ভানুর সেই বিখ্যাত কৌতুকটি অনেকেই শুনেছেন। ভানু যখন "প্রত্যেক" উচ্চারণ করতে গিয়ে বলে "পেত্যেক" তখন তার ভুল শুধরিয়ে দেয়া হল। বলা হল প-এ র-ফলা দিয়ে উচ্চারণ করতে হবে। তারপর থেকে ভানু সব শব্দ র-ফলা যুক্ত করে উচ্চারণ করতে লাগল। তাকে বলা হল সব শব্দের সাথেই র-ফলা দেয়ার দরকার নেই, কেবল যেখানে দরকার সেখানে দিলেই চলেবে।
কিন্তু ভানুর এক কথা-
"না। দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রব ট্রাত্রেই দ্রিমু। "
আচ্ছা ভানু যদি আমাদের তৌফিক এলাহী চৌধুরী হইতেন তাহলে তিনি কী কইতেন বইলা আপনাদের মনে হয়?
আমার মনে হয় তিনি কইতেন- "টাইম আগাইয়া দ্রিছ্রি য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রব ট্রাত্রেই দ্রিমু। গ্রমক্রালেও দ্রিমু, শ্রীতক্রালেও দ্রিমু। "
একেবারে নচ্ছার গোঁয়ার আরকি।
ভানুর কৌতুকটি কেবল কৌতুক নয় ওতে মানুষের অহংকার যখন ফুসে ওঠে, মানুষ যখন নিজের ভুল সহজ-স্বাভাবিকতায় স্বীকার করার মত মহত্ব দেখাতে পারে না। তখন কেমন গোয়ারের মত হাস্যকর আচরণ করে তা-ই দেখানো হয়েছে। র-ফলার সঠিক ব্যবহার ভানু জানত না, কেউ তাকে ভুলটি ধরিয়ে দেবার পর সে বুঝতে পারে যে তার ভুল হচ্ছে কিন্তু সে ভুল স্বীকার করার মত নৈতিক সাহস তার নেই। তাই সে অহংকারে মরিয়া হয়ে গোঁয়ার এক নচ্ছার হয়ে ওঠে। আমাদের বিদুৎ বিভাগের মাথামুরুব্বীরা ভানুর কৌতুক থেকে কী শিক্ষা নেন তা-ই দেখার অপেক্ষায় আছি।
আমার তো মনে হয় বর্তমান সময় না পিছানোর যুক্তিসংগত কোনো কারণ অপেক্ষা নিচের কারণগুলিই বেশী গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারের কাছে-
১। টাইম আগাইয়া দেওনে প্রতক্ষ্যগোচর কোনো লাভের হিসাব সরকার জনগণকে দেখাইতে/বুঝাইতে পারে নাই। এ অবস্থায় টাইম পিছাইয়া দিলে তা হইবো একধরনের নীতিগত পরাজয়। তাই "লাভ হইতাছে, লাভ হইবো" বইলা টাইম না পিছানোর গোঁ ধরছে। অনেকটা সেই "দ্রিমু য্রখ্রণ ত্রখ্রন স্রব ট্রাত্রেই দ্রিমু"- আরকি।
২। আর কিছু সেভিং যদি হইয়াও থাকে সেই অতিরিক্ত বিদুৎ দিয়া এলিট লোকজন গরমকালে সু্টকোট গায়ে চাপাইয়া সারাদিনমান এসি চালাইতে পারব আর শীতকালে রুম গরম রাখতে পারব। সামান্য এই দানে এলিটরা তো সরকারের উপর দিলখুশ থাকবো।
৩। সরকারের ক্ষমতা এখনও ৪ বছর চলতে হইব।
বছরে দু্ইবার টাইম আগানো আর পিছানো কইরা বি,এন,পি কে বছরে দুইবার একটা আন্দোলন করার মত ইসু হাতে তুলে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। তার চেয়ে "এক ইসু একবার দিছি, আর দিমুনা"- এই নীতিই ভাল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।