আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাতিয়া থানায় ৪টি জি.ডি করেও সন্ত্রাসী নিরব বাহিনীর হাত থেকে জীবন রক্ষা করতে পারেনি মেয়ে রাবেয়া ও মা সবুরা খাতুন

বন্ধুদের নিয়ে বাঁচি

হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া পৌরসভারর ১নং ওয়ার্ডের দিনমজুর আনসারুল হক এর মেয়ে ১৪ বয়সী কিশোরী মেয়ে রাবেয়া আক্তার (সীমা) কে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা গত ৭ই মার্চ ২০০৯ ইং তারিখ রাত্রে বসত ঘর থেকে অপহরন করে নিয়ে যায় এর পরদিন ০৮.০৩.২০০৯ ইং তারিখে হাতিয়া থানায় ২৪০ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। ডাইরী করার ৪দিন আগে সন্ত্রাসীরা সাবুরা খাতুনকে স্বপরিবারে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। অন্যথায় মেরে ফেলা হবে এর পর পুনরায় থানায় জি.ডি করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এরপর সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে যায় বলে সবুরা খাতুন জানান। সবুরা খাতুন জানান তার স্বামী আনছারুল হক চট্টগ্রামের ইটের ভাটার শ্রমিক হিসাবে কমৃরত ঘটনার রাত্রে সবুরা খাতুন তিন মেয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

বসত ঘরটি জরাজির্ন ও চর্তুদিকে বেড়া অরক্ষিত থাকার সুবাদে ৭ই মার্চ রাত্রে ১০টায় সন্ত্রাসীরা ঘুমন্ত রাবেয়া আক্তার (সীমা) মুখে কাপড় চাপ দিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায় এর পরদিন পার্শ্ববতী একটি শুকনো খড়ঘরের মধ্যে সীমার ব্যবহারিত সেন্ডেল ও চুলের ক্লিপ পাওয়া যায়। সবুরার ধারণা তার মেয়েকে ধর্ষনের পর হত্যা করে সন্ত্রাসী নিরব, আমজাদ, মঞ্জু, জাবের, জাহের, আতিক ও পারভেজসহ ১৬জন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেই জি.ডি করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়ে অপহরন করেছে সন্ত্রাসীরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশ এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নিরূপায় হয়ে সবুরা খাতুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল জজ আদালত নোয়াখালীতে ০৬.০৪.২০০৯ ইং তারিখে নাঃ শিঃ নিঃ পিটিশান মামলা নং ৬০/২০০৯ দায়ের করেন। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্ট্রেট শাহিদুজ্জামান কাউছার বিচার বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট দায়ের করেন, রিপোর্টে উল্লেখ করেন যে, স্বাক্ষীদের পক্ষে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বাদিনীর মেয়ে ভিকটিম রাবেয়া আক্তার সীমাকে প্রথমে প্রাণ নাশের হুমকি, ঘটনার তারিখে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র শস্ত্র সর্জ্জিত হয়ে ০৭.০৩.২০০৯ ইং তারিখে রাবেয়াকে অপহরন করে নিয়ে যায়। ৩১.০৩.২০০৯ ইং তারিখে রাবেয়ার মৃত্যু দেহের হাড় মাথার চুল, কোমড়ের রশি ও সেন্ডেল সন্ত্রাসীদের সহযোগী বেলাল উদ্দিনের ব্যবহারিত টয়লেটের সেপটি ট্রাংকি উপর মাটি ভরাটকৃত নতুন মাটি খুড়ে হাতিয়া থানার ২জন পুলিশ সদস্য ইউসুফ ও জামাল এর উপস্থিতিতে উদ্ধার করা হয় আলামত এবং থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

রাবেয়াকে অপহরনের পূর্বে তাকে হত্যার অপহরনের পর হত্যার হুমকির প্রেক্ষিতে সুবরা খাতুন ০২.০৩.২০০৯ ইং তারিখে ৭৬নং সাধারন ডাইরী করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা রাবেয়াকে অপহরন পর ধর্ষনের পর হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে, সবুরা খাতুন অপহারিত কন্যা উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশ সুপার নোয়াখালী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার গ্রহণ নং ১০৫৭। পুলিশ সুপারের বরাবরে আবেদনে প্রেক্ষিতে হাতিয়া থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের পরামর্শ দিলে সাবুরা খাতুন ০২.০৪.২০০৯তারিখে লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এরপর ওসি. হাতিয়া থানা মামলা হিসাবে রুজু করেন নাই।

তদন্ত রিপোর্ট উল্লেখ করেন সম্ভবত আসামীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ কর্মকর্তা সবুরা খাতুনকে মামলা দায়ের করা থেকে দুরে রেখেছে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্টেট নোয়াখালী ৩০.০৪.২০০৯ ইং তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনের আলোকে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেন। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত থেকে আসামীদের জামিনের জন্য সহযোগীতা করছেন। আসামীরা জামিনে এসে সবুরা খাতুনকে মেয়ের মত অপহরন করে লাশ গুম করা হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

০৮.০৮.২০০৯ তারিখের হুমকির পর ০৯.০৮.২০০৯ ইং তারিখে ৩৫৭/২০০৯ সাধারন ডাইরী করা হয়। এতে সন্ত্রাসীরা আসামীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ০৭.১১.২০০৯ ইং তারিখে সবুরা খাতুনকে অপহরনের চেষ্টা করেন স্থানীয় জনসাধারনের সহযোগীতায় প্রাণে রক্ষা পায়। উক্ত ঘটনায় উল্লেখ ০৮.১১.২০০৯ ইং তারিখে ৫০০/২০০৯ ইং তারিখে সাধারণ ডাইরী করেন। এই ডাইরী করার পর ১৫.১২.২০০৯ ইং তারিখে বাজার থেকে বাজার করে বাড়ী ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা অপহরন করে নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন একটি ধান ক্ষেত থেকে সবুরার ক্ষতি বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। ইতিপূর্বে সবুরার স্বামী আনছারুল হক হাতিয়া থানার ওসি পরামর্শে একটি এফ আই আর ভুক্ত করেন কোন আসামীর নাম উল্লেখ না করে আসামীরা নিজেদের নির্দোষ প্রমানের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করে নিরাপরাদ বোরহানের বিচার চেয়ে জি.ডি অন্তভুক্ত আসামীরা মিছিল নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য জি.ডি অনুযায়ী আসামীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আসামীরা সার্বক্ষনিক ওসি রুমে অযথা থানায় বসে থাকে।

আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সবুরার স্বামী আনছারুল হক দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য হুমকি দিচ্ছেন অন্যথায় রাবেয়া ও সবুরার মত অবস্থায় পড়তে হবে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে প্রকাশে কেই কথা বলছেন না এলাকাবাসীদের ধারণা নিহত সবুরা খাতুনের দায়ের করা ডাইরীতে উল্লেখিত আসামীদের গ্রেপ্তার ফলেই প্রকৃত হত্যা কারীদের পাওয়া যাবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.