পিলখানা, বিডিআর, আর্মি, পুলিশ, আনসার, হেলিকপ্টার, ট্যাংক, মর্টার, বিদ্রোহ, ষড়যন্ত্র, দেশ, বিদেশ- সব মিলে জট পাকিয়ে গেছে মাথার ভেতর। কখনো খুলবে না জেনেই খোলার পথে পা বাড়াইনি কখনোই। কারো মামা, চাচা, কাকা, বন্ধুর ভাইয়ের মারা যাবার খবর অথবা বিচারাধীনের খবর শুনে শুনে উহ! আহ! করা আর তার পরে ভুলে যাওয়া, এইতো চলছে! ওখানে মারা যাবার মত কাছের কেউ থাকবে, এত উচ্চস্তরের নাগরিক আমি নই। মাঝে মাঝে কেউ কেউ কোন এক অচেনা প্রাণীর মত করে ডেকে ওঠে, 'দেশ গেল, দেশ গেল' রবে। তাদের ধারনা, এবার আরেকটু হলেই বিদেশীরা আমাদের সীমানা অতিক্রম করে ফেলতো! যেন আগে বিদেশীরা এটা পারতো না!
ভালোই কিন্তু লাগছে! নিজেদেরকে কেমন যেন গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় এসব শুনে! মনে হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের দেশের ব্যাপক কদর বেড়েছে। তবে প্রথম দিন বিবিসি সাংবাদিকের মুখে কেমন একটা বাঁকা হাঁসি দেখেছিলাম যেন! হয়তো চোখের ভুল! নীচ চোখ আরো কত কিছুই তো দেখে! মরা হাতির দামও যে লাখ টাকা, সেটাও তো এই চোখেই দেখা! শালার চোখ হইসে ব্লাডি সিভিলিয়ানের চোখ, ভাল কিছু দেখে কিভাবে? এই যে এত এত অফিসার মরে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল, তার জন্য কই একটু চোখের পানি ফেলবো, তা না করে খুঁজে বেড়াচ্ছি আরও কটা ব্লাডি সিভিলিয়ানের লাশ পড়লো সেই সংখ্যাটা! আফসোস! শেখার আছে অনেক কিছু! সাধে কি আর পাছায় ব্লাডি সিভিলিয়ানের তকমা লাগানো! এই তকমা নিয়ে বহু কষ্টে প্যান্টটা পরে আছি!
আরে ব্রাদার! মিলিটারি লাইন হইলোগিয়া চ্যালেঞ্জিং জবের লাইন। সারা দুনিয়ায় এইরকম চ্যালেঞ্জিং জব আর কয়টা আছে? কি ভুলটাই না করেছিলাম খাঁকি পোষাক না পরে! এই অমোঘ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হল না! কই একটু সকালবেলা বুক ডন দেব, তা না করে করছি ব্লাডি সিভিলিয়ানের মত শান্ত-সুনিশ্চিত জীবন যাপন! মরা হাতি কি আর সাধে লাখ টাকা? তবু মাঝে মাঝে মনে হয়, ঐ পাঁচ-ছ'টা লাশেরও যদি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ...... হে! হে! কি সব কই আর না কই! তবে ব্রাদার, লাশের বদলে এটলিস্ট কিছু টাকা কি পাওয়া যেত না?
দূর্বল মাথায় খালি এইটুকুই বার বার আসছে; জীবনের চ্যালেঞ্জে আমরা হেরে গেছি! শালার ব্লাডি সিভিলিয়ান!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।