ফটোগ্রাফি, ভ্রমন, সিনেমা, ওয়ার্ডপ্রেস, এবং সব এলোমেলো ভাবনা
আমরা ছিলাম প্রায় সমবয়সী অনেকগুলো কলিগ। ইয়াং জেনারেশন। শুধু একজন বিবাহিত, বাকী সব ব্যাচেলর। মাত্র এক বছরের চাকরী, অথচ সম্পর্কটা আর কলিগের মতো ছিল না। জয়েন করার মাস দুয়েকের মধ্যেই সবাই হয়ে গিয়েছিলাম ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
সারাদিনই ফাঁক পেলেই বাইরে বের হয়ে মামার দোকানে চা আর সিগারেট। কখন কাকে ধরা খাওয়ানো যায় বিল দিতে, তা নিয়ে দুষ্টুমি। সবুরটা একটু পাগলা ধরনের - সেইটাকে সুযোগ পেলেই খেপানো। হিরনটা শিবির করে - সেইটাকে খোঁচানো। ছুটির পর এক সাথে বাড়ী ফেরা।
বন্ধের দিন বসুন্ধরা সিটি তে সিনেমা দেখা (মাসের প্রথম দিকে যখন পকেটে কিছু থাকত), ছায়ানীড়ে গ্রীল-চিকেন। খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল সম্পর্কটা সবার সাথে।
এর পর আবার একে একে বিছিন্ন হওয়ার পালা। ইরান ভাই চলে গেল প্রথমে কোম্পানী ছেড়ে। মাসুমকে ট্রান্সফার।
আমি চলে এলাম বিদেশে। দলটাই ভেঙে গেল। আসার সময় কি কান্নাটাই না কাঁদল সুমন। আস্তে আস্তে সেবাই ব্যস্ত হয়ে গেল যার যার ধান্দায়। যোগাযোগটা কমতে কমতে নাই এর পর্যায়ে চলে এলো।
রুবেল মেইল দিতে দিতে উত্তর না পেয়ে বিরক্ত হয়েই বোধ হয় বন্ধ করে দিল। বাকীদের সাথে দুই এক বার হাই-হ্যালো হলো। শুধু রফিকের সাথেই একটু যোগাযোগ হতো মাঝে মাঝে।
গত দু'বছরে উন্নতি হয়েছে সবারই। রফিক ল্যাপটপ পেয়েছে অফিস থেকে।
সাথে জিপি ইন্টারনেট। কাজেই ওর সাথে স্কাইপে যোগাযোগটা পাকা হয়ে গেল। কাল দেখলাম মাসুমও ল্যাপটপ কিনেছে। এবং জিপি ইন্টারনেট। ব্যাস! ওকেও পেয়ে গেলাম।
আজ তিনজনে মিলে গ্রুপ চ্যাট হলো অনেকক্ষণ। দুই বছর পর। মনে হলো, ফিরে গেলাম দুই বছর আগের সেই আনন্দময় পরিবেশে। ইরান ভাই জয়েন করল মোবাইলে।
গ্রামীণফোন সত্যিই সহজলভ্য করে দিয়েছে ইন্টারনেট - যা বছর দুয়েক আগেও ছিল অকল্পনীয়।
জিপি ইন্টারনেট এত দূরের এতগুলো মানুষকে আবার কাছাকাছি করে দিয়েছে, যেটা হয়ত কোনদিনও আর সম্ভব হতো না। আগামী দিনে হয়ত বাকীরাও জয়েন করবে আমাদের সাথে। এত দূরে বসে থেকে জিপি ইন্টারনেটের কল্যাণে নিয়মিত এক সাথে আড্ডা হবে আবার। চীরস্থায়ী হবে বন্ধুত্ব। জয়তু জিপি ইন্টারনেট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।