আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধুসর নষ্টালজিক ঈদ - ১ম পর্ব

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

সেই ঈদ আর আজকের ঈদ। ঈদ, ঈদের জায়গাতেই আছে। শুধু পাল্টেছে সময় আর সময়ের সাথে আমি পাল্টাতে না চাইলেও, আমাকে পাল্টানোর পুরো দোষ যে সময়ের, সেটা জোড় গলায় বলতেই পারি। আমি আমার জায়গায় থাকি।

আর সময়েই জন্যই সব হয় সৃত্মি, একটি সৃত্মির ভারে চাপা পড়ে আরেকটি সৃত্মি। আস্তে আস্তে পুরু থেকে পুরুতর হয়। সেই পুরু সৃত্মির এলবাম যখন হাতড়ে বেড়াই আনমনে তখন হয়ে উঠি নষ্টালজিক। ব্যথাতুর হৃদয় কেঁদে কয়, "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম"। তার মানে ধীরে ধীরে জীবনটা ফিকে হয়ে যাচ্ছে।

এই তো!! আমার কাছে ছোটবেলার ঈদগুলো আকর্ষনীয় ছিল তার কারণ হলো কয়েকটি দিন পড়তে বসতে হতো না। আর সেই সাথে ঈদের যতসামান্য সেলামী আর বাবা-মায়ের রক্তচক্ষুর কোন শাসন থাকতো না ঐ কয়েকটা দিন। ইচ্ছামত নিজেকে রাখা যেখানে যেমন। আমাদের সে সময়ে ঈদের সেলামীর পরিমান ছিল খুবই কম অন্ততঃ এখনকার তুলানায়। কি যেন? হয়ত আমার বেলাতে কম ছিল।

যেমন বড়জোড় পাঁচ টাকা অথবা একটা দশ টাকার নোট। ওটাই ছিল অনেক আনন্দের। আর এখন আমি সবাইকে সেলামী দেই সেই সময়ের তুলনায় অনেক বেশী। আর যারা দুরে আছে তাদেরকে মোবাইলে ফ্রেক্সিলোড করে টাকা পাঠিয়ে দেই। কারণ আজকালকাল ছেলেমেয়েদের মোবাইলে ব্যালেন্সটা খুব প্রয়োজন(!!)।

আর ক্ষেত্রবিশেষে যদি কাউকে না সেলামী দিতে পারি তবে তাদের কথা খোঁচা খেতে হয়। আমাদের সময়ে আমরা এত সাহস পাইনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।