আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রসফায়ারের (পড়ুন গুলি করে হত্যার) সত্যিকার প্রেসনোটে কি সমস্যা?



[দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়িয়া যিনি পটল তুলেন, তিনিই ক্রসফায়ারে হত বলিয়া শাস্ত্রে সিদ্ধ। কিন্তু এই বঙ্গদেশে ইহা কদাচিত অর্ধসিদ্ধও নয়- ভাজাপোড়ার নিমিত্ত। ইংরেজি পত্রিকার এনকাউন্টার কিঙবা বাংলা পত্রিকার ক্রসফায়ারের নামে অস্ত্র তল্লাশীর সময় সহযোগী কতৃক আক্রান্ত হইয়া আসামীর মৃত্যু অথবা গোপন বৈঠকে পুলিশী হানার মুখে হামলা জাতীয় গৎবাধা বিবৃতি অনেক হইয়াছে। চলুন একখানা সত্যিকার প্রেসনোট পড়া যাক] রাত ১২টার সময় আসামী অমুককে লইয়া রাবের মাইক্রোবাসটি একটি নির্জন স্থানে থামে। দরজা খুলিয়া প্রথমে নামেন হাবিলদার তমুক।

ভিতরে বসা আসামীকে লাথি মারিয়া দরজা দিয়া মাটিতে ফেলেন সুবেদার তমুক। হাবিলদার তমুক তাহার চুলের মুঠি ধরিয়া দাড় করান। ড্রাইভারের পাশের দরজা খুলিয়া ক্যাপ্টেন অমুক নামিয়া আরমোড়া ভাঙ্গেন। তিনি নতুন হোলস্টার কিনিয়াছেন। আসামীর চোখ ভালো মতো বাধা কিনা দেখা হয় এবং হাতকড়া পিছনে লইয়া নতুন করিয়া বাধা হয়।

আসামীর ঠোট বাকা দেখিয়া বোঝা যায় সে কাদিতেছে। এর আগে সে বহু টাকাপয়সা সাধিয়াছে তার প্রাণ ভিক্ষা দিতে। কিন্তু রাষ্ট্রের সত কর্মচারীরা তাহাতে কান দেন নাই। ক্যাপ্টেন অমুক সবসময়ই লক্ষ্যভেদে ওস্তাদ বলিয়া তাহাকে শুরুতে গুলি করিতে দেওয়া হয় নাই। হাবিলদার তমুক ৫ফুট দূর হইতে ৩টি গুলি মিস করিয়া একটি গুলি আসামীর বাম বাহুতে বিদ্ধ করিতে সমর্থ হন।

সুবেদার অমুক দুইটি গুলি করেন। একটি আসামীর লুঙ্গির মধ্যে দিয়া মাটিতে বিদ্ধ হয়, অন্যটি পেটে। অত্পর ক্যাপ্টেন সাহেব তাহার অতুলনীয় দক্ষতায় যে তিনটি গুলি ছুড়েন তাহার তিনটিই আসামীর বক্ষস্থলে বিদ্ধ হয়। এর মধ্যে একটি সরাসরি হৃদপিন্ডে আঘাত হানে যা তাহার প্রাণনাশের কারণ। তবুও নিশ্চিত হইতে ক্যাপ্টেন তমুক আসামীর কানের পাশে ব্যারেল ঠেকাইয়া আরেকটি গুলি করেন।

এরপর হাবিলদার ও সুবাদার আসামীর বুকে আরো দুইটি গুলি করেন, এইবার তারা লক্ষ্য মিস করেন নাই। প্রকাশ থাকে আসামী দাগী ছিনতাইকারী অথবা সন্ত্রাসী অথবা চরমপন্থী অথবা জঙ্গী বলিয়া চিহ্নিত। মৃত্যুর পর তাহার পদবী অনুযায়ী লাশের পাশে একটি পাইপ গান অথবা একটি রিভলবার ও কিছু রাইফেলের গুলির খোসা অথবা একটি গাদা বন্দুক ও কিছু রিভলবারের গুলি অথবা একটি কাটা বন্দুক ও কয়েকটি এলএমজির গুলি ফেলিয়া রাখা হয়। এইসব আলামত পরবর্তীতে ব্যবহার করার জন্য এরপর যত্ন করিয়া প্যাকেটবন্দী করা হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.