পরে বলবো
নাসা এমন এক শক্তি উৎপাদন যন্ত্র তৈরি করছে যার আকার একটা ময়লা ফেলার বালতির সমান। পরমাণুচালিত এ শক্তি উৎপাদন যন্ত্রের কাজ হবে মানুষকে অনেক সহজে মঙ্গল গ্রহে বা চাঁদে নিয়ে যাওয়া।
নাসা এ বিষয়ে সম্প্র্রতি বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করেছে। এসব পরীক্ষা সফল হয়েছে। ফলে মহাকাশে জ্বালানি সমস্যার একটা সমাধান হতে যাচ্ছে এবং এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে ভিনগ্রহে মানববসতি স্থাপনের পরিকল্পনা অনেকটা এগিয়ে যাবে।
পরমাণু থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হবে তা মহাকাশযানের ইঞ্জিনে শক্তি জোগাবে। এ প্রক্রিয়ায় এক পারমাণবিক বিক্রিয়া সৃষ্টি হবে, এ বিক্রিয়া এক উত্তাপ সৃষ্টি করবে, পরে এ উত্তাপ বিদ্যুতে পরিণত হবে। সেই বিদ্যুৎ মহাকাশযান চালানোর শক্তি জোগাবে। এ ধরনের জ্বালানি তৈরিতে ব্যয় অনেক কম হবে। চাঁদের যে কোনো এলাকায় এ জ্বালানি কাজে লাগানো যাবে।
এ শক্তি উৎপাদন যন্ত্রের নাম রাখা হয়েছে রবার্ট স্টিরলিং। এর নামে স্টিরলিং ইঞ্জিন। রবাট স্টিরলিং ১৯ শতকের কজন শিল্পপতি এবং উদ্ভাবক ছিলেন।
মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের এ মার্শাল রিঅ্যাক্টর বা পারমাণবিক বিক্রিয়া নিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র কাজ করছে। এখানে শীতল করার এক যন্ত্র থাকবে যেটি সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মিশ্রণে পূর্ণ থাকবে, যা পারমাণবিক উত্তাপকে ইঞ্জিনে সরবারহ করবে।
এখন পরীক্ষার মাধ্যমে এর ঝুঁঁকিপূর্ণ দিকগুলো নির্ণয় করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে সব ঝুঁকি আরো কমিয়ে আনা যায়।
বর্তমানে নাসা পরিকল্পনা করেছে ২০২০ সালে তার চাঁদে স্থায়ী এক বসতি বানাবে। ভবিষ্যতে এখানে থেকে মঙ্গল গ্রহে অভিযান পরিচালনারও নাসার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ স্টিরলিংয়ের ছোট্ট এক পারমাণবিক বিক্রিয়া ৪০ কিলোওয়াটের জ্বালানি তৈরি করতে পারে। পারমাণবিক বিক্রিয়া থেকে এ পরিমাণ জ্বালানি যদি তৈরি হয়, তাহলে তা চাঁদ থেকে মঙ্গলে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।