আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভার্চুয়াল ফ্যসিজম ও নির্মাণ ব্লগ



ইন্টারনেট কেন্দ্রিক একটা বিশাল লেখালেখির জগতের দরজা খুলে দিয়েছে ব্লগসমূহ। প্রথম বাংলাব্লগ সামহয়ার। এ ব্যপারে সমস্ত প্রশংসা সামহয়ারের প্রাপ্য। পরে অন্য অনেক বাংলাব্লগও তাদের সভ্য সংগ্রহ করে নিজেদের ব্লগিং চালিয়ে যাচ্ছে। ব্লগ সাধারণত কোনো চলমান মজাদার বিষয় শেয়ার করার মাধ্যমে শুরু হলেও তার অনেক রকম সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এরকমই এক সম্ভাবনাময় ব্লগ নির্মাণ। নির্মাণ মুলত একটা লিটল ম্যাগাজিন। যেটা প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম থেকে। নির্মাণ লিটল ম্যাগাজিনের সাথে যারা জড়িত তারাই মুলত এটার মডারেটর। অন্য অনেক ব্লগের চাইতে নির্মাণকে অনেকটা রক্ষণশীল মনে হবার বিভিন্ন কারণ আছে।

নির্মাণের আচরণে তাদের মানষিকতার ধারণা দেবার চেষ্টা করেন তারা। যে কেউ ওখানে লিখতে পারে না। তাদের কিছু নিয়মকানুন আছে সে সব মেনেই, প্রথম দিকে মন্তব্য করতে হবে। মন্তব্যে যতেষ্ঠ প্রগতিশীল মুক্তমনা মনে হলেই কেবল তাকে লেখার সুযোগ দান করা হয়। আবার তাদের বাংলা লেখার জায়গাটার নাম মুক্তমনা।

এ থেকে যে কারো ধারণা হতে পারে যে নিশ্চয়ই এটা একটা প্রগতিশীল মানুষের লেখার প্লাটফর্ম। কিন্তু ক্রমশ পড়তে থাকলে চিন্তা বিনিময় করতে থাকলে বুঝতে পারা যায় এই ব্লগের চরম প্রতিক্রিয়াশীলতা, গোষ্ঠীপ্রথা, গ্রাম্যতা আর হিংস্রতার পরিচয়। সভ্য হবার আগে আদিম মানুষদের হাতে ব্লগ তুলে দিলে যে অবস্থা হতো তাদের অবস্থা সে রকম। এই ছদ্মপ্রগতিশীল মডারেটরাই মুলত এই ব্লগের লেখক, মন্তব্যকারি, যোদ্ধা সব। অনেকটা পেশাদার খুনিদের মতো তাদের আচরণ।

জাতীয় সব প্রাতিষ্ঠানিক দুর্ণীতির বিরুদ্ধে তাদের জ্বালাময়ী লেখাগুলোকে মনে হয় বানানো মেকি। তারা যা লেখে তা তারা নিজেরাই বিশ্বাস করে কিনা সন্দেহ। এই মডারেটররা সম্ভবত সবাই বন্ধু। হয়তো চাটগার কোনো স্কুলে কলেজে একসাথে পড়েছে অথবা কোনো প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। নিজেদের লেখায় নিজেরাই মুগ্ধ।

নিজেরাই নিজেদের ঢোল পেটাতে পেটাতে প্রায় ফাটিয়ে ফেলার পর্যায়ে নিয়ে যায়। তাদের লেখায় কেউ বিরূপ মন্তব্য করলে সবাই মিলে তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। আবার কারো লেখা তাদের মনোপূত না হলে সবাই মিলে তাকে আক্রমন করবে কদর্য ভাষায়। রক্ষা এটা র্ভাচুয়াল জগত। ওদের ভাষার যে রূপ।

বাস্তবে তর্কবিতর্ক হলে নিশ্চিত এরা সবাই মিলে মন্তব্য কারীকে জবাই করতে কুণ্ঠিত হবে বলে মনে হয় না। সম্প্রতি এরকমই এক অভিজ্ঞতা হল । এদের মডারেটরদের আচরণ ফ্যসিজমের চুড়ান্ত উদাহারণ। তারা একজন লেখককে কোনো রকম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে। লেখকের মন্তব্য না ছেপে শুধু তাদের নিজেদের মিথ্যা মনগড়া কাল্পনিক হাস্যকর শিশুসুলভ যুক্তি আর হিংস্রতার মাধ্যমে লেখককে দমিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালায়।

এবং লেখককে তার জায়গায় দাড়িয়ে যুদ্ধ করবার কোনো রকম সুযোগ না দিয়ে গলা টিপে হত্যার ভয় দেখায়। একটা লেখার আলোচনা নিয়ে সম্প্রতি তারা যে ধরণের আচরণ করেছে তা যে কোনে ফ্যসিবাদকেও হার মানায়। এবং এই দুর্ণীতিতে তারা চরম পুলকিত। একজন লেখককে মাঠের মধ্যখানে রেখে এই মডারেটরাই চারদিক থেকে বর্শা তীর খুন্তি ইত্যাদি ছুড়তে থাকে। এতে লেখক মুক্তচিন্তক যতই রক্তাক্ত হয় ততই তাদের আনন্দ।

ধর্ষসুখ। এদের মধ্যে রাজনৈতিক মস্তান আছে। ঠাণ্ডা মাথার খুনি আছে। আবার বিদেশের হবু ডিগ্রীধারী ফৌজদারী আদালতের বারান্দার উকিল আছে। এদের সবচাইতে নোংরা মানষিকতা হচ্ছে যুক্তিতর্কে হেরে গিয়ে গ্রাম্যরাজনীতির হোলিখেলায় মেতে উঠে।

গ্রামে একটা ব্যাপার দেখা যায় দুইদলের মধ্যে মারামারি হলে একদল নিজের লোক খুন করে অন্যদলকে আসামী করে। এদের মানষীকতা ঠিক এ রকম আত্মঘাতী। লেখকের পক্ষে অন্যলোকের নামে মন্তব্য করে সেটা লেখক করেছে বলে তার নামে কুৎসা রটায়। মোটকথা একজন মানুষকে তারা যতরকমভাবে পারা যায় কোনো রকম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে হত্যাপ্রচেষ্টা চালায়। নিচের মন্তব্যটা দেখুন।

শিক্ষিত পড়ালেখা জানা মানুষের ভান করে এরা দালালি করে কর্পোরেশানের। গামেন্টস শ্রমিকদের জন্য এদের মায়াকান্না দেখে মনে হয় এরাই এ দেশে ন্যয়ের শাষন কায়েম করবে। মনের দিক দিয়ে খাটি পেটি-বুর্জোয়া। এদের ছাপানো পত্রিকাটা দেখলে মনে হয় এটা প্রকাশিত হয় কলকাতা থেকে ওখানে বাংলাদেশের কোনো লেখকের লেখা থাকেনা। সত্য কথার কোনো মুল্য নেই এদের কাছে।

ব্যক্তিস্বাধীনতায় এরা বিশ্বাস করেনা। গ্রামের মাদ্রাসায় পড়া কুমারী মেয়েদের মতো খুতখুতে এরা বড় করে কথা বলা যাবে না, এটা বলা যাবেনা ওটা বলে যাবেনা। এই মডারেটরদের একজন তার আক্রমনের নমুনা। সৈকত আচার্য লিখেছেন: ৭ নভেম্বর ২০০৯, শনিবার সময়: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ [মন্তব্য-লিন্ক] @শাহেদ সাইফুল্লাহ (কিংবা যেই হউন আপনি) @জাহেদ সরওয়ার =১= প্রথমেই শাহেদ সাইফুল্লাহকে অভিনন্দন জানাতে হচ্ছে ইন্টারনেটে জীবনের প্রথম মন্তব্যটি লিখবার জন্য, তাও প্রথম চেষ্টাতেই একেবারে বিশুদ্ধ বাংলা হরফে, তাও জাহেদ সরওয়ারেরই পোস্টে, জাহেদ সরওয়ারের মন্তব্যকেই সমর্থন জানাতে!! পুরো ইন্টারনেট ঘেঁটে “শাহেদ সাইফুল্লাহ” নামের অধীনে আর কোনো মন্তব্য, লেখা বা কোন ধরণের এন্ট্রিই খুঁজে পাওয়া গেল না (এখানে গুগলসার্চের ফলাফল)। সুতরাং ধরেই নিতে হচ্ছে এমন চোখা মন্তব্যকারী কোন বিশেষ প্রক্রিয়ায় ইন্টারনেটে সবার দৃষ্টি বাঁচিয়ে চলছিলেন এতদিন! =২= আর কেউ এই কাকতালীয় মিলটি লক্ষ্য করেছেন কি না জানি না, উপরে জাহেদ সরওয়ারের মন্তব্য এবং সেটির পক্ষ নিয়ে শাহেদ সাইফুল্লাহ’র মন্তব্য দুটোতেই একই ধরণের ফরম্যাটিংয়ের অভ্যাস স্পষ্ট (দুজনেরই ব্লক-কোট ব্যবহার “না করার” ধরণটি খেয়াল করুন)।

আরও প্রমান ১, ২, ৩। আরও বেশ কয়েকটা সূত্র ছড়িয়ে আছে, সে আলোচনায় আর যাওয়ার দরকার নেই। এখানে কে যে ঠিক কার দ্বারা প্রভাবিত, বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু “কাকতালীয়” মিলগুলি চোখে পড়ার মত। =৩= মুক্তাঙ্গন ব্লগের একদম শুরু থেকে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছি আমি। তাই ব্লগটি কোথায় আছে, কি নীতিতে চলে, এবং কোথায় যেতে পারে, তা নিয়ে আমার মতো অনেকেরই কিছু সাধারণ ধারনা আছে নিয়মিত পাঠক হিসেবে।

সুতরাং, যত খুশী “বুর্জোয়া ড্রয়িংরুম” বলে গালি দেন, সে সব কেউ বিশ্বাস করবে না। আর মুক্তাঙ্গনের ভাষারীতি আর প্রথাগুলো আপনার কিংবা আমার কথায় পাল্টাবে না। সে চেষ্টা করেও লাভ নেই। এই রীতিগুলো মেনে নিয়ে লিখতে পারলে আমরা এখানে লিখবো, না হলে লিখবো না। তাতে বাঙালীর কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না।

ব্লগকে যারা “গণ শৌচাগারের” দেয়াল বানাতে বদ্ধপরিকর, আপনি বরং তাদের সাথেই থাকুন। আর বাংলা ভাষায় ঐ জাতীয় পরিবেশের ব্লগও খুব কম নেই। সেগুলোর কোন একটাই হয়তো আপনার জন্য আরও বেশী আরামদায়ক হবে। পাঠক হিসেবে রায়হান রশিদ যে জাহেদ সরওয়ারকে অত্যন্ত ভদ্রভাবে ভাষা বিষয়ে “সতর্ক হওয়ার অনুরোধ” করেছেন, সেটাকে পুরোপুরি সমর্থন করি। এর প্রয়োজন ছিল।

কারণ, ইন্টারনেট ঘাটতে গিয়ে জানলাম, সম্প্রতি জাহেদ সরওয়ারকে সচলায়তন থেকেও বের করে দেয়া হয়েছে ভাষা ব্যবহারে কুরুচির প্রমাণ রাখার জন্য। জাহেদ সরওয়ারের শিশু ধর্ষণকারী এক চলচ্চিত্র নির্মাতার ( রোমান পোলানস্কি) পক্ষে সাফাই গাওয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে সচলায়তনের সেই ঘটনা। জাহেদ এবং সচলায়তনের মধ্যে এই আদানপ্রদানটি লক্ষ্য করুন: question from zahed sarwar সুপ্রিয় সচল এডমিন মন্তব্য ছাপা হচ্ছে না। পোষ্ট প্রথম পাতায় ছাপা হচ্ছে না। কেন ছাপা হচ্ছে না কিছু বলবেন কি।

ব্যান করা হলে তো অন্তত জানানো দরকার নাকি না। answer from sachalayatan: ১। জাহেদ সরওয়ার তারিখ: রবি, ২০০৯-০৯-২৯ সিদ্ধান্তঃ উগ্র আচরণের জন্যে সদস্যকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে মডারেশনের আওতায় আনা হলো। প্রেক্ষিতঃ জাহেদ সরওয়ার রোমান পোলানস্কির গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি পোস্ট করলে কয়েকজন সচল গ্রেফতারের কারণটি জানিয়ে পোস্ট করেন, এবং কোনো খোঁজখবর না নিয়ে পোস্ট করার সমালোচনা করেন। এর প্রত্যুত্তরে জাহেদ মন্তব্যকারীদের আক্রমণ করেন এবং অশালীন তিরস্কার করেন।

উল্লেখের অযোগ্য বিভিন্ন মন্তব্যের মাঝে রেকর্ডের স্বার্থে একটি এখানে লিপিবদ্ধ হলো। উদ্ধৃতি (জাহেদ সরওয়ারের মন্তব্য থেকে) এখানে গবেষণা করে পোষ্ট দিতে হবে কেন? বুঝলাম না। চলায়তনতো বাথরুমের মতো। বাঙ্গালী ভাল বাথরুমের দেয়াল পেলে কি করে তা তো আপনাদের দেখলে বুঝা যায়? যিনি ব্লগ তথা সচলায়তনকে শৌচাগারের সমতুল্য মনে করেন, তাকে সচলায়তন আর সদস্য হিসেবে ধারণ করতে সম্মত নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, দ্বিতীয় সুযোগ সবারই প্রাপ্য (জাহেদেরও), যদি তারা নিজেদের শুধরে নেয়ার সুযোগগুলো ঠিকমতো কাজে লাগান।

কিন্তু তেমনটা মনে হচ্ছে না এখানে। =৪= বন্ধুবর ফারুক ওয়াসিফের মাধ্যমে আমি প্রথম নির্মাণ সম্পর্কে অবগত হই। ফারুক ওয়াসিফকে জড়ানোর চেষ্টা করছেন কেন এখানে? আপনিই কি সেই ব্যক্তি না যিনি কিছুদিন আগে ফারুক ওয়াসিফের পোস্ট প্রথম পাতায় থাকা নিয়ে অভিযোগ করেছেন যে কারনে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ফারুকের পোস্টটি সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়? সত্যিকারের বন্ধুর কাজ বটে! প্রমাণ: এখানে , এখানে। =৫= রায়হান রশীদ নিজেই অবিশ্রুত হলে অবশ্য ব্যাপারটা মেনে নেয়ে যেতে পারে। আপনাকে হতাশ করতে হচ্ছে।

রায়হান রশিদ “অবিশ্রুত” না। অবিশ্রুত ছদ্মনামটি কার, তা আপনি না জানলেও ব্লগের অনেকেরই জানা আছে। অবিশ্রুতের লেখাগুলো ভালভাবে পড়ুন, বলা যায় না কিছু হয়তো শিখতেও পারবেন আপনি সেখান থেকে, বিশেষ করে বিরুদ্ধ মত এবং ব্যক্তিগত আক্রমনের জবাবও কিভাবে দিতে হয় (আপনাকেই দিয়েছেন)। আর কেবল “ফাজলামো” করার উদ্দেশ্যে আপনি (কিংবা আপনার সমমনারা) “ছদ্মনাম” বা “বিশ্বাসযোগ্য ভিন্ন নাম” যত খুশী ব্যবহার করতেই পারেন। তাতে ব্লগের বাস্তবতা পাল্টাবে না।

কিছু দিন আগেও ছদ্মনামধারি এক বিশ্বখ্যাত ব্লগারের কোর্টকেস নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা হয়েছে। আপনার জানায় এবং বোঝায় এখনো অনেক ঘাটতি আছে। আমরা আগ্রহ নিয়ে মুক্তাঙ্গন পড়তে আসি। অনুরোধ : আমাদের সময় নষ্ট করবেন না। খুঁজলে আপনার “রুচিমাফিক” ব্লগ প্লাটফর্ম পেয়ে যাবেন অন্যত্র, সেটার গ্যারান্টি রয়েছে।

@ মুক্তাঙ্গন @ মুক্তাঙ্গনের পাঠক এই বিষয়গুলো উত্থাপন করলাম এই কারণে, এ জাতীয় বহু মন্তব্যকারী অতীতেও মাঝে মাঝেই গোল বাধাবার চেষ্টা করেছে, কিংবা মূল আলোচনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে। ব্লগের উদার মডারেশন নীতির সুযোগ নিয়েই সম্ভবত। মূল বক্তব্য বা আলোচনা নিয়ে এদের খুব কমই মাথাব্যাথা দেখা গেছে, অন্যের পায়ে পা বাধিয়ে ঝগড়া বাধানোর চেষ্টা ছাড়া। নিয়মিত পাঠক হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর। সুখের কথা হল, এই গোষ্ঠীটি কখনোই সুবিধা করতে পারেনি এখানে, এই ব্লগের নিজ পথে অটল থাকাই তার প্রমাণ।

আরও একটি কারণে বিষয়গুলো উত্থাপন করা হল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সন্দেহও বলতে পারেন, জাহেদ সরওয়ার আর শাহেদ সাইফুল্লাহ একই ব্যক্তি। উপরে সেই ইঙ্গিতের সপক্ষে প্রমান দিয়েছি। নাম পাল্টালেও পরিচয় গোপন করা সহজ নয়। বিষয়টা তেমন গুরুত্বের না।

কিন্তু এটা তখনই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে যখন লেখক “মুখোশ” আর “ছদ্মনামের ব্যবহার” নিয়ে বাকি ব্লগারদের এক গাদা বক্তৃতা আর আক্রমন করে বেড়ান আর তা করার মাধ্যমে আলোচনার পরিবেশ নষ্ট করেন। আর যে লেখক শামসুর রাহমান এর মতো পরম শ্রদ্ধেয় লেখকের সমালোচনার নামে গালাগালি দিয়ে বেড়ান, তার নিজের গ্রহনযোগ্যতা এবং সততাও আমাদের ধর্তব্যে আনা দরকার (দেখুন – সচলায়তনের ক্ষেত্রে উদ্ধৃতি, বেনামে আক্রমনের প্রবণতা)। এই পোস্টের বক্তব্যের মান যাই হোক, পোস্ট লেখকের বাকি মন্তব্যকারিদের সাথে আলোচনা প্রত্যুত্তরের ঢং থেকে এটা পরিস্কার যে এই লেখকের টেমপেরামেন্টে সমস্যা আছে। ভিন্নমত দেখলেই এই লেখক মারমুখি হয়ে ওঠেন। পারসোনালি নিয়ে ফেলেন।

এমন লেখকের কাছ থেকে আমি ভাল কিছুই আশা করিনা। ভবিষ্যতে লেখক এবং পোস্ট অনুমোদনের ক্ষেত্রে মুক্তাঙ্গন কর্তৃপক্ষের আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন মনে করি। এই ব্লগের পরিবেশ, মান এবং নিজের পথে চলার সংকল্পকে নস্যাত করতে আগ্রহী লোকের সংখ্যা কম হওয়ার কথা না। শ্রী আচার্যের এই মন্তব্যর প্রতিউত্তরে যে মন্তব্যটি তারা প্রকাশ করেনি। শ্রী আচার্য প্রথমেই শাহেদ সাইফুল্লাহকে অভিনন্দন জানাতে হচ্ছে ইন্টারনেটে জীবনের প্রথম মন্তব্যটি লিখবার জন্য, তাও প্রথম চেষ্টাতেই একেবারে বিশুদ্ধ বাংলা হরফে, তাও জাহেদ সরওয়ারেরই পোস্টে, জাহেদ সরওয়ারের মন্তব্যকেই সমর্থন জানাতে!! পুরো ইন্টারনেট ঘেঁটে “শাহেদ সাইফুল্লাহ” নামের অধীনে আর কোনো মন্তব্য, লেখা বা কোন ধরণের এন্ট্রিই খুঁজে পাওয়া গেল না (এখানে গুগলসার্চের ফলাফল)।

সুতরাং ধরেই নিতে হচ্ছে এমন চোখা মন্তব্যকারী কোন বিশেষ প্রক্রিয়ায় ইন্টারনেটে সবার দৃষ্টি বাঁচিয়ে চলছিলেন এতদিন! =২= আর কেউ এই কাকতালীয় মিলটি লক্ষ্য করেছেন কি না জানি না, উপরে জাহেদ সরওয়ারের মন্তব্য এবং সেটির পক্ষ নিয়ে শাহেদ সাইফুল্লাহ’র মন্তব্য দুটোতেই একই ধরণের ফরম্যাটিংয়ের অভ্যাস স্পষ্ট (দুজনেরই ব্লক-কোট ব্যবহার “না করার” ধরণটি খেয়াল করুন)। আরও প্রমান ১, ২, ৩। আরও বেশ কয়েকটা সূত্র ছড়িয়ে আছে, সে আলোচনায় আর যাওয়ার দরকার নেই। এখানে কে যে ঠিক কার দ্বারা প্রভাবিত, বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু “কাকতালীয়” মিলগুলি চোখে পড়ার মত। ভাবছিলাম এই খাজুরে আলাপে আর অংশ নেবনা।

কিন্ত্র শ্রী সৈকত আচার্য নাম্নীয় এক ব্যরিস্টার শরীরে সমস্ত রক্তমাংশ এক করে জগতে সে যা জানে এবং যা চেনে সমস্ত তথ্যাদি আতিপাতি করে খুজে এনে জাহেদ সরওয়ারের শরীরে কোনো কাপড় রাখবে না বলে পণ করেছে। ফলে তার ফৌজদারি আদালতী ৫০ টাকা দামের উকিলদের খোড়াযুক্তি এবং অর্থহীন বাগড়াম্বরসমূহে ফেরগুলো নিয়ে আলোচনা করতেই হচ্ছে। আইনব্যবসায়ী এবং আইনের ছাত্রদের মধ্যে শ্রী আচার্যর মতো মাথামোটা লোক আমি আর দেখিনাই। বিলেতফেরত হয়েও এদেশে যে আপনার ভবিষ্যত অই গ্রাম্য আদালতের বারান্দা ছাড়া আর কোথাও জুটবেনা তা আপনার উপরোক্ত যুক্তিগুলো দিয়েই বুঝা যায়। পহেলা নম্বর যুক্তি দিয়ে আপনি যা বুঝাতে চেয়েছেন আজকালকার বাচ্ছারাও তা হেসেই উড়িয়ে দেবে।

আপনি কোন শতকের মানুষ আমার জানতে ইচ্ছা হইছে। উনি গোগলে চার্জ করে শাহেদ সাইফুল্লাহকে না পেয়ে উনার মাথায় আগুন ধরে গেছে। আপনার প্রথম ও দোসরা নম্বর মন্তব্য পড়ে, যুক্তি উপস্থাপনের বাহার দেখে। মনে হচ্ছে আমাকে উলঙ্গ করার আশায় যে কজন মাঠে নেমেছেন তাদের মধ্যেই একজন এই শাহেদ সাইফুল্লাহ। আপনি নিজে ননতো? আমি কীভাবে লিখি, আমি ব্লগ কোট ব্যবহার করিনা বলে, ঠিক ওভাবে লিখে আমাকে ফাদে ফেলার পায়তারা যাতে পরে ফায়দা ওঠাতে পারেন।

এখন আমি পরিস্কার শাহেদ সাইফুল্লাহ আপনাদেরই তৈরী আপনাদের মধ্যেই কেউ একজন। কারণ, ইন্টারনেট ঘাটতে গিয়ে জানলাম, সম্প্রতি জাহেদ সরওয়ারকে সচলায়তন থেকেও বের করে দেয়া হয়েছে ভাষা ব্যবহারে কুরুচির প্রমাণ রাখার জন্য। জাহেদ সরওয়ারের শিশু ধর্ষণকারী এক চলচ্চিত্র নির্মাতার পক্ষে সাফাই গাওয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে সচলায়তনের সেই ঘটনা। জাহেদ সরওয়ার সচলায়তনে চাকরী করতনা কখেনো যে তাকে বের করে দিতে হবে। সচলায়তন মডারেটরদের অনুরোধেই ওখানে লিখতে গিয়েছিলাম।

ওঠা আসলেই বাথরুম হয়ে ওঠার পর ওখানে অসহ্য হয়ে উঠেছিল। সচলায়াতনে না লিখলে আমার কখনো লেখক হওয়া হবে না অথবা সচলায়তন যে আপনার জন্য মক্কা হয়ে ওটেছে তা তো জানতাম না। কুরুচি শব্দটা যে আপনার জন্য যথাযত তা আপনার এই মন্তব্যের প্রত্যেকটা বাক্য প্রমাণ করে। ফারুক ওয়াসিফকে জড়ানোর চেষ্টা করছেন কেন এখানে? আপনিই কি সেই ব্যক্তি না যিনি কিছুদিন আগে ফারুক ওয়াসিফের পোস্ট প্রথম পাতায় থাকা নিয়ে অভিযোগ করেছেন যে কারনে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ফারুকের পোস্টটি সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়? সত্যিকারের বন্ধুর কাজ বটে! এখন পরিস্কার। বেশ কবার আমি ভাবছিলাম যে সামহোয়ারে আজাদ নিয়ে যে লেখাটা লিখেছিলাম তা মনে হয় বছর তিনেক আগে।

লেখাটা পড়ে এতই হিংসা হল আপনার যে ঘেটে ঘেটে প্রতিটি পোষ্ট পড়ে পড়ে সেই লেখা তোলে এনে মুক্তাঙ্গনের লেখাটাকে ভিতরের পাতায় সরিয়ে দিলেন। আর প্রথম পাতায় ফারুক ওয়াসিফের লেখাটা দেখেও না দেখার ভান করছিলেন। আপনাদের অমানবিক নৈরাজ্যিক মডারেশন ব্যবস্থাকে চ্যলেঞ্চ করার জন্যই সেটা আপনাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলাম। এটা সম্পুর্ণ চেপে গিয়ে আপনারা ফারুক ওয়াসিফকে জানালেন যে আমি মন্তব্য করেছি বলে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এরছেয়ে হীনমন্যতা আর মডারেশন ফ্যসীবাদের নতুন উদারহরণ কী হতে পারে।

আর সেটাকেই জায়েজ করার জন্য আজকে ফের কথাটা পাড়লেন। মডারেটরগণ মিলে সুক্ষভাবে কোনো লেখককে এভাবে অপমান এবং তার বিরুদ্ধে এত জঘণ্য ষড়যন্ত্র করতে পারে আপনারা তার উদরহরণ হয়ে রইলেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সন্দেহও বলতে পারেন, জাহেদ সরওয়ার আর শাহেদ সাইফুল্লাহ একই ব্যক্তি। উপরে সেই ইঙ্গিতের সপক্ষে প্রমান দিয়েছি। নাম পাল্টালেও পরিচয় গোপন করা সহজ নয়।

আপনার এই কথার মধ্যেই আপনার চালাকি প্রকাশিত। একবার বলছেন দৃঢ় বিশ্বাস আবার বলছেন সন্দেহও বলতে পারেন। কথাটা স্ববিরোধীতাই প্রমাণ করে পুরা ব্যাপারটার পেছনে সৈকত। আপনিই সেই শাহেদ সাইফুল্লাহ। আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি জাহেদ সরওয়ার একাই নিজের জন্য যতেষ্ট।

যা সত্য বলে মানি তা ধরে থাকার জন্য অন্য কোনো গ্লাডিয়েটরের দরকার নাই আমার। আর যে লেখক শামসুর রাহমান এর মতো পরম শ্রদ্ধেয় লেখকের সমালোচনার নামে গালাগালি দিয়ে বেড়ান, তার নিজের গ্রহনযোগ্যতা এবং সততাও আমাদের ধর্তব্যে আনা দরকার (দেখুন – সচলায়তনের ক্ষেত্রে উদ্ধৃতি, বেনামে আক্রমনের প্রবণতা) আইনের বই ঠিকমতো পড়েছেন কিনা জানিনা। সাহিত্য যে পড়েন নাই তার প্রমাণ আপনার উপরের উক্তি। শামসুর রাহমান আপনার শ্রদ্ধেয় বলে পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় হবে এটা বোকার স্বপ্ন ছাড়া আর কি? সাহিত্যে মতি আর গতি কতপ্রকার তা জানলে এত অবাস্তব মন্তব্য করেত পারতেন না। ভিন্নমত দেখলেই এই লেখক মারমুখি হয়ে ওঠেন।

পারসোনালি নিয়ে ফেলেন। এমন লেখকের কাছ থেকে আমি ভাল কিছুই আশা করিনা। সন্দেহ নাই আপনার আশা করার মতো কোনো কিছু দেয়ার কোনো আগ্রহ আমার নাই। কিন্তু একজন নিরপেক্ষ পাঠককে জিজ্ঞেস করুন উপরের মন্তব্যগুলো পড়ে। মনজুরাউল, অবিশ্রুত, সৈকতের মন্তব্য আক্রমনাত্বক না জাহেদ সরওয়ারের মন্তব্য আক্রমনাত্বক।

আপনার জন্য শুভেচ্ছা। শ্রী আচার্য পুরো লেখাটা এখানে http://www.nirmaaan.com/blog/zahed-sarwar/5647 । কোনো পৈত্রিক শত্রুতা ছাড়া সৈকতের মতো ভাষায় আর কাউকে কথা বলতে দেখিনি কখনো। কোনো স্কুল কলেজে গমনকারি লোক এত কুরুচিপূর্ণ ষঢ়যন্ত্রপূর্ণ হত্যাপ্রবণমূলক লেখা লিখতে পারে ভাবতে কষ্ট হয়। এই সৈকতের মন্তব্যে সমস্ত নির্মাণ মডারেটরদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত।

কারণ তার উত্তরে যে মন্তব্যটা আমি করেছিলাম তা তারা ছাপেনি। কেউ যদি সমস্ত লেখাটা এবং মন্তব্যটা পড়ার ধৈর্য রাখতে পারেন তাহলে এই নির্মাণের চরিত্র ধরতে অসুবিধা হবে না। তাদের এক নায়কতন্ত্রসূলভ প্রতিক্রিয়াশীল মানষিকতার প্রমাণ পেতে বেগ পেতে হবেনা। এই মডারেটরদের একাধীক ছদ্মনাম আছে এখানে। অবিশ্রুত নামের একজন নগ্নভাবে আক্রমনাত্বক মন্তব্য করলে আমি বলি ছদ্মনামে মন্তব্য না করে আসল নামে করুন।

তাদের পক্ষ থেকে বলা হল অবিশ্রুত নাকি রাজনৈতিক কলামিষ্ট তাই তার ছদ্মনামে রুচি। সেকি জঙ্গী না চরমপন্থী যে সে নিজের নাম প্রকাশ করতে পারেনা। নির্মাণ কি তবে জঙ্গী ও চরমপন্থীদের আস্তানা হিসাবেও কাজ করছে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.