কি লেখি না লেখি... ভেবে পাই না কূল।
একটি ছেলের গল্প। সেই টিপিক্যাল কাহিনী। ছেলেটি ঢাকার বাইরে কোন এক শহরে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে। দেশের বাইরে যাওয়ার চেস্টা করে, ব্যর্থ হয়।
অতঃপর ঢাকায় আসে ছেলেটি। ভালো একটা প্রাইভেট ভার্সিটীতে ভর্তি হয়। একের পর এক সার্কেল তৈরী হয়। কিন্তু গল্পটা এখানে ইউটার্ন নেয়।
একটা নতুন ছেলে তাদের সার্কেলে ঢুকে।
তারা আগে আড্ডায় টুকটাক কার্ড খেলত। নির্দোষ টু্যেন্টি নাইন অথবা কলব্রীজ। এগুলা তো মেয়েদের খেলা, খেল্ থ্রী-কার্ডস্, ছেলেটি বলে। ১টাকা ২টাকা বোর্ড খেল্। খেলা শেষে সবাই মিলে চা-নাস্তা খেয়ে ফেলব, ছেলেটি যোগ করে।
খেলাও হলো, মজাও হলো.... খারাপ কি? সবাই রাজি হয়। ঠিক আছে, চল খেলি। কিন্তু তারা নিজেরাও জানে না যে বীজ তারা আজ বুনলো, একদিন সেই বৃক্ষই তাদের সার্কেলকে কালো ছায়ায় ঢেকে দেবে।
খেলা চলতে থাকে, অনিয়মিত। কিন্তু নতুন আসা ছেলেটি তাদের সার্কেল থেকে গায়েব হয়ে যায়।
একসময় খেলাটা নিয়মিত হয়ে যায়। ইটস পিয়র গেম্বলিং, ছেলেটি ভাবে। বোর্ড ১/২ টাকা থেকে ৫/১০ টাকা হয়। বাইরে থেকেও অনেক গ্রুপ খেলতে আসা শুরু করলো। কিন্তু ছেলেটা আর জিততে পারে না।
একসময় সে জিতা শুরু করে। জিততেই থাকে। বাকিরা জেলাস হয়। মানুষের লাক এত ভালো হয় কিভাবে? ছেলেটার আর ভাল্লাগে না। সে খেলা কমিয়ে দেয়।
হঠাৎ একটা ব্যাপার সে আবিষ্কার করে। তার খুব কাছের দুইটা ফ্রেন্ড একের পর এক লিড জিতে যাচ্ছে। হতবাক হয়ে যায় সে। ওরা তো চিট করছে। একজন খেলছে, অন্যজন কার্ড রেডি করে দিচ্ছে।
ওয়াট ডা এফ!!! অন্য ফ্রেন্ডরা হারতেই থাকে। ছেলেটা সহ্য করতে পারে না। আলাদা আলাদা করে দু্ইজনকে বাইরে নিয়ে কথাটা বলে। তারাও অবাক হয়ে যায়। এটা কিভাবে সম্ভব?
ব্যাপারটা ফাস হওয়ার পর কিছুদিন খেলা বন্ধ থাকে।
কিন্তু পতন একবার শুরু হলে কি এত জলদি শেষ হয়। আবারও শুরু হয়, জুয়া। এইবার ছেলেটি আর খেলে না। খুব দুঃখ হয় তার। আগে সবাই মিলে রাতে ঘুরত।
বনানী ব্রীজে যেত, নৌকায় ঘুরত। আর এখন.... সবাই টাকার পিছনে ছুটছে। বন্ধুদের চিট করে হলেও টাকা তাদের চাই-ই চাই। কিন্তু আফসোস, তাদের সার্কেলটা ভেংগে চৌচির। টাকার স্রোতে বন্ধুত্বের বাঁধন যে ভেন্গে গেছে।
এখন আর ঘোরা হয় না, আড্ডা হয় না। কথা মানেই জুয়া। ট্রয়, থ্রি সিক্স নাইন, ফ্লাশ।
ভালো লাগে না। দুঃখ হয় ছেলেটির, খুব দুঃখ হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।