বিদায় - পথের নয়, পথিকের...
আজ সকালে বসেছিলাম এক জামরুল গাছের নিচে,রোদের আলো ছায়ার খেলায় নিজেকে ভাসিয়ে দেয়া কিছুক্ষন তারপর সন্তর্পনে নিজের ভাবনাগুলোর সাথে বিলি কেটে যাওয়া, অনন্তকে বলতে ইচ্ছে করে, দোস্ত, আজ কাল বড্ড একা লাগে, বলতে ইচ্ছে করে চল আবার রিক্সার হুড খুলে দিয়ে দুই দোস্ত মিলে ভিজি অনেক অনেক ভেজার পর দুজনে সেই করিম চাচার ভুনা খিচুরী হাপুস হুপুশ গিলে আবার রিক্সায় করে বৃষ্টিতে চলে যাই কফি খেতে, জীবনের ব্যাস্ততার দোলাচলে আর বলা হয়ে ওঠে না অনন্তকে, ছুটে চলি, ছুটে চলি। আমার একাকিত্বগুলো এখন বড্ড একাকী, মনে পড়ে যায় সব স্মৃতির মলাটে বাধা সুখস্মৃতি গুলোকে। আমাদের মজা করার জন্য একটাই ছিল উপকরণ, সে হলো আমাদের বন্ধুতা আর কিছু নয়। না অনন্ত কোথাও চলে যায়নি, সে তার জীবন সাজাতে ব্যাস্ত,আমি আমার। আমাদের মধ্যে দুরত্ব আঁকে কেবল আমাদের একসাথে কাটিয়ে দেয়া সেই দুপুরগুলো..হ্যাঁ, আজ এই দুপুরের মতোই ছিল সেই দুপুর, আমরা বসতাম একটা মাঠের মাঝের গাছের ছায়ায়, তারপর এক এক করে একে যেতাম আমাদের স্বপ্নগুলো। অনন্তটা একজনকে বড্ড ভালবাসত, বড্ড বেশি ভালবাসতো, তখন থেকেই ও হলো কবি আমি হলাম কবির মুগ্ধ শ্রোতা।ওর সব কবিতা থেকে নিজের স্বপ্নগুলোও আনমনে সাজিয়ে নিতাম, অনেক স্বপ্নমাখা ছিল সেসব কবিতা। স্মৃতির বিলি কাটা কেবল ভাবনাতেই কেটে যাচ্ছে। এই দুপুরটি যেমন বিকেলে গিয়ে মিশবে ঐসব দুপুরও এমনি করে বিকেলে গিয়ে মিশতো আমাদের গল্প শেষ হতো না, আমাদের ভ্রমণ চলতো রিকশা থেকে রিকশায়..
(চলবে অথবা থেমে যাবে)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।