আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস হঠাৎ করে চুপসে যাওয়ায় বিভিন্ন মহলে কৌতূহল বাড়ছে। এর নেপথ্যে বিশেষ কোনো ‘ঘটনা’ রয়েছে কিনা, অনেকেই তা জানার চেষ্টা করছেন। কারো কারো মতে, সরকারের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
আবার কেউ কেউ বলছেন, রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতায় দেশ যখন রসাতলে যাচ্ছে, তখনো নিশ্চুপ ‘শান্তির দূত’ ইউনূস।
এর কারণ, আন্তর্জাতিক মুরব্বিরা তাকে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে বলেছেন। তাই তিনি পরিস্থিতি দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন। পরে সময়-সুযোগ বুঝে আবার সোচ্চার হবেন।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের টানাহেঁচড়া বন্ধে ড. ইউনূস গত সেপ্টেম্বরে মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। সেই সময় তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে হৈচৈ ফেলে দেন।
তখন অনেকেই একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেউ কেউ তার সরাসরি রাজনীতিতে যোগদানের সম্ভাবনার কথাও বলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনোটাই হয়নি। একটা সময় তিনি রাজনীতির মতো উটকো ঝামেলায় না জড়িয়ে নিজেকে ‘সেফ সাইডে’ সরিয়ে নেন।
এ ক্ষেত্রে একটি মহলের বক্তব্য, রাজনৈতিক অঙ্গনে পা দেয়ার আগেই বিশেষ মহলের চাপে ড. ইউনূস সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে টানাহেঁচড়ার পর তার ঘাড়ে কর ফাঁকির মামলার খড়্গ ঝোলানোর ভয় দেখানোর পর তিনি পিছু হটেন। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একা একা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন, তাও তিনি বুঝতে পারেন। তাই লাভ-ক্ষতির হিসাব কষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নিজেকে তিনি ‘রাজনীতির তোপ’ থেকে দূরে রেখেছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলনে ক্ষমতাসীন সরকারের পতন ঘটলে তিনি আবার আগের সুর ধরবেন।
তবে তার বিরোধী মহলের বক্তব্য, ড. ইউনূসের সেই সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
কারণ, আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে সহযোগিতার আশা জাগিয়ে বিএনপিকে কাছে টানলেও পরে তিনি কৌশলে সরে পড়ায় দলটি এখন তার ওপর প্রচ- ক্ষুব্ধ। এই ইস্যুতে ইউনূসের ওপর ভরসা করে বিএনপি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যায়যায়দিনকে জানান, একদলীয় নির্বাচন পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শক্ত অবস্থান নেবেন, আন্তর্জাতিক মহলে সোচ্চার হবেন, জাতিকে দিশা দেখাবেনÑ এমনটাই আশা করেছিল দেশের মানুষ। কিন্তু তিনি তাদের হতাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ড. ইউনূস তার নেতৃত্বে সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের গণফেরাম, বি. চৌধুরীর বিকল্পধারা, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য এবং আ স ম আবদুর রবের জাসদসহ সমমনা ১০টি দল নিয়ে গ্রামীণ পার্টি বাংলাদেশ (জিপিবি) গঠন করছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
খবরে বলা হয়, তারা নিজেদের তৃতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। আগস্টের শেষভাগে ড. ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির সৌজন্য সাক্ষাৎকারের ঢল নামে। এ সময় বিএনপি, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্পধারা এবং নাগরিক ঐক্যের নেতারা ফুলের তোড়া নিয়ে তার দরবারে হাজির হন। ড. ইউনূসও সরকারকে আক্রমণ করে একের পর এক জ্বালাময়ী বক্তব্য দিতে থাকেন এবং রাজনীতির পটপরিবর্তনের আহ্বান জানান। কিন্তু নভেম্বরে রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর আকস্মিকভাবে উধাও হয়ে যান তিনি।
তার এই অন্তর্ধানে সাধারণ মানুষ বিস্মিত হলেও এতটুকু ঘাবড়ে যাননি অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা। কারণ, তারা ওয়ান-ইলেভেনে ড. ইউনূসের ভূমিকা মনে রেখেছেন। তারা ড. ইউনূসের রাজনীতিতে আসার অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং পরে পিছিয়ে যাওয়া সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের একটি উক্তি স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস অত্যন্ত কৌশলী রাজনীতিবিদ। তবে তিনি রাজনীতির পোশাকটা পরতে চান না।
’
এদিকে, রাজনীতির মঞ্চ থেকে ড. ইউনূসের নীরব প্রস্থানের বিষয়টি পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিতে। তাদের ধারণা, সুদূরপ্রসারী কোনো পরিকল্পনা নিয়ে এই কৌশলী মানুষটি সামনে এগোচ্ছেন। তারা ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক গতিবিধি গুরুত্বের সঙ্গে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার সুপারিশ করেছেন।
তবে পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ বলছেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বৈরী সম্পর্ক শেখ হাসিনার রাজনীতির একটি পরিকল্পিত খেলা। তিনি জানেন, ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি বিশ্বময় একটি পরিচিত মুখ। বিশেষ করে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের ‘খুবই কাছের মানুষ’ তিনি। তারপরও তিনি দেশের প্রচলিত আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইন মেনেই তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরানো হয়েছে। আর কোনো ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠান গড়লেই বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠান, তিনি আজীবন সেই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থাকতে পারেন না।
নির্দিষ্ট বয়সের পর তাকে সরে যেতে হয়। তাই ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরানো কোনো অবৈধ কাজ নয়। দেশের শীর্ষ আদালতও সরকারি এই সিদ্ধান্ত সঠিক বলে রায় দিয়েছে।
এ ব্যাপারে সরকারি একটি সূত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাহরণ টেনে বলেছে, বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি এ দেশের স্থপতি।
কিন্তু তিনি নিজেকে দেশের আজীবন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেননি। তার কন্যা শেখ হাসিনাও বলেননি, তার বাবা যেহেতু দেশের মানচিত্র দিয়েছেন, সেহেতু তিনি আজীবন দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। একইভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তিনি কিংবা তার স্ত্রী খালেদা জিয়া আজীবন ক্ষমতায় থাকার আকাক্সক্ষার কথা কখনো বলেননি। তাই দেশের চেয়ে ব্যক্তি যেহেতু বড় নয়, সেহেতু ড. ইউনূস আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন না।
তবে ঘটনা যা-ই ঘটুক না কেন, পর্দার অন্তরালে কোথাও না কোথাও আঁতাত-সমঝোতা হয়েছে বলে ধারণা করছেন অভিজ্ঞজনরা। তারা বলছেন, ড. ইউনূসের হঠাৎ চুপসে যাওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ঘটনা রয়েছে। তাদের ভাষ্য, ড. ইউনূস যেমন রাজনৈতিক আলোচনা থেকে আকস্মিকভাবে সরে গেছেন, তেমনি সরকারও ‘ইউনূস ঠেকাও’ ইস্যু থেকে ইউ টার্ন করেছে।
নিন্দুকরা যে অহেতুক সন্দেহ করেননি, তা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বরের প্রথম ভাগে কর ফাঁকির মামলা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সেখান থেকে সরে আসা এবং গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে সরকারের আকস্মিক নমনীয় মনোভাবে অনেকটা পরিষ্কার হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে অবৈধ আয় ও কর ফাঁকির অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এনবিআর বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর। আর ব্যাংকিং সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে ব্যাংকিং বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাপারে কোনো বিষয়ে মতামতের প্রয়োজন হলে আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেয়া হবে।
সেই সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১৩৩টি বৈদেশিক প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানী, ১০টি প্রতিষ্ঠান থেকে পুরস্কার এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে রয়্যালটি বাবদ ৫০ কোটি ৬১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮৮ টাকা আয় এবং এর বিপরীতে ১২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৭ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ এনেছে এনবিআর। এছাড়া বিধি লঙ্ঘন করে ড. ইউনূস তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে স্বল্প সুদে ঋণ দিয়েছেন।
সেই সঙ্গে চুক্তিবহির্ভূত সময়ে দায়িত্ব পালন করে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ড. ইউনূস বেতনের বাইরেও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, যা বেআইনি। ইউনূস তার আয়কর রিটার্নেও সঠিকভাবে তথ্য দেননি।
সেই সময় সাংবাদিকদের আরো জানানো হয়, সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী ড. ইউনূস একজন সরকারি কর্মকর্তা। সেই হিসাবে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়ার আবশ্যকতা ছিল। বিদেশে যাওয়ার পর উপার্জিত অর্থ, উপার্জিত অর্থের ওপর করমুক্ত সুবিধা এবং আয়কর অব্যাহতি নেয়া বিধিসম্মত হয়নি।
এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশে গ্রামীণ ব্যাংককে আয়করমুক্তি সুবিধা দেয়া হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এই সুবিধা দেয়া হয়নি। ড. ইউনূস তার পরিচালনাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আয়কর অব্যাহতি নিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, ড. ইউনূসের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে কয়েকটি বিষয় পাওয়া গেছে, যা এনবিআর সংশ্লিষ্ট নয়। এর মধ্যে একটি ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণে এবং গ্রামীণ কল্যাণ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকে টাকা হস্তান্তর করেছেন, যা বিধিসম্মত নয়।
এই অভিযোগ অবশ্য ড. ইউনূস নিজে স্বীকার করে বলেন, কর অব্যাহতি পাওয়ার জন্যই তিনি টাকা স্থানান্তর করেছেন।
সেই সময় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত সারসংক্ষেপে বলা হয়, ১০ বছর আইনবহির্ভূতভাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে থাকার ফলে ড. ইউনূস বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ মোট ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৪ টাকা এবং অন্যান্য ভাতা হিসেবে ৩৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা নিয়েছেন। সার্বক্ষণিকভাবে ব্যবহৃত একটি গাড়ির যাবতীয় খরচ ব্যাংক বহন করেছে। তবে তিনি জ্বালানি বাবদ কিছু টাকা ব্যাংককে পরিশোধ করেছেন এবং বাসার গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল নিজে পরিশোধ করেছেন।
পরে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৮৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়কালে গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার জন্য কোনোদিনই সরকারের অনুমতি নেননি ড. ইউনূস।
তিনি তার সব অনিয়ম ও অন্যায় কোনো না কোনোভাবে বিভিন্ন সরকারের সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে আইনগতভাবে সিদ্ধ করে নেন। তার প্রতিটি পদক্ষেপে কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকে। ’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী অন্তত ১৩টি প্রতিষ্ঠান শুধুই গ্রামীণের নয়, এগুলোতে সরকারের প্রতিনিধি রয়েছেন। তারাও কখনো লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেননি। ড. ইউনূসকে এ নিয়ে কেউ কোনোদিন জিজ্ঞেসও করেননি।
এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর ফাঁকির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মামলা করার কোনো নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট কাউকে দেয়নি সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকÑ কোনো পক্ষই এ ধরনের ইঙ্গিতও পায়নি।
সরকারের নির্দেশনা না পাওয়ার কথা স্বীকার করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আইনগত ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা বলতে প্রচলিতভাবে মামলা করার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা তারা পাননি।
তাই রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, ড. ইউনূসের সঙ্গে সরকারের একটি সমঝোতা হয়েছে। এ কারণে সরকার অনেক তোড়জোড় করা সত্ত্বেও এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। আবার ড. ইউনূসও রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরে গিয়ে চুপ করে আছেন। এ অবস্থায় সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হলে ড. ইউনূসের প্রত্যাশা পর্যায়ক্রমে পূরণ হতে পারে। সুত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।