ড খুবই শক্তিশালী। সেখানে সরকারের কোনো ক্ষমতা নেই। এমনকি ক্রিকেট বোর্ডে ভারত সরকার কর আরোপ করতে পারেনি। সেখানে আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের কোনো পেশাদারিত্ব নেই। কোনো ঘটনা ঘটার পর তারা সিদ্ধান্ত নেয় কি করতে হবে।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনূর্ধ্ব ১৯ দল যখন চলে গেল তারপরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হল তোমরা গেলে কেন? সমস্যা হওয়ার আগেই যেখানে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা সেখানে যদি পরে নেন কিছুই করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের ক্রিকেট বোর্ড সরকারি নিয়ন্ত্রণে চলে। পেশাদারিত্ব নেই, এখানে কোনো নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা নেই। প্রকল্প এবং বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা নেই। আমাদের সমস্যা আমাদের স্বার্থ ঠিকভাবে বুঝতে পারছি না।
সাবের হোসেন বলেন, আইসিসিতে তিন মোড়লের প্রস্তাব পাস হলে সাকিব হয়ত আর সাকিব থাকবে না। দেশের মানুষের মধ্যে আগ্রহের ভাটা পড়বে। রাতারাতি হয়ত ক্রিকেট ধ্বংস হবে না। তবে দীর্ঘ মেয়াদে থাকবে না। গ্রামবাংলার ক্রিকেট থাকবে না।
এরচেয়ে বড় কথা হচ্ছে অন্যান্য ৮ দেশের ক্রিকেটের মান উন্নতি হবে। মানে আমরা কখনো প্রথম ক্লাবে যেতে পারব কিনা সন্দেহ আছে। আমরা ক্রিকেট নিয়ে যে দরকষাকষি করতে পারতাম শুধু ক্রিকেটের পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে আজ কঠিন সংকটের মুখোমুখি হয়েছি। তার প্রমাণ এই ঘটনার পর বিসিবির তিন রকমের বক্তব্য। এখন টেস্ট ক্রিকেট দ্বি-স্তরবিশিষ্ট হলে কাগজে কলমে আইসিসির পূর্ণ সদস্য থাকব।
তবে বাস্তবে কোনো ভূমিকা থাকবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।