দেশ বিরোধী যে কেউ এই ব্লগে ডুকবিনা।
'ভাইজান আমার নাম জুলেখা। বাবা ছোট বেলায় আরেকটা বিয়া কইরা আমাগোরে ছাইড়া গেছে। আমার কোনো বড় ভাই নাই, কোনো বড় বোন নাই। আমি ভিক্ষা করিনা চকলেট বেচে ছোটো দুটা ভাই-বোন আর মারে নিয়া কয়ডা ডাইল ভাত খাই।
দুইটা চকলেট নিয়া আমারে দুটা টাকা দিয়া সাহায্য করেন..."
শুনছিলাম কথাগুলো ট্রান্স সিলভাতে কাল সন্ধায়। মেয়েটা অতঃপর একে একে চকলেট বিলি করতে শুরু করলো। হটাৎ এক ভদ্রনোক চকলেট ছুড়ে ফেলে দিলেন। ব্যাস যেনো মৌচাকে ঢিল পড়লো,
' দেখছেন আমার চকলেট নিবোনা,জানালা দিয়া ফালাইয়া দেয়। আমি কি অন্যায় করছি? আমিতো চকলেট বেইচা খাই ,ভিক্ষাতো করিনা।
ভিক্ষা করলেও আপনেরা টেকা দিতেন। আমিতো খারাপ কাজ করিনা,খারাপ কাজ করলে তখন আপনারাই কইতেন অই যে একটা খারাপ মাইয়া হাইটা যায়। আমার চকলেট বেচা কি পাপ? আল্লায় পেট দিছে দেইখাইতো কাম করি,চকলেট বেচি ভিক্ষা করিনা(এক দমে কাদো কাদো উচ্চ স্বরে)।
(কিছুটা নিম্ন স্বরে আবেগি গলায়)আমার চকলেট নিয়া আমারে মেয়ে কিংবা বোন মনে করে দুইটা টাকা দিয়েন........"
নাটকের যবনিকা ঘটলো এভাবে- কেউ কেউ চকলেট নিলো টাকাও দিলো।
আমিও দিলাম কারন বরাবরি আমার স্ট্রিট ফুডের প্রতি আগ্রহ আছে আর চকলেট তো কথাই নাই সে মেলামাইন সমৃদ্ধ ক্যডবেরি হোক আর ফার্মগেট ওভার ব্রিজের সামনের ১৩টাকায় এক পেকেট চকলেট হোক।
জুলেখার প্রতিবাদি মুখের দিকে তাকাতে পারলাম না শুধু চকলেট নিয়ে দুটো টাকা ওর হাতে তুলে দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।