আমার সম্পর্কে বলার তেমন কিছুই নাই শুধু এতটুকুই বলব, আমি অল্প অল্প লেখার চেষ্টা করছি।
বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যবাহী যত মুখরচোর খাবার রয়েছে তার মধ্যে "বাকরখানী" একটি। ভেজালের এই সমারহের ভীড়ে খাঁটি জীনিষ পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য।
গতকাল কাজের কারনে মালিবাগ থাকতে হয়েছিল আমার বন্ধু (পিয়াস ও রকিব) দের মেসে। সন্ধ্যার ক্ষুধা নিবারনের জন্য যখন বের হলাম তখন পিয়াস বল্ল "চল তোকে আজ মজার একটা জিনিস খাওযাবো"।
আমি তখন বিন্দু মাত্র অনুমান করতে পারিনি যে কি অপেক্ষা করছে আমার জন্য।
যখন অনেক ওলিগোলি পেরিয়ে দোকানটার সামনে আসলাম তখন আমি তো রীতিমত অবাক। এমন জায়গায় এমন একটা দোকান!!
দোকানের সামনে দারাতেই নাকে এলো গরমগরম বাকরখানী-এর গন্ধ । দেখলাম দোকানটিতে ২ রকমের বাকরখানী তৈরী করা হচ্ছে। একটি মিষ্টি আর একটি নোনতো ধরনের।
দেখেই তো আমার জীভে পানি এসে গেলো।
দেখলাম দোকানটিতে ৩ জন লোক মিলে কাজ করছে। ২জন বয়োষ্ক আর একজন অল্প বয়োষ্ক। অল্প বয়োষ্ক ছেলেটি বাকরখানী তৈরীর জন্য গুড়ি মাখাচ্ছে আর বেলে বেলে কাই তৈরী করছে।
অপর জন তৈরী করা খামির এর সাথে বিভিন্ন উপাদান যুক্ত করে পুনরায় বেলে,কেটে বাকরখানীর shape এ আনছে।
৩য় জন একটি বিশেষ মাটির চুলায়(আগুন জ্বলত কয়লা দিয়ে) সুনিপুন হাতে বাকরখানী গুলো স্তাপন করছে। মিষ্টি বাকরখানী গুলোর উপর চিনির সিরা লাগিয়ে আর সাধারন গুলোকে সরাসরিই চুলরা ভিতর বিশেষ কায়দায় লাগিয়ে দিচ্ছে।
আমরা আর অপেক্ষা করতে পারলাম না। দোকানা বসেই পেটে চালান দিলাম গোটি কয়েক।
টাটকা টাটকা বাকরখানী খেয়ে পরম শান্ততে হেলে দুলে মেসে ফিরে গেলাম।
চাইলে আপনারাও এর স্বদ গ্রহন করতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।