আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগিং করতে চান? জেনে নিন ব্লগিং এর কিছু উপকারিতা।

প্রতিটা মানুষের জীবনে কিছু না কিছু শখ থাকে। আমিও শখের বসে অনেক কাজ করেছি। যেমন- বাগান করা, খেলাধুলা করা, পাখি পালন ইত্তাদি। কোন কিছুই আমার মন কে প্রশান্তি এনে দিতে পারেনি। কিন্তু যেদিন থেকে ব্লগিং শুরু করেছি সেদিন থেকে লাইফ টা কে একদন নতুন ভাবে উপলব্ধি করতে পারছি।

আসলে ব্লগিং এর মজাই আলাদা।
এক কথায় বলতে গেলে ব্লগিং শুরু করার পর থেকে আমার জীবনটাই পাল্টে গেছে। তাই আমি আমার সকল বন্ধু এবং পরিচিতদের উৎসাহ দেই ব্লগিং করার জন্য। কারন আমার মনে হই ব্লগিং এমন একটি অভ্যাস যা জীবন কে অনেকটাই পালতে দেয়। আর তাই আমার অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে ব্লগিং এর কিছু উপকারিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।

লেখাটি আমি ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের এসইও এক্সপার্ট, ইকরাম ভাইয়ার উৎসাহে লিখেছি। (টেকটিউনসে ইকরাম ভাইয়ার টিউনার আইডিঃ http://www.techtunes.com.bd/tuner/ekram.cit)  নিচের পয়েন্ট গুলোর মাধ্যমে আপনারা ব্লগিং এর উপকারিতাগুলো ভালভাবে বুঝতে পারবেন-

একজন দক্ষলোক তার তার লেখনীর জোরে তার নিজস্ব মতবাদ প্রচার করতে পারে খুব সহজে। একটি লেখা যত সহজে মানুষকে আকর্ষণ করতে পারে, আর অন্য অনেক কম মাধ্যম আছে, যার এরকম শক্তি আছে। যদি নিয়মিত ব্লগিং করেন, তাহলে একসময় দক্ষ লেখক হিসেবে নিজের একটি পরিচিতি তৈরি করতে পারবেন। লেখালেখির মাধ্যমে তখন আপনার আয়ের সুযোগও তৈরি হয়ে যাবে।


ব্লগিং এমন একটি প্রসেস যেখানে আপনাকে লেখার জন্যে অনেক গুল বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে লিখতে হয়। কারন কোন বিষয়  নিয়া ব্লগিং এর সময় শুধু নিজের মতামতই না অন্যের চিন্তাশক্তির ও মুল্যায়ন করতে হয়।  লেখাটি পড়লে মানুষ কতটুকু পছন্দ করবে,  পাঠক আর কি কি চায়, সেই বিষয়েও ভাবতে হয়। অর্থাৎ অন্যদের চাহিদা বুঝে সেই অনুযায়ি লিখতে হয়।  অন্যদের ভাবনাকে বুঝতে শিখা একজন ব্লগারের চিন্তা শক্তির গভীরতা বৃদ্ধি করে।

এ অভ্যাস আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক কাজে লাগবে।
যখন আপনি আপনার নিজের জীবনের মতামত নিয়ে ব্লগিং শুরু করবেন তখন নিজের জীবন নিয়ে আর গভীর ভাবে ভাবার সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ আপনি কে? বা আপনি ভবিষ্যতে কি হতে চান এই সব বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবার সুযোগ পাবেন। নিজের জীবনের লক্ষ পূরনের পথে আরও শক্তিসহ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
ব্লগিং তো আর সব ধরনের বিষয় নিয়ে করা সম্ভব না, তাই যখন আপনি ব্লগিং করবেন তখন অবশ্যই যেগুলো অর্থবহ ও গুরুত্তপূর্ণ সাধারনত সেই সব বিষয় নিয়েই লিখতে চেষ্টা  করবেন।

সুতরাং সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবনা তৈরি হবে। এবং এই ভাবনা আপনার ব্রেনের ক্ষমতাকে আরও প্রসারিত করবে।
একজন সফল ব্লগারের ব্লগিং করার জন্যে সময়, মনোযোগ, নিয়মানুবর্তিতা  এই তিনবিষয়ের উপর অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হয়। আর এ সবগুলোই জীবন গঠনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সুতরাং  সুখকর এবং সফল জীবনের তিন মন্ত্র ব্লগিং করার সময় নিজের মধ্যে আয়ত্ত্ব করে নিতে পারবেন।



ব্লগিং এর কমেন্ট, ই-মেইল বা সোশ্যাল সিগনাল এর বদৌলতে আপনি খুব দ্রুত অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। আসলে ব্লগিং কমিউনিটি টা খুব গুরুত্ত্বপূর্ন ও উৎসাহ পুর্ন । অন্যের সাথে নিজের মেধা যেমন শেয়ার হবে, তেমনি অন্যদের কাছ থেকে জানাও যাবে প্রচুর। প্রচুর মানুষদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির কারনে জীবনে এগিয়ে যেতে কোন সুযোগ পেতে সেটি অনেক কাজে লাগবে এবং সেটির অনেক বাস্তব উদাহরণ আমার কাছে আছে।
টাকা উপার্জন করতে কে না পছন্দ করে।

 সবার জীবনে লক্ষ্য সেটাই থাকে। আপনি চাইলে ব্লগিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।  গেস্ট ব্লগার হিসেবে আয় কিংবা নিজের ব্লগে অ্যাডভার্টাইজ বসিয়ে আয় করতে পারবেন। নিজের ব্লগ থেকে আয় করলে সেটি যতদিন যাবে আয় বাড়তে থাকবে ততবেশি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় কেউ যখন ব্লগিং থেকে আয় করার কথা ভেবে শুরু করে তখন আর ব্লগিং এর প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না।


ব্লগিং এর মাধ্যমে যে সকল তথ্য শেয়ার করা হয় তা ফ্রী তে রিডাররা পড়তে পারে ফলে তারা বিনামূল্যে উপকৃত হয় আপনার দেয়া তথ্যের মাধ্যমে। আপনার উৎসাহ পেয়ে অনেকের অনেক উপকার হতে পারে, এমনকি তার জীবনও হয়ত পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। আসলে কারো জন্যে বিনাস্বার্থে কোনো কিছু করার অনুভুতিটাই খুব আনন্দময়।
নিয়মিত ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনার একটি পরিচিতি তৈরি হয়ে যাবে, যা আপনার নিজের ব্রান্ডিংয়ে কাজে লাগবে। নিজের ব্রান্ডিং কেনা চায়? নিজের ব্রান্ডিংয়ের উপকারিতা আশাকরি এখানে বলার প্রয়োজন হবেনা।

নিজের যেমন ব্রান্ডিং করা সম্ভব, তেমনি কোন প্রতিষ্ঠানে নামে নিয়মিত ব্লগিং করলে সে প্রতিষ্ঠানেরও ব্রান্ডিং তৈরি হবে। এজন্য বর্তমানে বেশিরভাগ বড় কোম্পানীকেই তাদের অফিসিয়ালের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি একটি ব্লগ সাইট খুলতে দেখা যায়। বিশ্বের অনেক দামী দামী গ্রাফিকস ডিজাইনার কিংবা ওয়েব ডিজাইনাররাও তাদের ক্যারিয়ারকে আরও প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে নিয়মিত ব্লগিং করে। যারা আপনার লেখার মাধ্যমে উপকার নিবে, তারা কখনও আপনাকে সহজে ভুলে যাবেনা, এটি নিশ্চিত থাকুন।
এসইওর কাজে ব্লগিং সবচাইতে অব্যর্থ ঔষধ।

গুগলের কাছে পরিচিতি পেতে অর্থাৎ র‌্যাংকিং পেতে ব্লগিং এখন পযন্ত সবচাইতে বেশি কাযকরী। ভবিষ্যতেও এর চাহিদা কখনওই কমবেনা।
আরও কিছু উপকারিতার কথা জানা থাকলে সেটি কমেন্টের মাধ্যমে জানালে সবার জন্যই উপকার হবে, আমিও কৃতজ্ঞ হব।
আজকের জন্য এই টুকুই থাকল। আমার লেখাটা যদি ভাল লাগে তাহলে অবশ্য ই কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।


আর আমাকে ফেসবুকে খুজে পেতে নিচের লিঙ্ক এ যান-
https://www.facebook.com/ms.munmun

সোর্স: http://www.techtunes.com.bd

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.