বিভিন্ন পোস্টে সবাই দেখলাম অগ্নি নির্বাপণে অব্যস্থাপণা কে দুষছেন।
ব্যবস্থা থাকলে অব্যবস্থার প্রশ্ন আসে। কেন যে এই সাধারণ কথাটা কেউ বোঝেনা।
আমার আগুণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাপাসিটি ১২ তলা পর্যন্ত, আমি পার্মিশন দিয়েছি ২৫ তলা ভবন তোলার।
তাহলে বাড়তি তলা গুলোর আগুন কে নিয়ন্ত্রণ করবে? সংশ্লিষ্ট ভবন কর্তৃপক্ষ।
ভালো কথা; তা নিয়ন্ত্রনের যথাযথ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কিনা সেটা কে মনিটর করবে? কে ফি বছর ফায়ার ফাইটিং এর যথাযথ ব্যবস্থা ভবনে আছে কি না তা অডিট করে ক্লিয়ারেন্স দেবে? ২০০৪ থেকে ৪ বৎসর এই ক্লিয়ারেন্স কে দিয়েছে? না কি এই অডিটেরও ব্যবস্থা নেই?
ফায়ার ফাইটারদের অসহায়ত্ব আর সীমাবদ্ধতা দেখে খারাপ লাগছিল। কিন্তু যে হারে নিচের দিকে অকারণে পানি ছোঁড়া হচ্ছিল, তাতে একবার মনে হল ঠিক যখন ১০-১১ তলার দিকে আগুন আসবে, তখনই এদের স্টক শেষ হবে। তখন কি হবে? এমনিতে ঢাকায় পানির যে ক্রাইসিস, তা আরও বহুগুন বাড়াতে সাহায্য করল এই ঘটনা।
বসুন্ধরা ভবনের স্থপতির (নাম সম্ভবত ফয়জুল্লাহ) টেলিফোন সাক্ষাতকার দেখলাম টিভিতে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছিল ক্ষয় ক্ষতি কি রকম হতে পারে? তাঁর হাইপোথেটিক্যাল জবাব শুনে মনে হচ্ছিল সাধারন কোন মানুষের সাক্ষাতকার নেওয়া হচ্ছে।
আর কি বলব। একজন দমকল কর্মীর প্রাণ গেছে। মহৎ এক যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন তিনি। তাঁকে জানাই সহস্র স্যালু্ট। সাথে এটা মনে মনে ভাবি, ক'দিন আগে এক হেলিকপ্টার বিদ্ধস্ত হয়ে দু'জন সেনা নিহত হয়েছেন, একদিনের জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
সাথে এটাও মনে আসছে, এ ক'দিনে অনেক সাধারণ নাগরিকও মারা গেছেন নানা দুর্ঘটনায়।
সবার কথা ভেবেই খুব খারাপ লাগছে। সাথে এটাও সত্যি, মৃতের কোন পদ নেই, পদবী নেই।
এই মাত্র খবর পেলাম লিফটে আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।