মানুষ বাড়ার সাথে সাথে শহরের রাস্তা-ঘাটের ব্যস্ততা বাড়ছে । যার ফলে মানুষকে দীর্ঘক্ষন ট্রাফিক জ্যামে পড়ে কষ্ট করতে হয়। আর এর মূলে রয়েছে চালকদের নৈরাজ্য, আইন না মানা, যত্র-তত্র পার্কিং, বেপরোয়া গাড়ি চালানো্ ইত্যাদি। রাস্তায় যে যার মতো পারছে যানবাহন চালাচ্ছে, এখানে কোন শৃঙ্খলা নেই। আর বিশ্বের বেশীরভাগ দেশে হর্ণ এর ব্যবহার সীমিত হলেও আমাদের দেশে ওভারটেকিং করতে হলে হর্ন না দেয়া যেন অপরাধ।
তাই রাস্তায় হর্ণের যন্ত্রণায় মানুষ অতিষ্ট। মড়ার উপর খড়ার ঘা হিসেবে ইদানিং মিউজিক হর্ণ (কেউ কেউ ইনেকট্রনিক, পপ, পপ হর্ণ বলে) এর ব্যবহার অত্যাধিক হারে বেড়েছে কেউ কেউ এটা ব্যবহার করে যাতে সামনের গাড়িগুলো তাড়াতাড়ি সাইড দিয়ে দেয়। বিশেষ করে যারা মোটর সাইকেল চালান তারা কোন কিছুর তোয়াক্ক করে না যে করেই হোক তাদের সবার আগে যেতে হবে। অনেকে সরকারী রাস্তাকে তাদের পূর্বপুরুষদের সম্পত্তি মনে করেন, যেন তার জন্য সবাই রাস্তা ছেড়ে দিতে হবে। এ হর্ণগুলো তীব্র শব্দ উৎপাদন করে যা হাইড্রলিক হরনের সমপর্যায়ের ।
আবার এবার টিপ দিলে ৩-৫ বার হর্ণ বাজে। তীব্র শব্দ সৃষ্টিকারী যে কোন হর্ণের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও সবার চোখের সামনেই শহরের মধ্যে অবাধে এসবের ব্যবহার চলছে কিন্তু এগুলো দেখার কেউ নেই।
আমরা মানুষ কারন আমাদের মানবিক গুনাবলী আছে। একজন ভাল মানুষ কখনও এমন কোন কাজ করতে পারে না যা অন্যের জন্য ক্ষতির কারন। আপনি যদি একজন গাড়ি চালক, অথবা মোটর সাইকেল চালক হন আর আপনি যদি এধরনের হর্ণ ব্যবহার করেন তবে একজন পথচারী বা রিক্সা আরোহী হয়ে দেখুন আপনার হর্ণ কতটুকু বিরক্তিকর।
আপনার কাজটা ইতরের পর্যায়ে পড়ে কি-না? তাই আসুন ভাই আপনার মানবতা বোধকে জাগ্রত করুন। কবি বলেছেন- প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।