সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
'ওই যে কপোতাক্ষ দেখতিছেন। ও ছিল আমাগের প্রাণ। মা-চাচীরে কত মানত দিতে দেখিছি। ছাওয়াল-পাওয়াল হতিছে না, মেয়ের বিয়ে হচ্ছি না, বড় কোনো রোগ হয়েছে, সংসারের আয়-উন্নতি হতিছে না_ যা কিছু সমস্যা হইক না ক্যান, তার কাছে এসে মানত করিছে। ভালো মনে মানত দিলে সাতে সাতে কাজও হয়েচে।
১৭ বছর হয়া যাবার পরও আমার যখন বিয়ে হতিছিল না, বাবজান তখন দুই ডেগ শিনি্ন মানত করিছিল। তার ৭ দিনের মাথায় কাজ হয়েছে। আমার বিয়ে হয়েছে। আর আইজ সেই কপোতাক্ষে আমাগের উপর থেকে চোখ তুইলে নিলে!'_ তালার তেঁতুলিয়ার বাসিন্দা ৮৫ বছর বয়সী ললিতা ঘোষ মৃতপ্রায় কপোতাক্ষের দিকে হাত উঁচিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এভাবেই বিড়বিড় করে ওই নদের সঙ্গে তার আত্মিক সম্পর্কের কথা বললেন।
ললিতার মতে, একদিন যে নদ ললিতাকে নতুন জীবন দিয়েছে, সংসার-সন্তান-সন্ততি দিয়েছে, সেই নদই আবার পথে বসিয়েছে তাকে।
এখন শুধু
ললিতার বাকি রয়েছে ভিক্ষা করা। আর কিছুদিন পর হয়তো তা-ই করতে হবে। গত ৭ বছর ধরে বন্যার সঙ্গে অবিরাম যুদ্ধ করে এখন ক্লান্ত ললিতা। নিজ ভিটা ছেড়ে বছরের ৭-৮ মাস রাস্তার ধারে পলিথিনের খুপড়ি পেতে বসবাস করতে হয়
(সমকাল)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।