অরুণালোক গতকাল 26শে আগস্ট কাজের অবসরে ঘুরতে ঘুরতে রমনা পার্কে গিয়েছিলাম আমি ও আমার এক সহকর্মী তুষার। তো পার্কের ভেতরে প্রবেশ করে আমাদের আক্কেল গুড়ুম!
বিষয় কী!!!!!
বিষয় আর কিছু না- দেখলাম নর-নারী পরস্পর জড়াজড়ি করার অপূর্ব দৃশ্য। গাছের ছায়ায় সিমেন্টের বেঞ্চিতে বসে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুমু (মামুলি ব্যাপার) খাচ্ছে। ছেলে মেয়ের বুকে হাত ডলছে, মেয়ে ছেলের প্যান্টের জিপার খুলে নেড়ে দিচ্ছে। প্রায় প্রতিটি বেঞ্চিতে একই রকম দৃশ্য।
আমরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। কোন বেঞ্চিতেই বসতে পারছিলাম না। পরে হাঁটতে হাঁটতে সামনে এগিয়ে দেখলাম খয়েরি রঙা শার্ট পরা এক লোক বসে সিগারেট টানছে। এ বেঞ্চিটা দেখে তুষার বললেন, চলেন তৈয়ব ভাই, আমরা এখানেই দাঁড়াই। শেষে তাই করলাম।
আমাদের দেখে লোকটা সিগারেট আড়াল করতে চাইলে আমি নিজের পরিচয় দিয়ে বাধা দিলাম এবং আলাপ জমাতে চেষ্টা করলাম। লোকটা নিজেকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী বলে পরিচয় দিলো এবং নিজের আইডি কার্ড বের করে দেখালো। পরে আমি আমি উনার কাছে পার্কের ভেতরে এসব নোংরামি সম্পর্কে প্রশ্ন করে যে উত্তর পেলাম, তাতে আমরা বিস্ময়ে বোবা হয়ে গেলাম। এ পরিচ্ছন্ন কর্মীর নাম মোহাম্মদ খাদেম, বাড়ি বরগুনা জেলায়। ১৭ বছর যাবত সে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে চাকরি করছে এবং বছর দুই হলো রমনা পার্কে বদলি হয়ে এসেছে।
তো খাদেম জানালো ঈদের পরদিন সকাল সাড়ে সাতটা কি আটটার দিকে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এক পুরুষ ও এক মহিলা সঙ্গম করছিল। শেষে খাদেম গিয়ে বাধা দিলে মহিলা ধমকে উঠে বলে “আমার ক্ষুধা লাগছে এখন, আর আমি খামু পরে, তা হইবো না। ” খাদেম ঐ মহিলাকে বলে যে, আপনারা কোন হোটেলে গিয়ে উঠেন। কিন্তু খাদেমের কথায় পাত্তা না দিয়ে তারা তাদের নোংরা কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। পরে খাদেম ওদের পশুত্বের কাছে নতি স্বীকার করে চলে যায় অন্য দিকে।
খাদেম জানালো, পার্কে নাকি এখন হামেশাই এসব হচ্ছে। শুধু তাই না, এ রকম নোংরা কাজ নাকি বিভিন্ন পার্কেই হচ্ছে বলে সে জানালো।
তবে কি আমরা আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি???????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।