আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখনই সময় জেগে উঠবার, এখনই সময় লড়াই করবার, এখনই সময় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর, এখনই সময় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার এবং এখনই সময় বদলে যাবার

হৃদয়ে থাকুক বসন্ত লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই, লড়াই ছাড়া উপায় নাই। জেগে উঠেছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির আস্ফালন আর সইতে পারিনি, আমরা। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার বিজয়ী আঙ্গুল আমাদের খুঁচিয়ে, জাগিয়ে দিয়েছে। ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়েছে, এই প্রজন্মের।

চারদিকে আজ একটাই শ্লোগান, ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই। স্বাধীনতার চল্লিশ দশক পর আমাদের এবার দায়মুক্তির লড়াই। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ প্রান আর সম্ভ্রম হারানো মায়ের-বোনের আর্তনাদের দাম আদায় করে নেবার সময় এসেছে আজ। মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নেয়া শিশুকে যারা পায়ের নিচে পিষে দিয়েছে, আজ তাদের পিষে দেবার সময়।

কতটা সহজ হবে এই কাজ? আজ, আমরা, আমাদের এক ব্লগার ভাইয়ের লাশ বুঝে পেয়েছি, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কাছ থেকে। ৭১ এর পশুরা আবার তাদের অস্ত্রে শান দিয়েছে, গোপন তালিকা করছে, মানুষ হত্যার জন্য, বুদ্ধিদীপ্ত তরুনের শরীর থেকে প্রানের রেখা মুছে দেবার জন্য। আমাদের এই আন্দোলন এর বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এভাবে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত আন্দোলন করে কার কাছ থেকে বিচার আশা করবো? যারা গত চল্লিশ দশক ধরে গোলাম আজম, নিজামীদের এই বাংলার মাটিতে পুষেছে, তাদের কাছে? যারা রাজনৈতিক লাভের আশায়, এদের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে, তাদের কাছে? আমাদের অধিকার, আমাদেরই আদায় করে নিতে হবে। এভাবে দিনের পর দিন পড়ে না থেকে, আল্টিমেটাম বেঁধে দিতে হবে।

আমরা বলবো, কতদিনের মধ্যে আমাদের দাবী পূরন করা হবে। আমাদের দাবী, আমরাই আদায় করে নেব। আমাদের এক ভাইয়ের রক্ত ঝরেছে, আমরাও প্রয়োজনে রক্তের হোলি খেলবো, পশুর রক্তে হাত রাঙ্গিয়ে নেব, তবু আমাদের দাবী পূরন করবোই, আমরা। আমাদের আন্দোলন আরো গতিশীল করতে হবে, ছড়িয়ে দিতে হবে, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে। এ ব্যাপারে আমার কিছু প্রস্তাবনা সবার সাথে শেয়ার করলাম- # শাহবাগসহ সারাদেশের আন্দোলনে আল্টিমেটাম দিতে হবে।

কতদিনের মধ্যে আমরা আমাদের দাবী পূরন দেখতে চাই, জানিয়ে দিতে হবে। # জামায়াতের বিষবৃক্ষের দ্বারা সৃষ্ট শাখা-প্রশাখাগুলো থেকে আমাদের স্কুল-কলেজের ছাত্রদের রক্ষা করতে হবে। ইসলামী বই হাতে, স্কুল-কলেজ ক্যাম্পাসে জামায়াত-শিবিরের ছেলেদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। জামায়াতের শিশু-কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি, হিল্লোল নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের শিশু-কিশোর পত্রিকা ফুলকুঁড়ি, কিশোর কন্ঠ, জুভিনেল ভয়েস নিষিদ্ধ করতে হবে।

# জামায়াত শিবিরের হোস্টেল, মেসগুলো চিহ্নিত করে তুলে দিতে হবে, এলাকা থেকে। এ বিষয়ে এলাকার সচেতন যুবকেরা মূল ভূমিকা পালন করতে পারি। জামায়াত শিবিরের সকল ধরনের কর্মকান্ড ভেঙ্গেচুরে দিতে হবে, প্রতিটি এলাকায়, এলাকায়। প্রতিটি এলাকাকে জামায়াত-শিবিরমুক্ত করবো, আমরা। #জামায়াতকে অনেকে ইসলামী দল মনে করে বলে, তাদের জামায়াতের প্রতি সহানুভূতি আছে।

জামায়াত নামক ধর্মবেশ্যাদের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে ধর্মীয় আইকনদের। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররাম এর ইমাম যদি শাহবাগে এবং নামাজের পর মসজিদের মানুষদের জানিয়ে দেন, জামায়াত ইসলামী কোন সংগঠন নয়, এরা ধর্মবেশ্যা। এবং সারাদেশের মসজিদের ইমামদের এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াত নামক ক্ষতিকর কীটটাকে আর ধর্মের আড়ালে আশ্রয় নিতে দেয়া যাবেনা। # রাজীব, জাফর ভাইদের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।

এবার আর ৪৮ ঘণ্টার ছেলেভুলানো মোয়া নয়, বিচার চাই। ন্যায় বিচার চাই। # এ সময় কোন রাজনৈতিক রেষারেষি নয়। কে লাভবান হচ্ছে, কে ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে, এটা ভাবার সময় নয়। এ আন্দোলন কোন রাজনৈতিক ইস্যু নয়।

যারা এটাকে নিয়ে রাজনীতি করবে, তারা ৭১ এর জামায়াতের আলবদর, আল শামস এর মত সুবিধাভোগী। এরাও দেশের শত্রু। # যারা বলছেন শাহবাগে গেলে টাকা দেয়, তাদের প্রতি অনুরোধ, শুধু একদিন আসুন, টাকা নিয়ে যান। এ সুযোগ মিস করবেন কেন? তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেই, আমি এবং আমার বন্ধুরা ১২ দিনের আন্দোলনেই শামিল হয়েছে, কেউ ১ টা টাকা পায়নি। বরং নিজের পকেট এর টাকা দিয়ে চা খেয়েছেন, খাইয়েছেন।

#শাহবাগে মা-বোনদের লাঞ্ছিত করা হয়? একবার নিজের মা, বোন, বউকে, মেয়েকে, প্রিয়তমাকে নিয়ে আসুন শাহবাগ। দেখে যান, এ মাটির সন্তানেরা কতটা শ্রদ্ধায় মা-বোনদের চলার পথ করে দেয়। আরে, আমরা ৭১ এর ধর্ষক গোলাম আজমদের আদর্শে বড় হইনি, আমরা বড় হয়েছি মুক্তিযোদ্ধাদের আদর্শে। # এসে কি হবে? কি বদলাবে? আসুন। কথা দিলাম, সবাই মিলে, বদলে দেব সব।

আমাদের লড়াই, আমাদেরই লড়তে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.