স্বপ্নগুলো সত্যির প্রত্যয়ে পথচলা ............
আজ প্রায় তিন বছর ধরে আমাদের আশেপাশের মানুষ দের ভালোবাসা দেখে অনেক তথ্য বের করলাম।
আজ কিছু তথ্য আপনাদের জানাই তা হল;-
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে
যারা ভালোবাসে তাদের মধ্যে........
১০০% মেয়েদের মধ্যে ৮০%মেয়েরা প্রথম যাকে পছন্দ করে সেটাই তাদের সত্যিকার ভালোবাসা। আর বাকি ২০% মেয়ে ভালোবাসা নামক কথা দিয়ে খেলা খেলে, ছলনা করে।
আর ছেলেদের ক্ষেত্ররে ১০০% ছেলেদের মধ্যে মাত্র ৩০% ছেলে প্রথম যাকে পছন্দ করে সেটাই তাদের সত্যিকার ভালোবাসা। আর বাকী ৭০% ছেলে রা ভালোবাসা নামক কথা দিয়ে খেলা খেলে, ছলনা করে।
এবং ৭০% সত্যিকার ভালোবাসার মেয়েরা ৭০% ছেলেদের ছলনাময় ভালোবাসার স্বীকার হয় যার পরিনাম ছ্যাকা।
সাথে ২০% সত্যিকার ভালোবাসার ছেলেরা ২০% মেয়েদের ছলনাময় ভালোবাসার স্বীকার হয় যার পরিনাম ছ্যাকা।
আর বাকী ১০% ছেলে এবং মেয়ে এদের ভালোবাসা সত্যি হয়, পবিত্র থাকে, স্বার্থক হয় এবং এদের ভালোবাসা (True love) সত্যিকার ভালোবাসা।
এমন ও হতে পারে আপনি সেই ১০% ভালোবাসার মানুষদের মধ্যে সৌভাগ্যবান কেউ???
আবার এমন ও হতে পারে আপনি ৭০% অথবা ২০% ছলনাময় ভালোবাসার স্বীকার।
আরেকটি তথ্য জানিয়ে রাখি কোন ছেলে মেয়ে যখন ভালোবাসা নামক সর্ম্পকে জড়ায় তখন প্রথম ৪-৬ মাস অনেক মধুর সময় পার করে।
কিন্তু ১ বছরের মাথায় অনেক ভালোবাসার ফাটল ধরে। আর আমি যতটুকু শুনেছি কোন মানুষের প্রতি যদি ভালোলাগা কাজ করে তাহলে সেই ভালোলাগা খুব বেশী হলে ২ বছর ৬ মাস কাজ করে,এর আগেই ভালো লাগা কমতে থাকে। তারপর থেকে তার প্রতি আর ভালোলাগা কাজ করে না এবং এই সমস্যা টায় বেশির ভাগ সময় মেয়েদের থেকে ছেলেরা বেশি ভুগে থাকে। আর এই ভালো লাগা মোহ থেকে ভালোবাসার সৃষ্টি। মোহটা কেটে গেলে ''আমি তোমাকে ভালোবাসি'' এই কথা টা আর শুনা যায় না.........।
যার ফলে পরিনাম কী বুঝতে পারছেন তো???
তাই আপনি ভেবে দেখুন আপনি যাকে ভালোবাসেন বা মোহতে পড়ে ভালোবাসছেন না কি তা সত্যিকার ভালোবাসা।
কাউকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেওয়ার আগে দ্বিতীয় বার ভাবুন, আপনার অবস্থান নিয়ে ভাবুন, আপনার যোগ্যতা নিয়ে ভাবুন। যাকে আপনি ভালোবাস তে যাচ্ছেন সে আপনার কতটুকু যোগ্য। আপনার বাস্তবতা নিয়ে ভাবুন,আপনার পরিবার কে নিয়ে ভাবুন,তারা কী মেনে নিবে? সব অবস্থা কে ভাবুন,আপনি তার জন্য কী যোগ্য?
তারপর যে উওর বের হয়ে আসবে সেই অনুসারে কাজ করুন। যদি উওর অনুকুল হয় তাহলে বলে ফেলুন আপনার মনের কথা।
আর প্রতিকুল হলে অপেক্ষা করুন, নিজে যোগ্যতা সম্পন্ন হন তখন তাকে পাওয়া কোন ব্যাপার না।
আর একটা জরুরী কথা বাবা-মা কে কষ্ট দিয়ে কখনো সুখি হওয়া যায় না।
আমাদের বাবা-মা অনেক সময় ভালোবাসা মেনে নেয় না। আমার মনে হয় পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তাদের কে যদি আপনি বুঝাতে পারেন তবেই তারা মেনে নেবে কারণ বাবা-মা সন্তানের অমঙ্গল চায় না।
আর এ জন্য আপনাকে দৈর্য্য ধরতে হবে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।
এখন বাকী আছে তাদের কথা যারা কি না ভালোবাসা নামক পবিত্র কথা দিয়ে ভালোবাসার মানুষ গুলো কে ধোকা দিচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার এত টুকু বলার আছে। আজ ছলনা করছো মানুষ কে কষ্ট দিচ্ছো। কিন্তু যে পরিমান কষ্ট তুমি দিচ্ছো তা তোমাকে ভোগ করতে হবে।
একদিন তো তুমি কাউকে না কাউকে ভালোবাসবে। সে দিন বুঝবে ভালোবাসা কী? ভালোবাসা মানুষ কে হারানো কি অনুভূতি? হয়তো আমার কথা গুলো শুনে মনে করছো আমি ফালতু কথা বলছি। কিন্তু সব কিছুর পর ও আমি বলবো তুমি অন্তত শান্তিতে থাকতে পারবে না। ভালোবাসার কষ্ট তোমাকে পেতে হবে.......।
প্রবাদে আছেঃ ইঁট মারলে পাঁটকেল খেতে হয়।
উপরের এই প্রবাদ বাক্যটি অনেকেই ভুলে যায়।
শেষ কথা ভালোবাসার সংজ্ঞা কেউ বলতে পারবে না।
সত্যিকার ভালোবাসা এমন একটা জিনিষ যা কি না আল্লাহ প্রদক্ত।
আমার কাছে ভালোবাসার অর্থ হচ্ছে শ্রদ্ধা,বিশ্বাস,একজন আরেকজন কে বুঝতে পারা আর Sacrifice.
আপনার কাছে ভালোবাসার অর্থ কী তা আপনি ভাল জানেন??
ধন্যবাদ সবাই কে.........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।