পাকিস্তানী দুর্বৃত্তরা এদেশ থেকে এমনি এমনি পাততাড়ি গুটায় নি। এদেরকে বাধ্য করা হয়েছিল নাকে খত দিতে। সেই জ্বালা তারা আজও ভুলেনি। দেশ স্বাধীন হবার পর ত সুদীর্ঘকাল স্বীকৃতিই দেয়নি যতদিন পর্য্যন্ত তাদের বশংবদ মীরজাফর জিয়া এদেশের শাসনক্ষমতা কৌশলে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে গ্রহণ করেনি। দীর্ঘদিন নিজের মায়ের সাথে সহবাস করা গোলাম আযম-কে পর্য্যন্ত আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে।
তারপর নিজের দেশের আউ এস আই-কে কাজে লাগিয়ে এদেশে ইসলামী জঙ্গী পাঠিয়েছে যারা আজও নানা ছদ্মবেশে এদেশের নানা মসজিদ-মাদ্রাসায় তাদের জঙ্গী কার্য্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করা হয়, সে ব্যাপারেও তাদের কার্য্যক্রম থেমে নেই। এখন আবার আর এক কৌশল বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত। ২৫ নভেম্বর, ২০০৯ইং-এর প্রথম আলো-তে দেখলাম ভিসা বিষয়ে পাকিস্তানের একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। যে প্রস্তাবে সরকারী ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের দু'দেশে যাতায়াত করতে ভিসা লাগবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাথায় যদি গোবর ভরা থাকে, তাহলে হয়ত তারা এতে আনন্দিত হয়ে প্রস্তাবে সই-ই করে ফেলবে। তাছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এখনো পাকিস্তানী ভূতের আছড় রয়ে গেছে। ভিসা যদি তুলে নিতেই হয়, তাহলে নিজেদের মা-বোনকে ধর্ষণকারী পাকিস্তানকে সে সুযোগ দেওয়া হবে কেন ? তাহলে কি এখনো ওদের হাতে ধর্ষিত হবার খায়েশ রয়ে গেছে ? আর এ সুযোগ পাকিস্তানকে দেওয়া হলে ইসলামী জঙ্গীরা বহাল তবিয়তেই দু'দেশে তাদের কার্য্যক্রম চালিয়ে যে যাবে, এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার আগে এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভেবে দেখুক, কাজটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। খাল কেটে কুমির ডেকে আনার এ এক মোক্ষম রাস্তা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।