আমি কিছুই লিখব না।
গৃহস্থালি ও শিল্প খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বেড়েছে। শনিবার (০১ আগস্ট) থেকেই কার্যকর হচ্ছে বর্ধিত মূল্য। তবে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) এর মূল্য বাড়ানো হয়নি।
সেপ্টেম্বরের পর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
গ্যাসের নতুন মূল্যে গৃহস্থালি খাতে এক চুলার ক্ষেত্রে ৩৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা, দুই চুলার ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ টাকা করা হয়েছে। মিটারভিত্তিক গৃহস্থালি সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ১৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৩ দশমিক ২৫ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের মূল্য বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৭৩ দশমিক ৯৮ টাকা থেকে ৭৯ দশমিক ৮২ টাকা, সার কারখানার জন্য ৬৩ দশমিক ৪১ টাকা থেকে ৭২ দশমিক ৯২ টাকা, ক্যাপটিভ ও ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১০৫ দশমিক ৫৯ টাকা থেকে ১১৮ দশমিক ৩৬ টাকা, শিল্প কারখানা ও চা বাগানের জন্য ১৪৮ দশমিক ১৩ টাকা থেকে ১৬৬ দশমিক ৯১ টাকা, বাণিজ্যিক সংযোগের জন্য ২৩৩ দশমিক ১২ টাকা থেকে ২৬৮ দশমিক ০৯ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি সর্বশেষ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মোখলেসুর রহমান খন্দকার শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিভিন্ন খাতে গ্যাসের মূল্য ১১ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
বাড়তি মূল্য বাবদ যে অর্থ আয় হবে তা দিয়ে 'গ্যাস উন্নয়ন তহবিল' গঠন করা হবে। পেট্রোবাংলা ও তার অধীন কোম্পানিগুলো কোনও খাতে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার রাতে ১২টার দিকে বিইআরসি গ্যাসের নতুন মূল্য তালিকার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়, নতুন নির্ধারিত মূল্য ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
মোখলেসুর বলেন, "মূল্য বৃদ্ধির ফলে পেট্রোবাংলার বছরে ৭১৭ কোটি টাকা বেশি আয় হবে।
বাপেক্সসহ গ্যাস খাতের উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। "
বিইআরসি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত আদেশে বলেছে, ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর কমিশনের আদেশের ধারাবাহিকতায় মূল্য বৃদ্ধির আদেশ দেওয়া হলো। গ্যাস খাতের উন্নয়নে পেট্রোবাংলাকে ৫ বছরের একটি আর্থিক ও ভৌত কর্মসূচির পূর্বাভাস দিতে হবে। এর ভিত্তিতে তহবিলের অর্থ ব্যয় হবে। ৬ মাস পর পর পেট্রোবাংলাকে বিইআরসির কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
এর ভিত্তিতে কর্মসূচি নতুন করে হালনাগাদ করা হবে।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের অর্থ লভ্যাংশ হিসেবে বিবেচিত হবে না। অর্থ ব্যয়ের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। নীতিমালাটি কমিশনের কাছ থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে গণশুনানির আয়োজন করা হবে।
গ্রাহককে বিল পরিশোধের প্রত্যায়নপত্র প্রদান করতে হবে। বিলে গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের কথা বিলে উল্লেখ করতে হবে।
পেট্রোবাংলার আবেদনের ভিত্তিতে গত নভেম্বর মাসে কমিশন গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠনের শর্তে গ্যাসের দাম বাড়ানোর মতামত দিলে পেট্রোবাংলা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে এ সংক্রান্ত অর্থের উপর কর মওকুফের জন্য চিঠি দেয়। তবে রাজস্ব বোর্ড কর মওকুফ করতে রাজি হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিইআরসি ও পেট্রোবাংলাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কর বাবদ যে টাকা রাজস্ব বোর্ড আদায় করবে তা পরবর্তীতে থোক বরাদ্দ হিসেবে পেট্রোবাংলাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
বিদ্যুতের মূল্য:
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মোখলেসুর রহমান জানান, সেপ্টেম্বরের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ডিপিডিসি, ডেসকো এবং ওজোপাডিকোর কাছে মে মাসে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর নিরীক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিপিডিসি, ডেসকো, ওজোপাডিকো, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডসহ প্রতিটি বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানই বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির জন্য বিইআরসির কাছে আবেদন করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।