পৃথিবীতে সবসময় দুটোজিনিস কাজ করে: লজিক আর এন্টিলজিক। হিমু কাজ করে এন্টিলজিক নিয়ে, মিসির আলি কাজ করে লজিক নিয়ে, আর আমি কাজ করি দুটো নিয়েই। আফসোস এই দুইটার একটা দিয়াও রহস্যকে ভেদ করা যায় না।
মহিলারা মনে করেন যে পুরুষদের সম্পর্কে সঠিক জানেন৷ অর্থাত হাসব্যান্ড বা প্রেমীক সম্পর্কে সব কিছু যানেন৷ আসলে তা নয়,বাস্তবে পুরুষদের অনেক সিক্রেট থাকে৷ আসুন আমরা আজ জানি যে পুরুষদের কি কি সিক্রেট থাকে :
* পুরুষদের মধ্যে ইগো ভীষন পরিমানে থাকে৷ তারা অন্তর থেকে নিজের দোষ অনুভব করতে পারে ঠিকই কিন্তু তারা প্রকাশ্যে থেকে কখনও স্বীকার করে না৷ তারা একই জায়গায় টিকে থাকে৷ সুতরাং তাদের ইগোতে কখনও আঘাত করা উচিত নয়৷ পুরুষদের সম্মান করুন৷ মহিলারা যদি পুরুষদের সম্মান করেন তাহলে একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় থাকে৷
* পুরুষদের স্মরণশক্তি ভীষণ তীব্র হয়৷ একথা চির সত্য৷ কিন্তু একটি বাস্তব সত্য যে তারা নিজের স্ত্রীর জন্মদিন, প্রিয় খাবার, প্রিয় পোশাকের রং, প্রিয় মিউজিক ইত্যাদি এসব ভুলে যায়৷ এসব ইচ্ছাকৃত করেন না৷ এই সকল বিষয় তাদের স্মরণ রাখা সম্ভব হয় না৷
* পুরুষরা কেবমাত্র নিউজ চ্যানেল, ক্রিকেট, ও স্পোর্টস চ্যানেল দেখতে বা তা সম্পর্কে আলোচনা করতে ভীষণ পছন্দ করেন৷ পারিবারিক বা ভাবনাত্মক টিভি সিরিয়াল যেমন ‘সাস-বহু’ এই ধরনের সিরিয়ালও পছন্দ করেন৷ কিন্তু পুরুষেরা তা কখনও জাহির করে না৷
* পুরুষেরা মিথ্যা কথা বলে ভীষণ ভাবে৷ এটি একটা সাধারণ ঘটনা৷ আসলে সে এমন করার কারনটা হল তার স্ত্রী বা প্রেমীকা খুশি থাকে৷ তাদের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি না হয়৷
* পুরুষেরাও মহিলাদের মতো অসুরক্ষিত মনে করেন নিজেদের৷ তারা নিজেদের মনের কথা খুলে বলতে পারে না৷ তাই তাদের অসুরক্ষিত হওয়ার ভাবনা বোঝা বড় মুশকিল ব্যাপার৷
* যখনই পুরুষদের কাছে মহিলারা কারও সম্পর্কে আলোচনা করছে বা শাড়ি, গহনা এসকল বিষয়ের কথা বলতে থাকে তখন পুরুষেরা সে কথা মন দিয়ে শোনেন না৷ কিন্তু তাদের বুদ্ধি রোবোটের মত কাজ করে তারা সব কথা শোনে না ঠিকই কিন্তু জবাব ঠিক দিতে থাকে৷
* পুরুষদের দোষ কখনওই তারা শুনতে প্রস্তুত থাকে না৷ তারা দোষ ত্রুটির কথা শুনতেও পছন্দ করেন না৷
* পুরুষেরা মহিলাদের মেকআপ, পোশাক, হেয়ার স্টাইল এই সবের উপরে কিছু সময় পর্যন্তই আকর্ষিত হয়৷ কিন্তু মহিলাদের ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসের উপরেই বেশী আকর্ষিত হয়৷
* পুরুষেরা শপিং করার সময়ে মহিলাদের মতো বেশী সময় নেয় না৷ তারা খুব অল্প সময়ে শপিং করে নেয়৷
* পুরুষেরা নিজের প্রেমিকা বা স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে অন্য মহিলার প্রতি দেখতে থাকে৷ এতে মহিলাদের কষ্ট পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই৷ কারণ পুরুষদের এটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি৷
* একটি বিশেষ কথা পুরুষদের বয়স যতই বৃদ্ধি পাক না কেন তারা মায়ের কাছে ছোটো শিশুর মত৷ তারা মায়ের কাছ থেকে আলাদা হতে চায় না৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।