অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই ভাল মত বেঁচে থাকার জন্য সবকিছুর দরকার আছে। শরীরের জন্য খাওয়া-ঘুম-যৌনতা-পয়ঃনিষ্কাষন আর অশরীরি স্বত্তা'র জন্য গান-নাঁচ-কৌতুক-আধ্যাত্মিকতা!!! এসব মানবজীবনের মৌলিক উপাদান।
শরীরি প্রয়োজনগুলো'র গুরুত্ব নিয়ে কারো কোন সন্দেহ নাই।
অশরীরি প্রয়োজনগুলো নিয়ে মতভেদ আছে। কিন্তু তা স্বত্তেও এসবের উপস্থিতি নিশ্চিত!
ব্লগে তো আর সব দরকার মেটানো যায় না, যতটুকু সম্ভব ততটুকুই মেটাই।
কিছু গান শুনি চলেন, যেই গানগুলো'র কোরাসে অথবা মূল সুরে এমন কিছু পাই যা মানুষের আদিম মনকে আধ্যাত্মিক শক্তিতে ছুঁয়ে যায়।
নিচের ৩টা গানের সুরে রয়েছে চরমভাব, উৎফুল্লতা ছিড়ে-ফুরে বের হয়। অনেকটা কালবৈশাখী ঝড়ের মত তীব্র এবং প্রাণময়!
গানগুলো ভিনদেশি ভাষা'র ১টা ইতালিয়ান, ১টা স্প্যানিষ আর ২টা ইংরেজি। ভিনদেশি গান শুনার আসল মজাটা হলো, এর মাধ্যমে ভিনদেশিদের আবেগ জানা যায়, একটা-দুইটা করে ভিনদেশী গান শুনতে শুনতে একসময় টের পাওয়া যায় যে সমগ্র মানবজাতি'র মাঝে "কমন" সুর কোনগুলো?
মানুষদের ভেতরের এই কলকব্জাগুলো দেখতে এবং জানতে আমার বেশি ভাল লাগে, এটার দরকারও আছে, নইলে বর্তমান গ্লোবাল দুনিয়ার সর্বোত্তম ব্যাবহার করা মুশকিল। আর গ্লোবাল দুনিয়ার রিসোর্স ব্যাবহার না করে বাংলাদেশের টিকে থাকা বা এগিয়ে যাওয়া বড়ই মুশকিল! তাই, কম-বেশি সবারই একাধিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক ধারনা থাকা দরকার।
চলেন গান শুনি,
এইটা ইতালিয়ান, এইটার শুরুটা শুনেন, আমাদের সাথে মিলে যায় কিন্তু,
এইটা স্প্যানিষ, ইয়ো ভিভি'রে, আমিও বাঁচবো!
এটা বিখ্যাত কুংফু পান্ডা ছবি'র গানটা। এর শুরু'র সুরটা বেশি বেশি সঞ্জিবনী!
আর এটা হলো কোল্ড প্লে'র, আদিম এক সুর আছে এটাতে!
বিষন্নতা যতই ব্যাপক হোক না কেন, এই গানটার ও-ও-ও-ও শুনলে মনে হয় ঝড়ের রাতের পরের সেই ঝক ঝকে সকাল হলো!
এই তো, গানগুলো শুনলে আমার নিজের যেই অনুভুতি হয় সেগুলোই লেখার চেষ্টা করলাম। ভাল কিছু শেয়ার করলে বরকত পাওয়া যায় তাই গান সম্পর্কে কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধারনা না থাকা স্বত্তেও পাকনা পাকনা কথা লিখে শেয়ার করে দিলাম!
শুভ শ্রবন! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।