দলটির অভিযোগ, এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপ্রধান ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।
বুধবার সকালে এক আলোচনা সভায় বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে চড়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। এটা ক্ষমতার পুরোপুরি অপব্যবহার। ”
“আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী নৌকার পক্ষে ভোট চাইলে ভোট কেন্দ্রে ভোটের সামগ্রি পোঁছাবে না। বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো ভোট এদেশে হবে না।
”
সম্প্রতি সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দলের পক্ষে ভোট চাইতে দেখা গেছে। এ ধরনের ঘটনাকে নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন বলে বিএনপি অভিযোগ করলেও নির্বাচন কমিশন বলছে, তফসিল ঘোষণার আগে এতে বিধি লঙ্ঘন হয় না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে মাহমুদুর রহমান মুক্তি পরিষদের উগ্যোগে ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বিপন্ন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভা হয়।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারণার সমালোচনা করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “রাষ্ট্রীয় টাকায় প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় জনসভা করে বেড়াচ্ছেন। হেলিকপ্টারে চড়ে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন।
নিজ দলের পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভোট চাইছেন। ”
নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন হলে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর সমান সুযোগও নিশ্চিত হবে না- মন্তব্য করে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে ভোট চাচ্ছেন। তাহলে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ”
সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ বলেন, “সাংবিধানিকভাবে আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের মেয়াদ আছে। এরপর অন্তবর্তীকালীন সরকার হবে।
আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিম সাহেব বলেছেন, ছোট আকারের মন্ত্রিসভা হবে।
“আমরা সরকারকে আবারো অনুরোধ জানাব, এখনো সময় আছে. সংসদে নির্দলীয় সরকারের বিল এনে দ্রুত তা পাস করুন। দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। দেশকে অস্থিরতার হাত থেকে রক্ষা করুন। ”
অন্যথায় নির্দলীয় সরকারের দাবির আন্দোলনের কর্মসূচি ঈদের পর ঘোষণা করে রাজপথে এর ফয়সালা করা হবে বলে হুমকি দেন ফারুক।
আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর সরকারের ‘নির্যাতনের’ নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিও জানান তিনি।
সংগঠনের আহ্বায়ক রেজাউল কবির সিকদার রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমার দেশ পত্রিকার নগর সম্পাদক এম আবদুল্লাহ, উলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।