আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বসুন্ধরার মালিক কি পাগল হয়ে গেলো? নাকি জাতিকে হাসানোর দায়িত্ব নিলো?



বসুন্ধরার মালিক শাহ আলম কি পাগল হয়ে গেছেন? আমার কাছে মনে হচ্ছে তাই। আসলেই তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তা না হলে বসুন্ধরায় আগুন লাগার সাত মাস পর তিনি কি করে বললেন সমকালের সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, মালিক এ কে আজাদ, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান মিলে বসুন্ধরায় আগুন লাগিয়েছে? কি হাস্যকার। বাংলাদেশের না শতবর্ষের সেরা কৌতুক হতে পারে এটি। গত কয়েকদিন ধরে সমকাল, প্রথম আলো, এটিএনসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম বসুন্ধরার জমি দখল, সাব্বির হত্যা মামলাসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছেন।

আর এতেই ক্ষেপেছেন শাহ আলম। লোকটির কোটি কোটি টাকা আছে কিন্তু আসলেই কোন বুদ্ধি নাই। গত কয়েকদিন ধরে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিভিন্ন মিডিয়ায় তিনি যে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তাতে কোথাও বলেননি তাঁর বিরুদ্ধে যেসব সংবাদ করা হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা। সবচেয়ে হাস্যকার হলো, বুধবার সারাদিন বসুন্ধরা প্রথম আলো ও সমকালের বিরুদ্ধে মামলা করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ হাস্যকর এই মামলা নিতে রাজি না হলে সারাদিনেরে চেষ্টা ব্যার্থ হয়ে যায়।

অবশেষে রাতে একটি জিডি করে ঘরে ফেরে বসুনন্ধরা গ্রুপের লোকজন। জিডির অভিযোগ বড়ই হাস্যকর। গত ১৩ মার্চ বসুন্ধরায় আগুন লাগে। এর সাত মাস পর এসে বুসন্ধরা নাকি তদন্ত করে দেখেছে সমকালের প্রথিতযশা সম্পাদক বৃদ্ধ গোলাম সারোয়ার, পত্রিকাটির মালিক আজাদ সাহেব, প্রথম আলোর মতিউর রহমান ও তাঁর ছেলেরা নাকি বসুন্ধরায় আগুন লাগিয়েছে। কারণ, সমকালের সম্পাদক নাকি বসুন্ধরার কাছে বিজ্ঞাপন চেয়ে পাননি।

কি হাস্যকর। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় গোলাম সারোয়ার সমকালের সম্পাদক ছিলেন না। কাজেই বিজ্ঞাপন চাইবেন কেমনে? সমকালের মালিক নাকি তার কাছে ফ্ল্যাট চেয়েছিলো। এসব না পেয়ে নাকি ষড়যন্ত্র করে আগুন ধরাইছে। বাংলাদেশের কোন গাধায় বিশ্বাস করবে এই কথা? আরে বেটা মামলা যখন করবি এমন মামলা কর যেটা ধোপে টেকে।

একটু জটিল কইরা কর, যেটা জণগন কিছুটা হলেও বিশ্বাস করে। গোলাম সারোয়ার, মতিউর রহমানরা আগুন লাগালো আর সেটা আট মাস পর তদন্ত করে তারা বাইর করলো। তো বেটা আগুন লাগার পর পরই এসব কথা বলিস নাই কেন? শুনেছি, বসুন্ধরার মালিক একটি বাংলা দৈনিক, একটি ইংরেজি দৈনিক এবং একটি টেলিভিশন চ্যানেল করবেন। এজন্য ইতিমধ্যেই দেশের নামকরা সব সাংবাদিক তাঁর প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। এই সাংবাদিকরা কি তাইলে ঘোড়ার ঘাস কাটলো? এমন একটি হাস্যকর মামলা হলো, তারা কোন বুদ্ধিই দিলো না তাদের মালিককে।

বললোও না যে এই মামলা কেউ বিশ্বাস করবে না। বসুন্ধরায় আগুন লাগার ঘটনার সরকারি তদন্ত চলছে। আগুন লাগার পর বসুন্ধরা বলেছিলো, কোন ত্রুটির কারণে এটি হতে পারে। বসুন্ধরায় সব সময়েই ফুটেজ থাকে কে যাচ্ছে কে বের হচ্ছে। সেসব দেখে তারা কি বের করলো? ঘটনার পর পরই তারা তাইলে কেন কইলো না গোলাম সারোয়াররা আগুন লাগাইছে।

আমার মনে হয়, মামলাটা এভাবে করলে ভালো হতো। গোলাম সারোয়ার, মতিউর রহমান গেছে বসুন্ধরায়। গোলাম সারোয়ার সিগারেটে খেয়ে সেটি ফেলেছে আটতলার কোন রান্নাঘরে। আর তাতেই ধরছে আগুন। এর চেয়ে ভালো কোন অভিযোগ তো মাথায় ঢুকে না।

হাসি পায়, এই বুদ্ধি নিয়ে বেটা নাকি পত্রিকা বের করবে। ছাগল আর কারে কয়? না জানি আমার এই লেখার কারণে আবার আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা করে কিনা। দেখা গেলো, আমার বিরুদ্ধে মামলা হলো, আমি আগুন লাগার সময় জোরে ফু দিয়েছি, তাতে আগুন আরো ছড়াইছে। সঙ্গে এই ব্লগের মডারেটরাও না আসামি করে ফেলে এই লেখা প্রকাশের জন্য। ভাই আতঙ্কে আছি, মডারেটর সাহবে হাইসেন না, আপনারও খবর আছে।

শাহ আলম আইতাছে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.