আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্থে, অস্ত্রে আর বুদ্ধিতে শ্রেষ্ঠ হবার বিকল্প নেই। নচেৎ ললাটে নপুংসক পররাস্ট্রনীতিই বরাদ্ধ। প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ।

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!

আমাদের একটা গালভরা পররাস্ট্রনীতি রয়েছে। কাহারো সাথে শত্রুতা নয়, সবার সাথে বন্ধুত্ব। কিন্তু হাস্যস্পদ এ নীতির ব্যাখ্যা নেই যদি কেহ আমার পশ্চাৎদেশে বংশ প্রদান করে, বা কেহ আমার পাকা ধানে মই দেয় বা বাড়া ভাতে ছাই দেয়, বা বাড়ির সীমানায় অনুপ্রবেশ করে, বা মুরগীটা ধরে নিয়ে যায় তাহা হইলে কি করিব? উত্তর হৈল- আলোচনা করিব। যদি অপরপক্ষ আলোচনায় না আসে, বা আসলেও বলে যে- যা ব্যাটা মুরগী নিয়েছি তো কি হয়েছে? যা পারিস কর! তাহলে কি করিব? উত্তর হৈল- এলাকার ময় মুরুব্বি বা মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিব। কথা হৈল- এসব বিচারক যদি অলরেডী লুটেরা গোস্ঠীর খালাতো ভাই, মামাতো ভাই হয় তাহলে কোথায় যাব? আসলে শেষতক ন্যায়বিচারের বা ইনসাফের ফয়সালা হয় যুদ্ধেই।

বদলোকের সাথে সেক্ষেত্রে শক্তি-প্রয়োগের দরকার পড়তে পারে। আর এ শক্তি হল অস্ত্র, অর্থ ও শিক্ষা বা বুদ্ধির মিশ্রন বা কোনটির অনেক বেশী অর্জন। সমাজে ব্যক্তি বা পরিবারের সম্মানজনক বসবাসের এ সমীকরন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও সমভাবে প্রযোজ্য। উপরন্তু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সে অর্থে কোন ন্যায্য আদালত না থাকায় অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধির সম্ভার খুবই জরুরী। বাংলাদেশ নামক আন্তর্জাতিক মাইনকা চিপায় পড়া রাস্ট্রটির কর্তারা তা না করে হাড়ি ডোম জেলে ডাকাত সবার সাথে নির্বিশেষে চুক্তি বা জোট বা ভাষন ইত্যাদির মাধ্যমে 'সম্মান' সহকারে টিকে থাকতে চাচ্ছে।

এটা একটা নপুংসক প্রচেস্টা। পশ্চিম, উত্তর ও পূর্বের বিরাট সীমানায় আমরা ভারত বন্দী- যেটি মোটাদাগে একটি আগ্রাসী, অভ্দ্র ও হিংসাত্বক রাস্ট্র; পুবের বাকিটা বার্মা নামক একটি মগের মুল্লুক যার শাসক একদল দস্যু। বাকি রইল দক্ষিনের সাগর। মানচিত্রের ফাঁপড়ে ঐদিক দিয়া ভারত-বার্মার ছেদবিন্দুতে আমাদের বন্দী হওয়ার দশা। ইজারা, টেন্ডার, ট্রানজিট, বিচার, বকোয়াজে মত্ত বর্তমান ও আগেকার প্রায় সকল শাসকগোস্ঠীর ক্ষমার অযোগ্য মৌনতার কারনে আমরা বন্দী হওয়ার পথে।

নানান দিক থেকে হাউকাউয়ের কারনে কি একটা আর্জি নাকি পেশ হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ইউ এন, মার্কিন প্রভাবিত বিদ্যমান রাস্ট্রব্যবস্থায় গিজগিজ করা ভারতীয় প্রেক্ষাপটে এসব 'কেতাবী' আদালত থেকে কি ফায়দা পাওয়া যাবে তা ভুমন্ডলে একবার চোখ ঘুরালেই দেখা যায়। অস্ত্র ও অর্থ আছে বলেই যুক্তরাস্ট্র দাদাগিরী করে। সম-আয়তনের কানাডা বা ব্রাজিল কে কেউ পোছেনা! এমনকি শুধু অস্ত্র থাকলেও কমনা। উত্তর কোরিয়ার উপর হামলাটা অনেক আগেই হত! ভয় একটাই- হালারা যদি পারমানবিক বোমা ফাটিয়ে দেয়!! ইরাকের কাছে কিছুই নেই জানার পরই আমেরিকা হামলে করেছে- এটা নিশ্চিৎ বলা যায়! অগাধ টাকা আর প্রযুক্তির কারনেই জাপানের এত দাম।

সৌদি, আমিরাত, কুয়েতের যা একটু দাম সেটা অর্থের জন্য। ফ্রান্স, জার্মানী, ব্রিটেনের সরব কন্ঠও অস্ত্র-অর্থ-প্রযুক্তির খুটির জোরে। চীনেরও তা। আগ্রাসী ভারত এখন পর্যন্ত পাকিস্তানকে সহ্য করছে ঐ 'পোড়া কপাইল্যা' পারমানবিক বোমার কারনেই। আর নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের উপর রক্তচক্ষু ভারত গণচীনের লালদরবারে 'সালাম নমস্তে, বা হরি ওঁ' ক্যামনে হয় সে কারণ ও কারো অজানা নয়।

৫৫০০০ বর্গমাইলের সীমানার বাইরে আমরা ১ ইন্চিও বাড়তে পারবনা, কিন্তু চাইলে ধনী হতে পারব, অস্ত্র সম্ভার গড়ে তুলতে পারব ও শিক্ষিত হতে পারব। যদি ইচ্ছা করি ও সে মতে আগাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.