১৯৯৫ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী হিনিকে ডাব্লিও বি ইয়েটসের পরে সবেচেয়ে শক্তিমান কবি হিসেবে মনে করেন সাহিত্য সমালোচকরা।
বেশ কিছুদিন ধরেই হিনির স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছিল না। ২০১০ সালে স্ট্রোক হয়েছিল তার।
শুক্রবার কবির পরিবার এক বিবৃতিতে মৃত্যুর কথা জানায়। আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
কবির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এন্ডা কেনি বলেছেন, “তিনি ছিলেন আমাদের ভাষার, আমাদের প্রথার রক্ষক। ”
১৯৩৯ সালের ১৩ এপ্রিল জন্ম নেয়া হিনির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ডেথ অফ এ ন্যাচারালিস্ট’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৬ সালে। নৈতিকতা, মানবিকতা আর ছন্দের মাধুর্য ছিল তার কবিতার অন্যতম দিক।
অনবদ্য সৃষ্টিকর্মের জন্য ১৯৯৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন এই কবি।
তার মৃত্যুতে গভীরভাবে মর্মাহত বই প্রকাশক ফেবার বলেন, “এই মহান লেখকের মৃত্যুতে সমবেদনা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। তার চলে যাওয়া সাহিত্য জগতে অবর্ণনীয় ক্ষতি”।
হিনির দীর্ঘদিনের বন্ধু এন্ড্রু মোশন ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকাকে বলেন, “তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন মহান লেখক ও কবি। ব্যতিক্রমধর্মী ও বুদ্ধিদীপ্ত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন তিনি”।
‘উইন্টারিং আউট’ (১৯৭২), নর্থ (১৯৭৫), ‘রাইট থ্রু টু স্টেশন আইসল্যান্ড’ (১৯৮৪), ‘সিইং থিংস’ (১৯৯১) এবং সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ডিস্ট্রিক্ট এন্ড সার্কেল’ (২০০৬) এবং `হিউম্যান চেইন’ (২০১০) তার অনবদ্য রচনা।
হিনির জন্ম উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেরি কাউন্টিতে। পরিবারে নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।
ডেরি কাউন্টির ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট কলাম্বস কলেজে কবির শিক্ষাজীবন শুরু হয়। পরে বেলফাস্টের কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন। কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতা দিয়ে।
জীবনের বড় একটি সময় তিনি এই পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
গত বছর ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজ তাকে সম্মান সূচক ফেলোশিপ দেয়। এছাড়া একটি আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নামে চালু করা হয় হিনি প্রফেসরশিপ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।