আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাছের তেলে বেগুন ফ্রাই

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

গত সপ্তাহে ঢাকা গিয়েছিলাম আমরা ২বোন মামার সাথে। আমরা ২বোন এক পাশে, মামা আরেক পাশে। আমরা বিকাল ৪টার দিকে রওনা দিয়েছিলাম তাই মাগুরার কাছাকাছি থাকতেই রাত হয়ে গিয়েছিল। আমাদের পিছনে সিটে ২জন লোক বসেছিল, তাদের ভাবভঙ্গি দেখে মনে হল তাদের সামনে পিছনের ৪টা সিটও তাদের দিলে হাত রাখার জায়গার অভাব হবে। কিছুক্ষণ পরপর তারা আমাদের সিটে হাত দিচ্ছিলো।

আমি সামনের দিকে ঝুকে থাকায় বুঝি নি। কিন্তু চানাচুর ওরফে মতিন জার্নি করতে পারে না, সে আধমরার মত পড়েছিল। পিছনের লোক পেয়ারা চিবাচ্ছে আর খোসা নিজের জানালা দিয়ে না ফেলে মতিনের জানালা দিয়ে ফেলছিলো। এরপর জানালা বন্ধ করে দেয়ায় লোকগুলো কোথায় খোসা ফেলবে খুজে পাচ্ছিলো না। তাই সামনের সিটের মানুষের গায়ে মারাটাই মনে করলো বুদ্ধিমানের কাজ!! প্রথমে একটু খোসা মারলে ধড়মড়িয়ে মতিন লাফিয়ে উঠলো।

আমি মতিনের স্বভাব জানি তাই ভাবলাম এখানে তো তেলাপোকা আসার কথা না! ও এমনি এমনি লাফাচ্ছে! কিন্তু ও মোবাইল চাইলো, মোবাইলের আলোতে আমাকে দেখালো পেয়ারার খোসা। আমি আর মতিন বিরক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে ইতর বলে চুপ করে বসে থাকলাম। আবার কিছুক্ষণ পর পেয়ারা চিবিয়ে খোসা মারলো, এবার বেশ অনেকখানি। মতিনের ওড়নায়। আমি বিরক্ত হয়ে দাড়িয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখলাম, ২জনে মরার মত ভাব মেরে ঘুমানোর ভান ধরেছে।

আমি ওপাশে মামাকে বললাম। মামা না বুঝে শুধু ও বলল। মামার পাশের লোকটা কিছুটা বুঝলো সে কি একটা বলল। কিন্তু ২ বদমায়েশ তো নাদান, তারা কিচ্ছু বুঝে না! মনে একটা কষ্ট হতে লাগলো, এভাবেই না বলে কি ছেড়ে দিতে হবে এই নীচলোক গুলোকে! আমাদের বাস ফেরিতে উঠলো। সবাই নেমে বাইরে চলে গেলাম, বাসের ভেতরটা অন্ধকার।

আমি আর মতিন ৫মিনিট নিচে নেমেই আবার বাসে এসে দেখি পুরো বাস ফাকা, আমি মামার পাশের লোকের পানিটা নিয়ে মতিনের সিটের পিছনের সিটে ঢেলে দিলাম বেশ খানিকটা। আমাদের কাছে পানি ছিল না, ছিল জুস। তাই অন্যের পানি নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। আর ভাবলাম, ঐ লোকগুলো যদি বলে কে পানি ফেলেছে, বলবো আমি তো আগেই বললাম কে যেন পেয়ারার খোসা মেরেছে! তাদেরই কাজ এটা! আমি নিশ্চিত! কিন্তু মানুষ ভাবে এক হয় আরেক! লোকগুলো এসে বসলো। যার সিট ভেজা সে বিড়ালের মত মিউমিউ করে বললো, সিটটা ভিজে গেছে! এরপর সে বাকিটা সেই ভেজা সিটে কোনরূপ ঝামেলা না করেই ঢাকা গেল।

আমি জানি ইভ টিজিং অনেক ভয়াবহ হয় সে তুলনায় এটা খুবই নগন্য টিজিং। আর সিটে পানি ফেলাটাও খুব আহামারি কাজ না। তবুও এই প্রথম আমি এ ধরনের কর্মকান্ডের বিপরীতে কিছু করেছি আর শান্তি পেয়েছি তাই ভাবলাম ঘটনাটা সবার সাথে শেয়ার করি। টাইটেল সৌজন্য: টুশকি

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।