আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশের মাটিতে কিছু আবাল আর সকল বিদেশি মেয়েদের বেশ্যার হবার কাহিনী (১৮+ হতে পারে)

আমার সাথে যোগাযোগ করতে http://bn.jinnatulhasan.com/blog এ ভিজিট করুন।

মাঝে মাঝে পোলাপাইনের কথা শুনলে হাসবো না কাদবো বুঝতে পারিনা। অতিরঞ্জন কাকে বলে... সুঘ্রাণআবদুলকাদের ভাইয়ের কথাই ধরেন। উনি তার সর্বশেষ পোষ্টে বৃটেনে 3W আছে ,সতর্ক থাকবেন ব্রিটেনগামী সব পাবলিককে তিনটি w থেকে সাবধান করে দিয়েছেন। উনি এসেছেন ২ মাস, তাতে উনার যা জ্ঞান তাতে আমার চার বছরের অভিজ্ঞতার জ্ঞান ভান্ডার লজ্জা পাবার উপক্রম।

আমি তার পোষ্টে একটি মন্তব্য করেছিলাম, মন্তব্যটি তিনি সযত্নে ডিলিট করে দিয়েছেন। পুরো মন্তব্যটি মনে নাই, তবুও তার সর্তকবাণীর বিপরীতে কিছু কথা বলতে চাই। ১. আবহাওয়া - লন্ডনের আবহাওয়া খারাপ সবাই জানে, কিন্তু উনি অতিরঞ্জিত করতে গিয়ে বলেছেন এখানে ঠান্ডা লাগলে নাকি ৬ মাসের আগে কেউ সুস্থ হয় না। লোকজন নাকি দেশে ফিরে যায়, নয়তো কষ্ট ভোগ করে। আমি এখন পর্যন্ত কাউকে ঠান্ডার ভয়ে দেশে ফেরত যেতে শুনি নাই, আর কয়জন লোকে ঠান্ডায় কষ্ট ভোগ করে তাও জানি না।

এখানে চার বছরের বার কয়েক গা গরম ছাড়া কোনো রোগ হয়েছে বলে মনে পড়ে না। চিকিৎসা ফ্রি, তারপরের এখানে জিপি রেজিস্ট্রেশন করি না। লন্ডনের ঠান্ডাতেই এই উপদেশ, রাশিয়া কানাডা গেলে উনার কি হবে চিন্তা করতে পারছি না। ২. মদ - বাজারে অন্য পন্যের মতো এখানে মদও বিক্রি হয়। পৃথিবীর সবদেশেই মদ বিক্রি হয়, এটা একটা পন্য।

এতে ভয় পাবার কি আছে? নিজেকে সংযত রাখলেই হল। মদ খাওয়ার তালিকায় ইউকে পৃথিবীর ৯ম, তাহলে অন্য দেশে গেলে তিনি কি বলবেন? Click This Link ৩. নারী - এটা উনার ক্লাসিক সর্তকবানী। ইসলামিক রাস্ট্রগুলো ছাড়া সব দেশেই পরিবার প্রথা খুবই দূর্বল। তাই বলে প্রতিদিনই যে মেয়েরা ছেলে বদলায় এটা ভাবা নিতান্তই বোকামী। মেয়েদের ক্লিভেজ দেখেই উনি টং।

হায়রে দূর্বল লিংগ! কিন্তু এটা উনি ভাবছেন না যে এটা এদেশের সংস্কৃতি। আবার মেয়েরা নাকি হাই হ্যালো বলে আপনার ঘাড়ে বসে পড়বে আর আপনাকে ফতুর করে দেবে। তার মানে কি এরা বেশ্যা? এদের কি কোনো আত্মসম্মান বোধ নাই। পথে ঘাটে হাই হ্যালো বলা ভদ্রতার অংশ, এতেই তিনি ধরে নিয়েছেন যে মেয়েরা তার জন্য ওতঁ পেতে বসে আছে। মেয়েদের কি কোনো খেয়েদেয়ে কাজ নেই।

-------------------------------------------------------- কিছুদিন আগে যখন এক কলিগ (শ্লোভাকিয়ার মেয়ে) জানলো যে আমি বাংলাদেশি সে আমাকে বলল তোমাদের ছেলেগুলো অনেক অদ্ভুত। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কেন? সে বলল কিছুদিন আগে বাংলাদেশি দু'ভাই তার ফ্লাটে পাশের রুমে থাকতো। বাপের টাকায় এখানে থাকে, তাই পড়াশুনা কাজকর্ম নাই। সারাদিন বাসায় থাকতো। আর ওর গোসল শেষ হবার সময় হলেই ওর ঘরের সামনে বসে থাকতো আর যখনই দেখা হত তখনই আলতু ফালতু প্রশ্ন করতো, কোনো পজিশন পছন্দ, থ্রিসাম করেছে কিনা, তার কেমন লাগে, সে করতে চায় কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।

তাদের সাথে মেয়েরা একই ফ্লাটে থাকে তা প্রমান করতে ওই মেয়ের জন্মদিনে নিজেদের বন্ধুদের দাওয়া করে এনেছে। জন্মদিন মেয়েটির অথচ পোলাপাইন ভর্তি বাংলাদেশি। ছেলে দুটোরই সাদা গার্লফ্রেন্ড আছে এবং তারা একই সাথে একই রুমে সময় কাটায় আরোও কিছু কথা বলেছে। শুনতে শুনতে আমার কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। আমি শুধু বললাম, "সরি, ওরা এদেশে নতুন এসেছে"।

তাহলে খারাপ হলো কারা? --------------------------------------------------------- এমনিতেই বিদেশে থাকা পোলাপাইনের চরিত্র নিয়ে দেশে লোকজন কত কথা বলে আর এই ধরনের আবালের লেখা পড়ে আরও মালমশলা পেয়ে যায়। না জেনে, না শুনে কথা বলার প্রভাব যে কত দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে সেটা তাদের জ্ঞানে কেনো ঢোঁকে না বুঝতে পারি না। কই দেশে থাকা লোকজনদের গঠনমূলক উপদেশ, দিক নির্দেশনা দেবেন তা না, নিজের চরিত্রে নিজের কালি মাখছেন। আর অন্যদেরও চরিত্রে কালি লাগাচ্ছেন। ---------------------------------------------------------- জিন্নাত উল হাসান


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.