নিজের কথা প্রকাশে ব্লগের চাইতে ভালো কিছু আর কিইবা হতে পারে।
গত কিছুদিন আগে আওয়ামিলীগের ১/১১ এর সংস্কার বাদীদের দেখেছি - কি না বেহাল অবস্থা।
তারা শেখ হাসিনার আশে পাশে ঘুরঘুর করে, টেপ দিয়ে টেনে রাখা হাসি নিয়ে হাত কচলায়, নেত্রীর দৃস্টি আকর্ষনের কত না চেস্টা। চোখমুখ ভিজিয়ে আল্লার কাছে দু হাত তুলে ফরিয়াদ করে - কেন তার দিলে দয়া দাও না?
নেত্রী বলেন - যা করেছো তার জন্য মাফ করে দিয়েছি কিন্তু ভুলে যাই নাই।
বংগবন্ধু আনোয়ার হোসেন মন্জু কে বাকশালের ১১৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১১০ নম্বরে স্থান দিয়েছিলেন।
সেটা ১৯৭৫ সালের জুন।
তার দু মাস পর রক্তাক্ত ১৫ আগস্টের ঘটনায় রাজনীতির পালাবদল হবার কয়েকদিনের মধ্যে আনোয়ার হোসেন মন্জু দৈনিক ইত্তেফাকে স্বনামে প্রসংগ: দেশ ও জাতি শিরনামে উপ সম্পাদকীয় লিখলেন:
".. বাংলাদেশে মানুষের কল্যাণ ও মংগলের নাম করিয়া যে ব্যাবস্থাটি দাঁড় করানো হইতেছিল, আপামর দেশবাসীর মৌলিক অধিকার ও ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে গোটা ব্যাবস্থাটি সেখানে মুস্টিমেয় দ্বারা কুক্ষিগত করা হইয়াছিল, বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছিল গণমানুষের নিয়মতান্ত্রিক আত্মপ্রকাশের পথ। .... এই অবস্থায় প্রকৃতির নিয়মেই একটা পথ সৃস্টি হইয়াছে। .....
এই নতুন রাজনৈতিক পরিবর্তনটি সাধিত হইয়াছে প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে, সেনা বাহিনীর দ্বারা। এই পরিবর্তন সাধনে তরুন সামরিক অফিসারদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
.... এই কাজের জন্য তাঁরা গোটা জাতিরই অভিন্ন্দন লাভের যোগ্য। ... ব্যাক্তি পর্যায়ে কাহারও জন্য দু:খ -শোক বা সহানুভূতি প্রকাশের চাইতেও জাতীয় স্বর্থের দিকটা বড় করিয়া দেখার যে আবশ্যকতা, সেই বিবেচনায় এই নতুন রাজনৈতিক পরিবর্তনকে স্বাগত জানাইতে হইবে। "
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলেন। এবং যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর মতন গুরুত্বপূর্ণ পদটি দিলেন আনোয়ার হোসেন মন্জুকে।
কে বলে শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাপরায়ণ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।