ফেসবুক আইডি:নাই
কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজকল কর্ণফুলী পেপার মিল বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাসের সঙ্কট মোকাবেলা এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সার-কারখানায় স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে গত সপ্তাহে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে কর্ণফুলী পেপার মিল বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিচ্ছে। এ পেপার মিলের উৎপাদন বন্ধ করা হলে এতে এ কারখানার দৈনিক ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হবে বলে।
দৈনিক ১১০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কর্ণফুলী পেপার মিল চালু রাখতে দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন। বর্তমানে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভয়াবহ গ্যাস সঙ্কটের কারণে স্থানীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সার-কারখানায় স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
তাই সাময়িকভাবে কর্ণফুলী পেপার মিলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয়ের মাধ্যমে ওই গ্যাস চট্টগ্রামের ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) ও রাউজান তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহের প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা।
চট্টগ্রামের গ্যাস সরবরাহ সীমাবদ্ধতার মধ্যে সিইউএফএলকে দৈনিক ৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহ করা হলে চট্টগ্রামের রাউজান ও শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে রাউজান ও শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকলে চট্টগ্রামে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কটের আশঙ্কা রয়েছে।
রাউজান বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু রাখতে হলে দৈনিক ২৫ মিলিয়ন সিইউএফএল ও রাউজান বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে। এতে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সার উৎপাদনে জটিলতা দূর হবে এবং কৃষি মৌসুমে সারের কোনো সঙ্কট হবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।