এইসব জ্ঞান-বিজ্ঞান-অজ্ঞানতার ভিড়ে আমি এক আদিম পুরুষ। রাত বেড়ে গেলে সেক্সের চাহিদা তাই বাড়ে। বাশিতে টান দিলে মনে হয়-নিজের হৃৎপিন্ড হাতে তুলে নিয়ে দেখি_ দেহ থেকে আদতেই একুশ গ্রাম ওজন কমলো কি না! সিভিলাইজেশনের শল্যবিদেরা গোলটেবিল বৈঠক করে ঠিক করে নিচ্ছে রাষ্ট্রের আধিপত্য কে কতখানি বিস্তার করে নেবে।
কিন্তু আমার পাশের ঘরেই চলে ননস্টপ টক-শো। মধ্যবিত্ত বুড়োটা ঐ সব প্রহসন তার অতশী কাচ দিয়ে দেখে ফেলে।
আর আমি তার চশমার আড়ালে দেখে ফেলি – কোনো এক কুয়াশার নিস্তরঙ্গ ভোর। যেইখানে নিঃসঙ্গতার একা মাঠ, বোবা সুর্যটা দেখে কাঁদে।
অথচ বাইনচোৎ বুর্জোয়ারা শ্রমিককে ভাবে না মানুষ। আর যারা, কৃষক-শ্রমিক নিয়ে লাল নিশান উড়ায়;তারাও কিন্তু ধড়িবাজ কম না। কথার চমকে ধংস্ব করে ফেলে সম্ভাবনার শক্তি।
যেমনটা মৌলবাদও ডেকে থাকে নিজস্ব দলে, খানিকটা ধর্মের আওয়াজ তুলে। আমি কি আল্লাহ্-এর বান্দা; নাকি ওবামার বেরাদার? মার্ক্সের পোষ্টার টাঙ্গিয়ে তার পিছে করেছি কি কখনো পুজিবাজারের ধান্দা! হা...হা...হা...
কারো উপাসক নই আমি, তাই মানুষকে ভালবেসে ফেলি। সে যদি ঘৃণাও ছুড়ে দেয় আমার ব্যক্তিত্বে; তাতে কিইবা হবে বলো। আমিতো সত্যি শিখিনি,ব্যক্তিত্ব কাকে বলে? কেননা আমি আদিম পুরুষ। যদিও আদিম মানব বললে ফেমিনিস্টরা খুশি হত; কিন্তু তার আর দরকার নেই।
কেননা কবিতা আমার চাকরি না; এ কেবলি জীবনাভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বয়ে চলা নিজস্ব বোধের অন্তিম ঠিকানা।
বিশ্বাস করো প্রেমিকা আমার,সত্যি আমি হিংস্র আদিম পুরুষ। কিন্তু আমি যে বড়ই সরল,এতই সহজ যে-তোমার কাছে আসলে পরেই শিশু হয়ে উঠি...ওখানের ডাস্টবিনগুলোও তোমার আগমনী বার্তায় ফোটায় দিগন্তব্যপী চেরীফুলের আশ্চর্য কুয়াশাময় প্রান্তর।
তবু বলি আমি কিন্তু আদিম পুরুষ,
সভ্যতাকে ইচ্ছে হলে লাত্থি মেরে... চাঁদে যাবো মাটি চুদে ।
অথবা যেমন শহুরে লাইফে ল্যাম্পপোস্ট বেঁচে থাকা...
৫ অক্টোবর, ২০০৯.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।