জাগরণ আন্দোলনের প্রথম শহীদ রাজিব হত্যার পর যখন অনেকই নিশ্চিত না তার হত্যার সংবাদের, অনেকেই যখন টিভির স্ক্রলের দিকে তাকিয়ে আছে, অনেকেই যখন হতভম্ব, যখন কেউ কেউ ব্লগে-ফেসবুকে শোকাহত হয়ে পোস্ট দিচ্ছেন তখনি শিবিরের ডিজিটাল সৈনিকরা স্ব-প্রণদিত হয়ে একটি লিংকের কমেন্ট দিয়ে গেছেন, আর তা হলো নুরানিচাপা ওয়ার্ডপ্রেসটির। অন্ধ তার্কিকদের তর্কের খাতিরে ধরে নিন এটি রাজিবের লেখা, কিন্তু একবার ভাবুনতো যখন শোকে হতভম্ব সাধারণ নেট ব্যাবহারকারীরা তখন কে দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন নিক থেকে একেরপর এক ঐ নুরানিচাপার লিংক বিভিন্ন পোস্টে-স্টাটাসে পোস্ট করে যাচ্ছিল?
এখন ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় প্রমাণ করা যাচ্ছে যে এটি রাজিবের ব্লগ নয়, এটি ১৬ তারিখেও মোডিফাই করা হয়েছে। তাহলে বুঝুন জামাত-শিবির ইসলাম ধর্ম নিয়ে কতটা নিচু পর্যায়ে যেতে পারে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার জন্য? শিবিরের কর্মীরা ইসলাম ধর্মের চেতনায় বলিয়ান নয়, তারা বলিয়ান ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা সহ তাদের সহযোগী নানা প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধাভোগী ।
এখনো যারা দ্বিদ্ধাদ্বন্দে আছেন, নিজের চেতনায় জাগুন, আমি বা অন্যে কি বলল তা প্রাধান্য নয়।
সব কথার বড় কথা রাজিব'কে ধর্ম'র জন্য হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছে শাহবাগ জাগড়ণের জন্য, রাজাকারের ফাসি দাবী করার জন্য, জামাত-শিবিরের প্রতিষ্ঠান বর্জনের জন্য।
আন্দোলনকারীদের প্রতি- যে শিবির রগকাটা নামে পূর্ব পরিচিত, যাদের গুন্দামীর শৃংখল অতি উন্নত, যারা পুলিশের বিরুদ্ধে সংঘর্ষের জন্য পথে নামে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে এত সহজভাবে নেয়াটা ঠিক হয়নি শিবির'কে। পাল্টা আঘাতের জন্য সাবধান হওয়া উচিত ছিল। উচিত ছিল দলবদ্ধভাবে চলার। কোরান শরিফ পুরিয়ে উদর পিন্ডি বুদোর ঘারে যেমন শিবির দিতে পারে তেমনি পারে আরেকটি উদিচি'র মত বোমা হামলা করতে। তাই সাবধান থাকতে হবে এই ভয়ংকর শিবির থেকে।
মনে রাখতে হবে সাইরাস চিং'এর একটি কথা " অনেক দিন আগেই আমি বুঝেছি যে শুয়োরের সঙ্গে দ্বন্দ্বযুদ্ধ করতে নেই। শরীর নোংরা হয়ে যাবে এবং শুয়োরটি এইটিই পছন্দ করবে। "
জয় আমাদের হবেই, এই সংগ্রাম জনতার। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।