আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ান।
আমরা কারো পক্ষে নাই। না বিডিআর, না আর্মি।
তারা মরছে তাগো হালুয়া রুটির (ডাল-ভাত) ভাগাভাগি লইয়া। আমরা সেই হালুয়া রুটির ভাগ কোনকালেই পাই না।
পাওয়ার সম্ভাবনাও নাই। আমাগো হাতে তো বন্দুক নাই।
আমরা তাগো বেতন ভাতা দেই। সেই বেতন ভাতায় তাগো চলে না। তাগো দরকার সুন্দরী নারী, বোতল ভর্তি মদ, একের পর এক ফ্লাট, গাড়ির পর গাড়ি, সংসদ ভবন, রাজনীতি, মন্ত্রিত্ব - কত কিছু।
এমনকি মাঝে মাঝে রাষ্ট্রের গদিটাও তাদের দরকার হইছে।
আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ান, খালি মাথা গোঁজার একটা ঠাইয়ের জন্য কত মাথা কুইট্টা মরি। আমাগোর বাড়ি নাই, গাড়ি নাই, নারী নাই। তবু আমরা চুপ কইরা থাকি। তাগোর হাতে যে বন্দুক।
তারা এই বার হালুয়া রুটির ভাগ লইয়া মরসে। এর আগেও গোটা রাষ্ট্রটা তারা কতবার ভাগ বাটোয়ারা কইরা নিছে। আমাদের গণতন্ত্র, সংবিধান কুটি কুটি কইরা ছিড়া ফালায়া দিছে। আমরা কিছু বলি নাই। তাগোর হাতে যে বন্দুক।
হালুয়া রুটির ভাগাভাগিতে একপক্ষ এখন ভিলেন। আরেকপক্ষ নায়ক। আবার কে কখন নায়ক ভিলেন হবে তার ঠিক নাই। এই টম এনড জেরির খেলা দেইখা আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ানরা বকরী ৩নং বাচ্চার মতো লাফাইতাছি।
কখনো এই পক্ষে , কখনো ওই পক্ষে।
যখন যার হাতে বন্দুক থাকে তার পক্ষে।
কিন্তু তাগো জন্য শোক জানানোর কিছু নাই। তারা তো দেশের জন্য মরে নাই। মরছে হালুয়া রুটির ভাগাভাগির কাইজ্জায়। আরও মরতে পারে।
তাদের এই সব মৃতু্যর মধ্যে আমাদের ভাগ্য বদলের কোন সম্ভাবনা নাই। বরং আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তারা দুই দলই দায়িত্বহীন আচরণ করছে।
আমরা বকরীর ৩নং বাচ্চা ব্লাডি সিভিলিয়ানরা যুগের পর যুগ লোডশেডিং, যানজট, বেকারত্ব, হরতাল, সংগ্রাম নিয়া বেশ আছি। তারা আমাদের কোন দুর্দশার ভাগীদার না।
তাদের হালুয়া রুটিরও ভাগীদার আমরা না। তাই শোকের ভাগীদারও হইতে পারিলাম না। দুঃখিত ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।