আমি অপার হয়ে বসে আছি ওহে দয়াম, পাড়ে লয়ে যাও আমায় হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়,বিছানায় ধড়ফড় করে উঠে বসেন রাহেলা মাঝরাত,বাগানবাড়ীর পিছনের টিলা থেকে রাতজাগা শেয়ালগুলো, মায়াকান্না জুড়ে দিয়েছে।আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ;স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। দক্ষিনের খোলা জানালা দিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন তিনি আজ এতো অস্থির লাগে কেন?এই রাত কি জীবনে আগে এসেছিলো? পাশে ফিরেন,রাতের অমোঘ তৃপ্তির পর অঘোরে ঘুমাচ্ছে পতিমহাশয়। হ্যা,এখন মনে পড়েছে!এমন এক পূর্ণিমার রাতে,যৌবনের গীতি-কাব্য মেটাতে কাছে এসেছিলো যুবকটি,মায়াময় চেহারার,কোঁকড়ানো চুলের অসঙ্গায়িত ভালোবাসার তীব্র আবেশে অবগাহন করেছিলেন,সেইসাথে স্বার্থক-রুপ দিয়েছিলেন,তিন বছরের পুরনো সেই প্রেমকে।যে প্রেম, তাকে জানান দিয়েছিল এক নতুন সত্তার অস্তিত্ব;যে দিন প্রতারিত হোন, নাড়ি পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠে প্রতিটি রক্তকনা,কোষ অঙ্গানু অবাঞ্চিত মাংসপিন্ড,কিন্তু সে তো অনেক দিন আগের কথা!কেন আজ? আজ তো তার মাঝে কথিত বৈধ সত্তা,অজান্তেই তলপেটে হাত রাখেন এবারে তালগোল পাকিয়ে যায়,বৈধ বা অবৈধের হিসেবে গরমিল লাগে। চোখ থেকে জল গড়িয়ে নামে,নিক্ষিপ্ত হয় ঘৃণা মিশ্রিত একদলা থু থু লক্ষ্য? স্বার্থবান,সুবিধাভোগী মানদণ্ড ও নিষ্পেষিত সমাজ ব্যবস্থায় যেখানে ভালবাসা মানেই ভোগ,ভোগ শেষ তো;প্রেম করে আত্ম-হত্যা! দীর্ঘশ্বাস চেপে আবার শুয়ে পড়েন রাহেলা,একটু পাশে ফিরে দেখেন, তখনো রাতের অমোঘ তৃপ্তির পর অঘোরে ঘুমোচ্ছিলো পতিমহাশয়। উৎসর্গ-শায়মা আপ্পি(আমাকে কবিতা লেখার প্রথম উৎসাহডান কারী) ইনকগনিটো ভাইয়া,নিশাচর ভবঘুরে,বেইমান আমি,একজন আরমান ভাইয়া,বনলতা মুনিয়া আপু।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।