আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুটিন করে পড়ালেখা হয়! আন্দোলন না!!!!

রাজ্য ছাড়া রাজা আন্দোলনের নতুন সময় তিনটা থেকে রাত ১০টা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে আজ শুক্রবার বিকেলে নতুন কর্মসূচি ও গৃহীত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: * শাহবাগে আন্দোলন কর্মসূচি চলবে প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। তবে কোনো বিশেষ প্রয়োজনে নোটিশ দেওয়া হলে দলে দলে প্রজন্ম চত্বরে আসার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। * আগামী রোববার সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন। * জেলা, গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে তোলা।

* যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে যেখানেই জামায়াতের নাশকতা দেখা যাবে, সেখানেই প্রতিরোধে মানবদুর্গ গড়ে তোলা। * চারদিকে সতর্ক নজরদারি ও সতর্ক দৃষ্টি রাখা। * দেশের সর্বত্র ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বয়কট করতে জনসংযোগ করা। বিকেল চারটা থেকে প্রজন্ম চত্বরে শুরু হয় সমাবেশ। সাড়ে পাঁচটার দিকে এসব নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার।

এ সময় তিনি বলেন, শাহবাগের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের মুখাপেক্ষী নয়। এ আন্দোলন জনগণের মুখাপেক্ষী। আন্দোলনে জনতার জয় অনিবার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় আন্দোলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বক্তব্য দেন। পিছু হটার সুযোগ নেই ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক বলেন, ‘আমাদের ডাকে সারা দেশ তিন মিনিটের জন্য উঠে দাঁড়িয়েছে।

কোটি কোটি মোমবাতি জ্বালিয়ে জনগণ সংহতি জানিয়েছে। এ সংগ্রাম থেকে পিছু হটে যাওয়ার উপায় নেই। লড়াই শুরু হয়েছে, লড়াই চলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না বিজয় আসে। ’ আন্দোলন দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে চলা শাহবাগের আন্দোলন দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে বলে মন্তব্য করেন ইমরান এইচ সরকার।

তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের অংশ। সব শহীদ পরিবার, শহীদ জননীর কাছে আমরা দায়বদ্ধ। আমরা নতুন জাগ্রত বাংলাদেশ। আমাদের আন্দোলন লক্ষ কোটি মানুষের গর্জন। সুবিচার ছাড়া আমরা কোনোভাবেই ঘরে ফিরতে পারি না।

আমরা কাঁদতে আসিনি। ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি। ’ যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুন সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন। তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিন। তিনি বলেন, মনে রাখবেন, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে উভয়েই অপরাধী।

গণমানুষের স্লোগান ‘জয় বাংলা’ আন্দোলনকারীদের পক্ষে ইমরান এইচ সরকার বলেন, জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের যে স্ফুলিঙ্গ গড়ে উঠেছে, তা দাবানল আকারে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। চূড়ান্ত বিজয়ের আগে প্রজন্ম চত্বরের স্লোগান কখনো থামবে না বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগানে আমাদের স্বাধীনতা এসেছিল। এই স্লোগান বাঙালির স্লোগান। সব দাবি আদায় হবে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ইমরান এইচ সরকার আরও বলেন, এর মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বাকি সব দাবিও একে একে পূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।