বাঙলা কবিতা
এত দীর্ঘ আলপথ! বাসনাসম্ভব সত্যে সুদূর শৈশবে যাওয়া যেত ...
আর দ্যাখো, আমার গলায় আজ কী করুণ টাই জেঁকে আছে!
আল ভেঙে চারপাশে দেয়াল তুলেছি ... শুধু ওপরে ও দূরে আছে
চতুর্ভূজ মেঘলা আকাশ; ফলে, জীবনকেও তরলের স্মৃতি মনে হয়; আর
অনন্ত তুষারপাতে ঢেকে যাচ্ছে দিনের বর্ণনা ... তবু
এতটা বিপদ থেকে দু’চারটে দৃশ্যও কি তুলে রাখতে পারছি গোপনে?
ঘরে কিংবা মনে কিংবা ভোগে-উপভোগে ... নিরাপদ নিসর্গ-আশ্রমে?
বিচ্যূত স্বপ্নের থেকে কেন্দ্রাভিগ শব্দার্থের প্রাণে!
আজ এই এতটা বিমর্ষ গানে, এতটা আত্মীয়কণ্ঠে ডেকো না তো ছাই!
সর্বনাশের এখনও অনেক বাকি; এইদিন বর্ণনারও প্রচুর অতীত ...
তবু দেখ, জ্বর হলে কেমন সুন্দর লাগে!
জ্বর এলে, কতবার আকণ্ঠ চৈত্রেও আমি আপাদমস্তক কেঁপে উঠি!
কেঁপে কেঁপে উঠি শিহরণে ... অতএব জ্বর ভালো; শরীরে আগুন কিন্তু
মন ঠিকই পুড়ে যায় শীতে!
এমন তুষারপাত!
অফুরন্ত জ্বর এসে শুশ্রূষাকুমারী যেন, আমাকেই মগ্ন ঘিরে রাখে ...
ঢুকে যায় রক্তে-মাংসে, অনুভবে, হাড়ে; বাৎস্যায়নঋদ্ধতায়
জ্বর এক আশ্চর্য প্রেমিকা! যোগে-ভোগে পর্যাপ্ত রমণী ...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।