আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসুখ

ইদানিং খুব ঘাস খাই আর নির্বোধ গরু হয়ে উঠার স্বপ্ন দেখি,বঙদেশে গরুদের জন্য সব লক্ষীই হাত পেতে আছে । রাষ্ট্র ও সমাজযন্ত্র যখন সংকরিত গরুর গোয়াল ।

এমন এক কালে যখন আমি বর্তমান আক্ষরিক অসুস্থতায় অসুখ করে কোনো মনবৈকল্যের পথ ধরে নয় কোনো দ্ব্যার্থবোধক আত্নচিন্তার অর্থহীন কোদাল খোড়ে না নিঃশব্দ গোড় খুলির ভেতরকার থ্যাতলানো ধূসর পদার্থমাঝে । আমার শুধু অসুখ করে,ডাক্তার,ওষুধ,প্রৌঢ়া নার্সের কামনাহীন হাত,নোংরা স্যাঁতস্যাঁতে বেডপ্যান নির্গত বর্জ্য যেখানে ফেনিল;ছন্দ গাঁথছে না মাথায় অথবা গাঁথেনি কোনোদিন,ছন্দ গাঁথছে না কলমে কালিটাও শেষের দিকে হাঁপড়ে মরছে বলপয়েন্ট নিব। আমি অসুস্থ কোনো মনরোগের জন্য নয়,কোনো স্বপ্নহীনআস্ফালনেরউপমাচর্চিত কবিতা নয়, শরীরটাই কাঁদছে মুচড়ে শরীরের কষ্টে ।

অথচ চোখটাই গেরিলা বিদ্রোহী,সে কাঁদছে কেঁপে কেঁপে বারবার বলশেভিক বন্দীর মত আচড় কেটে আটচালার সোভিয়েত দেয়ালে হিসেব করছে কি যেন,নিরন্তর,পারিসাংখ্যিক ট্যালি কেটে। চোখটা কাদছে না নিরন্তর স্নায়ুকষ্টে জান্তব অসুখে হয়ে পড়ছে তীব্র আপদ । ঘেন্নায় একদলা থুতু ছেটাতে চাই পৌরুষহীন চোখগুলোর দিকে, সুজনেষু কেউ কি নেই নিঃশ্বাসের ব্যাসার্ধে এই অথর্ব চোখগুলোর দন্ডবিধান করতে?চোখগুলো ঘিনঘিনে দুই শিং এর ক্রিশ্চিয়ান স্যাটান অথবা অথর্ব ফস্টাস । সে কেনো কাঁদে মুচড়ে কষ্টে নোনতা প্লাবনধর্মী কান্না?সে কেনো কাঁদে পরীর অতীতশব্দআক্রান্ত স্মৃতিকাতরভারে ন্ব্যুজ দিগন্তস্পর্শী চলে যাবার পথের দিকে তাকিয়ে?যে সময়ে অদৃশ্য সব রং এর আলোকিত স্বপ্ন ভাসত আমার সাধারনত্বের উপমাশব্দের চোখে। পরীটা বলত “কাছে আস না আরো কাছে,তোমার কানে ফুঁ দিয়ে দি?” “তোমার শার্টের বোতামগুলো যে কবে ছিড়বো!” “ঘুসি মেরে তোমার মুখটা ভোঁতা করে দিতে ইচ্ছা করে,এত ভালোবাসতে হয় না!” কানে উচ্চরক্তচাপজনিত কারন ব্যাতিত শোঁ শোঁ শব্দ নেই ভীষণ পরিপাটি আর বোতামওয়ালা আমার শার্ট শূন্য আমি পূর্ন আছি জান্তব বিভৎস যাতনার অসুখে ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।