কিছু নেই লেখার
একজন ধর্ষকের কী সাজা হওয়া উচিত তা উঠে এসেছে একজন যৌন নিপীড়িত মেয়ের জবানিতে। ঠিক ধর্ষণ বলতে যা বোঝায় মেয়েটি তার শিকার হয়নি সত্যি, কিন্তু মেয়েটি তার নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেছে আমার কাছে। ধর্ষণ কী শুধুই শরীরী বিষয় নাকি আরো কিছু জড়িত আছে এখানে, সে ব্যাপারেও মেয়েটিকে প্রশ্ন করে হয়েছিল এবং মেয়েটি তার মতামত আমাকে জানিয়েছে।
***উল্লেখ্য যে মেয়েটির ব্যক্ত কথামালাই এখানে প্রকাশিত হয়েছে, কোন বিতর্ক শুরু করার চেষ্টা করা হয়নি। আর মেয়েটি তার সাক্ষাৎকার ব্লগে প্রকাশ করতে রাজি হলেও তার পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি নয়।
***
প্রশ্ন: আপনার কী মনে হয়, একজন ধর্ষকের কী সাজা হওয়া উচিত?
উত্তর: আমার মনে হয়, ঐ *******দের নপুংশক করে দেওয়া উচিত। একটু একটু করে শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া উচিত, তাতে লবণ লাগিয়ে দেওয়া উচিত। সুযোগ থাকলে, শরীরের যত প্রবর্ধন আছে তার অগ্রভাগে আগুন ধরিয়ে দেওয়া উচিত। এমন আগুন যা সিগারেটের মত জ্বলে; প্রতিবার নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় আগুন একটু একটু করে জ্বলে ওঠে। নিঃশ্বাস না নিয়েও থাকতে পারবে না, আর প্রতিবার নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় তীব্রতম যন্ত্রণা অনুভব করবে।
ঐ ******** যেন নিজের অস্তিত্বের ধ্বংস নিজ চোখে দেখে তিলে তিলে মরে....। আর এর চেয়ে জঘন্য কোন শাস্তি থাকলে তাও দেওয়া দরকার....
এত জঘণ্য এরা কোন গালি দিয়ে শান্তি পাই না... খালি মনে হয় গালিটার অপমান হচ্ছে.... নিকৃষ্টতম গালি দরকার ঐ ********দের জন্য।
প্রশ্ন: আপনার কেন এমনটা মনে হচ্ছে? অনেকেই মনে করেন ধর্ষণ "জোরপূর্বক শারীরিক মিলন" ছাড়া কিছু নয়....
উত্তর: তাদেরই এমনটা মনে হতে পারে যারা কখনও যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের শিকার হয়নি অথবা যাদের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অন্য ছাঁচে গড়া....
কারণ ধর্ষণ যতটা শারীরিক নির্যাতন, তার চেয়ে বেশি মানসিক নির্যাতন।
ধর্ষণের শিকার হলে কোন মানুষ কখনই অপবিত্র হয়ে যায় না। কিন্তু তার সব সময়ই মনে হতে থাকে তার শরীরে দ্যাট******** এর স্পর্শ রয়ে গেছে।
এবং কোন কাজই শান্তিমত করতে পারা যায় না। সব কিছুতেই ক্লেদ আর নোংরামি চোখে পড়ে। সবার ক্ষেত্রে কী হয় জানি না, আমার এমনটাই হয়েছে.... বলতে খুব সহজ মনে হচ্ছে, কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই সহজ না। এই মানসিক অবস্হায় মানুষ যদি ধর্ষককে খুন বা নিজে আত্মহত্যা করে তবে তা বিচিত্র কিছুই মনে হবে না আমার কাছে। বিশেষ করে শিশু যারা, ছেলে বা মেয়ে তারা ধর্ষণের শিকার হলে তাদের ব্যাক্তিত্ব থেকে শুরু করে পুরো জীবন পাল্টে যায়।
প্রশ্ন: ধর্ষণ রোধে কী করা যায় বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: কিছুই না..... না প্রতিরোধ.. না সচেতনতা.... শুধু প্রত্যেকের মাঝে একটু করে বিবেক ঢুকিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করা যায় না....
** সাক্ষাৎকারের এই অংশটুকুই কেবল প্রকাশিত হল...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।