যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি অমি পিয়াল আজ বেশ গুরুত্বের সাথে কেপি টেস্টের কথা বললেন এটিএন নিউজের টকশোতে। বাংলা ব্লগিং এর জগতে এই কেপি টেস্ট বিষয়টা খুবই কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ন। তাই এই বিষয়টি পাঠকদের ( নবীন এবং হবু ব্লগারদের জন্যে টিউটরিয়াল হিসাবে) জেনে রাখা দরকার বিবেচনা করছি। ধারনা করি বাংলা অভিধানে নতুন শব্দ হিসাবে দ্রুতই ছাগু এবং কেপিটেস্ট যুক্ত হবে।
সংক্ষিপ্ত নাম - কেপি টেস্ট।
পূর্ন নাম - কাঁঠাল পাতা টেস্ট।
টেস্টে পূর্ব ইতিহাস - বাংলা ব্লগের জগতে প্রাথমিক কালে কিছু মেধাবী এবং লড়াকু ব্লগার অনলাইনে জামাত-শিবিরের প্রপাগান্ডা মেশিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে এবং এটিম নামে একটি অনলাইন বাহিনী তৈরী করে। তারা এই অস্ত্রটির আবিষ্কারক এবং কার্যকরী ভাবে ব্যবহার করেছে।
টেস্টের ভুমিকা - রাজাকারদের সমর্থকগোষ্ঠী খুবই চালাকির সাথে মুল আলোচনার মাঝে নানান শাখাপ্রশাখা দিয়ে মুল আলোচনা কে ভিন্নদিকে টেনে নিয়ে যায়। উদাহরন হিসাবে বর্তমানে অনেক জামাত-শিবির সমর্থক যুদ্ধাপরাধী বিচারের সাথে সাগর-রুনীর হত্যার বিচার প্রসংগ নিয়ে আসে - সাথে থাকে আওয়ামীলীগ সরকারের দূর্নীতির বিচারকে আগে দেখতে চায়।
কোন কোন ব্লগার এতে কনভিন্স হয়ে যুদ্ধাপরাধী বিচারে মুল আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে।
শুরুর দিকে এই জামাত-শিবির সমর্থকদের "ত্যানাপ্যাচাইন্না" বলে ডাকা শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এদের নিম্নমানে যুক্তিতর্কের কারনে ছাগল সংক্ষেপে ছাগু ডাকা শুরু হয়। (যতটুকু মনে পড়ে অমি পিয়ালই এই ছাগু শব্দটা প্রথম দিকে ব্যবহার শুরু করেন)
হাজার শব্দ টা্ইপ করেও এদের গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি নিয়ে কথা বলানো যেতো না। সে্ই সময় ব্লগার হাসান মোরশেদ ( ভুল হলে ক্ষমা চাই) এক রাতে ব্লগের তুমুল ছাগু তাড়ানোর মাঝে ছাগুদের জন্যে একটা সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা দিলেন - তা অবশেষে কাঁঠাল পাতা টেস্ট নামে পরিচিত হয়ে যায়।
এই পরীক্ষার সুবিধা হলো ছাগল যেমন কাঁঠাল পাতা ভালবাসে তেমনি ব্লগে ছাগুরা এই পরীক্ষাকে পছন্দ করে।
কাদের জন্যে এই পরীক্ষা প্রযোজ্য -
যারা সরাসরি যুদ্ধাপরাধীর বিচার বা জামাতের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিরোধীতা না করে নানান ভাবে ধানাই পানাই করে ভিন্ন প্রসংগে কথা বলার চেষ্টা করবে তাদের জন্যে এই পরীক্ষা প্রযোজ্য।
পরীক্ষা পদ্ধতি -
সন্দেহ জনক ব্লগারকে একটা সহজ প্রশ্ন করতে হবে - আপনি দয়া করে পাঁচজন রাজাকারের নাম বলুন।
ফলাফল - যদি নেই ব্লগার ছাগু শ্রেনী ভুক্ত হয়ে থাকে তবে সে কোন ভাবেই গোলাম আযম, নিজামী বা মুজাহিদের মতো শীর্ষ চিহ্নিত রাজাকারদের নাম বলবে না।
যদি সেই পাঁচ জনের মধ্যে গোলাম আযমের নাম না থাকে - নিশ্চিত সে ছাগু শ্রেনী ভুক্ত!
অথবা সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নানান ভাবে ঘুরপ্যাচ করতে থাকে তবে সেও ছাগু শ্রেনীভুক্ত।
ফলাফল প্রকাশ -
যদি উপরে লক্ষনগুলো মিলে যায় - নিশ্চিতে লিখেদিন "কেপি পজেটিভ" (গালি হিসাবে বিবেচিত হবে না)
এর পর বিষয়টি অন্যরাও জেনে যাবে - চিহ্নিত ব্লগারটি ছাগু সম্প্রদায়ভুক্ত কারন ওর কেপি টেস্ট রেজাল্ট পজেটিভ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।