২৬ সেপ্টেম্বর (রেডিও তেহরান): বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মোক্তাদির আলী। তিনি জানান, সম্প্রতি বিবিয়ানার গ্যাস ক্ষেত্রে প্রত্যাশার চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি গ্যাস মজুদ পাওয়া যাওয়ায় বড় ৫টি গ্যাসক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক জরিপ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মোক্তাদির আলী জানান, ১৯৯৮ সালে হবিগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে ৪.৫ ট্রিলিয়ন কিউবিক ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস হলেও বর্তমান জরিপে তা দ্বিগুনেরও বেশি বলে আবিস্কৃত হয়েছে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানান, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে আশাতীত গ্যাস পাওয়ায় কল-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে আর কোন সমস্যা হবে না। বর্তমানে গ্যাস সংকটের কারণে নতুন শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
ফলে নতুন করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবার বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। জ্বালানী ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বিদেশী বিনিয়োগও আকৃষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, অতীতে যেখানে বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হতো, এখন রিজার্ভের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করা হবে। তিনি বলেন,অতিরিক্ত ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস, ঘাটতি মোকাবিলায় কাজে লাগানো হবে। তিনি জানান, উত্তোলিত নতুন গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে সাপ্লাই দেওয়া হবে।
বর্তমানে গ্যাসের অভাবে অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে আছে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানান, বিভিন্ন গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে,তিতাস গ্যাসের মজুদ ধারণার অনেক বেশি বলে প্রমাণিত হয়েছে। মোক্তাদির আলী জানান, যদি নতুন কোন গ্যাসক্ষেত্র নাও পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে নতুন জরিপের মাধ্যমে যদি আরও ১০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মওজুদ পাওয়া যায়, তবে আগামী ৫ বছর গ্যাস সংকট নিয়ে আর কোন টেনশন থাকবে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমাদের অধিকাংশ গ্যাস ক্ষেত্রে বিদেশীরা জরিপও উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত। তারা বলছেন, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে ও বাপেক্সকে শক্তিশালী করে গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের দিকে নজর দিলে আমাদের সম্পদের উপর আমাদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
khobor dekhun
--------------------------------------------------------------------------
কি আশ্চর্য! আমাদের দেশের তেল গ্যাস সংক্রান্ত একটি সরকারী সংস্থা আছে! যার ব্যয়ভার আমাদের দেশের জনগণকে বহন করতে হয়। অথচ যখন দেশের মধ্যে প্রাপ্ত তেল-গ্যাস ব্লক বিদেশী কোম্পানীর হাতে নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। তাহলে কেন এই পেট্রোবাংলা? পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের কাছে জানতে ইচ্ছে করে- আপনারা কি নিজেরা তেল-গ্যাস উত্তোলন করার মতো যোগ্য না? নাকি আপনাদের তৈরি করা হয়েছে দেশের তেল-গ্যাস বিদেশীদের কাছ থেকে অধিক মূল্যে কিনে নেওয়ার জন্য বিদেশীদের টাকা খেয়ে বিদেশীদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য?
কই মিঃ পেট্রোবাংলা আপনারা তো প্রতিবাদ করেন নি যখন গ্যাস ব্লক বিদেশী কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়া হলো?
আপনারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন? দেশের জনগণের নাকি বিদেশী কোম্পানীর?
>>>>>>>>>>>>>
যে শর্তে বিদেশী কোম্পানীকে ইজারা দেয়া হয়েছে তাতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে : শেখ মোঃ শহিদুল্লাহ
বাংলাদেশে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ দু'টি বিদেশী কোম্পানী কনকো ফিলিপস ও তাল্লোকে দেয়া সম্পর্কে আমরা কথা বলেছি - বাংলাদেশ তেল-গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মোঃ শহীদুল্লাহর সাথে । তার সাক্ষাৎকারটি এখানে উপস্থাপন করা হলো।
রেডিও তেহরান : আচ্ছা জনাব শেখ মোঃ শহীদুল্লাহ, বহুজাতিক দু'টি কোম্পানীকে তেল -গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ দেয়ার বিরুদ্ধে আপনারা আন্দোলন করছেন, অনেকেই বলছেন তেল - গ্যাস অনুসন্ধানের জন্যে বাংলাদেশের টেকনিক্যাল সাপোর্টের অভাব রয়েছে।
কাজেই বিদেশী কোম্পানীকে ইজারা দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই । তো এ অবস্থায় আপনারা কেন এর বিরোধীতা করছেন ?
প্রকৌশলী শেখ মোঃ শহীদুল্লাহ : দেখুন , আমরাতো বিদেশী কোম্পানীর বিনিয়োগ বা বিদেশী কোম্পানীকে কাজ দেয়ার বিরোধীতা করছি না । বহুজাতিক দু'টি কোম্পানীকে যে শর্তে কাজ দেয়া হচ্ছে সেই শর্তের আমরা বিরোধীতা করছি । কারণ সেই শর্তে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে । বাংলাদেশ তার নিজের সম্পদের ন্যায্য ভাগ থেকে বঞ্চিত হবে।
''মডেল পি এস সি - ২০০৮ ''এর অধীনে যে চুক্তি হয়েছে সেই শর্তের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান । তার মানে এই নয় যে, সাদা চামড়ার লোক দেখলে তাকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেব । ''মডেল পি এস সি - ২০০৮'' এর আওতায় যে শর্তের ভিত্তিতে ইজারা দেয়া হচ্ছে তাতে শতভাগ গ্যাস তারাই নিয়ে যাবে । আর তখন বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে আমরা জবাবদিহি করতে পারবো না । কারণ আগামী প্রজন্ম বলবে কেন তোমরা দেশের জন্যে ক্ষতিকর এ চুক্তি করেছিলে ।
উত্তোলিত গ্যাসের সব বিদেশীদের দিয়ে দিলে তাহলে দেশের কি লাভ হলো ? এতে তো আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানও হলো না; আমাদের গ্যাস আমাদের ঘরেও থাকলো না । ফলে চুক্তির শর্ত নিয়ে আমাদের বিরোধীতা ।
আমরা ''মডেল পি এস সি ২০০৮ ''বাতিলের দাবি জানিয়েছি । কেননা তাতে যেসব শর্তের ভিত্তিতে টেন্ডার কল করা হয়েছে তা অত্যন্ত জঘন্য শর্ত । ঐ শর্তের মধ্যে মারাত্মক রকমের চাতুরী আছে ।
রেডিও তেহরান : আচ্ছা ''মডেল পিএসসি -২০০৮'' এর শর্তের মধ্যে কি কি দূর্বল দিক রয়েছে বলে আপনি মনে করেন ।
প্রকৌশলী শেখ মোঃ শহীদুল্লাহ : আমি বলবো দূর্বল দিক নয় ; তার মধ্যে মারাত্মক চাতুরী বা কূটকৌশল রয়েছে। আর এ চাতুরী হচ্ছে - যারা গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস তুলবেন তারা হোক বিদেশী; হোক মঙ্গল গ্রহের কেউ - তারাতো গ্যাস উত্তোলন করে গ্যাসটা পাইপ লাইনের মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌছে দেবেন । আর যেখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হবে সেখান থেকে ভূমির দূরত্ব ২০০ মাইল । আর সেখানে পানির গভীরতা ২০০০ হাজার ফুট ।
এছাড়া রয়েছে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ , সাইক্লোন ও টর্নেডো । এসব প্রতিকূল অবস্থা সহ্য করতে পারে এমন সাপোর্টের নাম হচ্ছে পাইলন ''গ্যাস হাতে পেতে হলে সেই ২০০০ মাইল প্রতি মাইলে ৫ টি করে পাইলন বসাতে হবে । অন্যদিকে গভীরতার ক্ষেত্রে ২০০ ফুট হলে ১০০০ হাজার পাইলন লাগবে। আর এতগুলো পাইলন করে গ্যাস আমরা যে আনবো সেই খরচ কে দেবে । সে খরচের কথা তো এই কাজের মধ্যে বা চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে ।
কিন্তু তাদের সাথে চুক্তির মধ্যে এই খরচের কোনো কথাই উল্লেখ করা হয়নি । The contractor is not obliged under the condition set model p s c 2008 - to transport the gas from the gas field to our land receiving facilities . এ বিষয়টি না থাকায় এটি স্পষ্ট যে আমরা গ্যাস আমাদের কাছে আনতে পারবো না সব গ্যাস বিদেশীদের দিয়ে দিতে হবে।
আর এমনটি হয়েছে কুতুবদিয়াতে । কুতুবদিয়াতে আমাদেরই গ্যাস এবং আমরাই আবিষ্কার করেছি কিন্তু আমরা তা আনতে পারছি না । কুতুবদিয়ার সমুদ্রের গভীরতা এবং দূরত্ব দুইই কম তারপরও আমরা গ্যাস আনতে পারছি না - সেখানেই পড়ে আছে কারণ পাইলন সুবিধা করা যাচ্ছে না ।
রেডিও তেহরান : আচ্ছা আমি এ প্রসঙ্গে জানতে চাইবো তেল গ্যাস অনুসন্ধান বা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামর্থ সীমিত । কাজেই বিদেশী কোম্পানীর সাহায্য নিতে হলে বা ইজারা দিতে হলে কিভাবে বা কি শর্তে দেয়া উচিত ?
প্রকৌশলী শেখ মোঃ শহীদুল্লাহ : আপনারা যদি আমাদের দাবীগুলো পড়েন তাহলে সেখানে দেখতে পাবেন - আমাদের মূল শর্ত হচ্ছে আমাদের গ্যাস আমরা বাইরে রপ্তানী করবো না । গ্যাস অনুসন্ধান বা উত্তোলনের জন্যে বিদেশী কোম্পানী কতো টাকা চায় সেটা আমরা দেব । বাইরে ১০০০ সি এফটি গ্যাসের দাম পড়ে, ধরা যাক ৫ থেকে ১০ ডলার । তো আমাদের কাছ থেকে ১০০০ সি এফ টি গ্যাসের দাম তারা কতো নেবে সেটি ঠিক করা হবে।
তবে তাদের দায়িত্ব হলো গ্যাস তারা উত্তোলন করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে আমাদের হাতে পৌছে দেবে। এছাড়া আমাদের কিছু কর্মীকে এ বিষয়ে অন হ্যান্ড প্রশিক্ষণ দেবে । যাতে তারা টেকনোলজিতে প্রশিক্ষিত হয় । আর যদি তারা আমাদের কর্মীদেরকে টেকনোলজিক্যাল বিষয়ে প্রশিক্ষিত করতে নাও চায় তাতেও আপত্তি নেই । তবে কোনো গ্যাস রপ্তানী করা যাবে না ।
শতভাগ গ্যাস আমাদের দিতে হবে - বিনিময়ে তোমরা কতো টাকা নেবে তা আমরা দিতে রাজী ।
এ ছাড়া এ ইজারার ক্ষেত্রে যে টেন্ডার কল করা হয়েছে তাতে স্বচ্ছতা নেই , টেন্ডার হতে হবে ফেয়ার এ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট । let আর এক্ষেত্রে let there be another model অর্থাৎ মডেল পি এস সি -২০০৮ এর পরিবর্তে নতুন মডেল পি এস সি ২০০৯ করতে হবে- যাতে শর্ত থাকবে সম্পূর্ণ গ্যাস will be for bangladesh use।
রেডিও তেহরান : আচ্ছা বিদেশী কোম্পানীগুলো অনেক শক্তিশালী, ওরা বাংলাদেশের মত দূর্বল দেশের সম্পদ চাপ কিম্বা কৌশলে লুটে পুটে নিয়ে যায় । আর এটাই প্রচলিত ধারণা ।
আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশ সরকার এসব চাপ উপেক্ষা করে দেশের সম্পদের ন্যায্য হিস্যা সংরক্ষণের সামর্থ রাখে ?
প্রকৌশলী শেখ মোঃ শহীদুল্লাহ : দেখুন, এ প্রসঙ্গে আমি প্রথমে বলবো বিদেশী কোম্পানীগুলো কৌশলে বা চাপ সৃষ্টি করে আমাদের সম্পদ লুটে পুটে নিয়ে যায় তার কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে যারা ক্ষমতায় আসছে তারা সবাই দুর্নীতিপরায়ণ । আর সে কারণেই বিদেশীরা এমনটি করতে পারছে ।
আর দ্বিতীয়ত: আমি মনে করি বিদেশীদের চাপ উপেক্ষা করে আমাদের সম্পদের ন্যায্য হিস্যা সংরক্ষণের সামর্থ সরকারের থাকা উচিত । যদি সরকারের সামর্থ না থাকে সেক্ষেত্রে জনগণের সামর্থ আছে । বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মালিক সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সচিব এবং বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী বিষয়ক উপদেষ্টা ড: তৌফিক এলাহী চৌধুরী নয় ।
এই সম্পদের মালিক শেখ হাসিনা বা তার বোন শেখ রেহেনা নয় ; এই সম্পদের মালিক জনগণ । সরকার যদি ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে জনগণ প্রতিরোধ করবে । সরকার যদি এ বিষয়ে চাপের মধ্যে পড়ে তাহলে - They can atleast take their shelter ; শেখ হাসিনার সরকার বলবে - আমাকে তোমরা ক্ষমতায় বসিয়ে এর আগে তো সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ আমার ঘাড়ে কামড় দিয়ে রেখেছিল । তো ঘাড়ের সে কামড় থেকে তোমরা আমাকে বাঁচিয়েছ। নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে এবং নির্বাচনে আমি ক্ষমতায় এসেছি ।
আর সে কারণে তোমাদের কাছে তো আমার একটু দেনা থাকে । আর সেই দেনা পরিশোধের জন্যে তোমাদেরকে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু দিতে পারলাম না । কারণ জনগণ দিতে দিচ্ছে না । So We are providing her the scope to get out of the pressure .
রেডিও তেহরান : আচ্ছা সরকার যাতে বিদেশী কোম্পানীর খপ্পরে না পড়ে সে জন্যে জনগণ কি ভূমিকা পালন করতে পারে ?
প্রকৌশলী শেখ মোঃ শহীদুল্লাহ : জনগণের ভূমিকা সম্পর্কে আমি বলবো - বর্তমানে আমরা যে আন্দোলন কর্মসূচী বা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি বা করছি সেটিই জনগণের ভূমিকা । জনগণ দূর্বার আন্দোলন করবে ,সোচ্চার প্রতিবাদ জানাবে এর বিরুদ্ধে ।
আর জনগণের চাপের মুখে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাধ্য হয়ে তার জ্বালানী উপদেষ্টা ড: তৌফিক -ই-এলাহী চৌধুরীকে বলবেন - আপনি যান আপনাকে আর চাইনা । তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী আমেরিকান এজেন্ট । আমাদের অন্যতম দাবী ছিল মার্কিন এজেন্ট তৌফিক-ই-এলাহীর বহিষ্কার । কারণ সে মার্কিনীদের প্লানড । সেনাবাহিনীর একটি অংশ ও সাম্রাজ্যবাদীরা তার পেছনের শক্তি ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তামিমকে দিয়ে এই ইজারা করাতে চাওয়া হয়েছিল । কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেষ মুহুর্তে আর সেটি করেনি । বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন । আর সে হিসেবে তার ক্ষমতা ও শক্তি অনেক । কিন্তু তার সেই ক্ষমতা ও শক্তি জনগণের কল্যাণে ব্যবহার না করে বিদেশীদের কাছে আত্মসমর্পন করছেন ।
তাদের প্রবেশের দরজা খুলে দিয়েছেন ।
রেডিও তেহরান : আমি সবশেষে আপনার কাছে জানতে চাইবো , সম্প্রতি বিদেশী কোম্পানীকে ইজারা দেয়ার বিরুদ্ধে আপনাদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের হামলা হয়েছে। এতে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। তো এর ফলে আপনাদের আন্দোলন কি দূর্বল হয়ে পড়বে নাকি আপনারা এই ইস্যুতে কর্মসূচী অব্যাহত রাখবেন ?
প্রকৌশলী শেখ মোঃ শহীদুল্লাহ : দেখুন, এই ইস্যুতে আমাদের আন্দোলন দূর্বল হয়ে পড়বে না; বরং আরো অনেক বেশী শক্তিশালী হবে। আর আমাদের আন্দোলন ও দাবীর মুখে সরকার এখন অনেক নরম হয়েছে ।
তারা এখন এর সমাধান সুত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে । মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি এখন স্বগক্তি করে বলছে - কি হলো এটা ; কেমন যেন হয়ে গেল বিষয়টা !
এর আগে যেভাবে এশিয়া এনার্জির টাকা খেয়ে হোক আর না খেয়ে হোক ফুলবাড়ীতে বিডিআর দিয়ে হামলা চালিয়ে ৩ জনকে হত্যা করা হলো । আর এ ঘটনার পেছনে তাদের একটা ম্যানুয়াল ছিল । কোনো দেশের কয়লাখনি দখল করতে গেলে কিছু মানুষ মারতে হয় । এ ধরণের ঘটনা ইতিহাসে আছে ।
বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যেখানে বিনা বাঁধায় তেল - গ্যাস সাম্রাজ্যবাদীরা নিতে পেরেছে , মানুষের রক্তের বিনিময়ে এসব সম্পদ নিতে হয়েছে। আর ইতিহাসের ধারা থেকে তারা তাদের সেই মানুষ হত্যার ম্যানুয়াল প্রয়োগ করলো ফুলবাড়ীতে । কিন্তু তাতে তো বাংলাদেশের জনগণ আন্দোলন থেকে ক্ষ্যান্ত দেয়নি । তারা তো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন থেকে পিছনে ফিরে আসেনি । বর্তমানে আমাদের আন্দোলনের তো তেমন কিছুই হয়নি ।
সরকারের নির্যাতনের ফলে আমাদের এই আন্দোলনের গতি আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হবে ।
শেখ রেহেনা প্রধানমন্ত্রীকে যতোই পরামর্শ দিক মরিয়ার্টি যতই তাকে চাপ দিক তাকে তার ভবিষ্যত বুঝতে হবে। ভবিষ্যতে তার ক্ষমতায় আসার ইচ্ছে আছে এবং আবার তাকে এবং তার দলকে ক্ষমতায় আসতে হলে সেন্সেবলি চলতে হবে। আর যদি ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চায় বা আর না আসতে চায় সেক্ষেত্রে ডেসপারেটলি যা খুশী তাই করতে পারবে । যদিও রেহানা চাপ দিচ্ছে তার জন্যে কিছু করতে হবে আর মরিয়ার্টি বলছে আপনাকে তো বাঁচালাম মঈন ইউ আহমদের কাছ থেকে ।
তবে আমার মনে হয় ভবিষ্যতের জন্যে তার চিন্তা করে কাজ করা উচিত ।
সাক্ষাৎকারটি পড়ুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।