আমি হাঁটছি। পায়ের নিচে অনন্ত এক পথ। এতো মেঘ আকাশে, যেনো কয়েকটা সমুদ্র উপুড় করে ফেলা হয়েছে। মেঘ কেবলই ঘন হয়ে জমছে, তাতে অস্তায়মান সূর্যের টকটকে রং, বস্তুত এতো ভীষণ বিষন্ন লাল আমি আর দেখি নি। ফলে হাঁটার গতি দিলেম বাড়িয়ে, প্রায় ছুটছি, অন্ধকার থেকে অন্ধকারের ভেতর দিয়ে অন্ধতম অনন্তের দিকে।
আমি হাঁটছি। পায়ের নিচে অনন্ত এক পথ, জন্মজন্মান্তের পদচিহ্ণ নিয়ে জলা প্রান্তর চিরে চলে গেছে একপ্রান্ত ইতিহাসরেখা। মনে হচ্ছে মাথার ভেতরে আরো এক পথ কিংবা এ পথেরই যাপিত দৈর্ঘ, কেনো এমন ভাবছি জানি না। আমি আসলে অনেক কিছুই কিংবা কোনো কিছুই জানি না। যেমন এই যে ছুটছি তার মানে কী অথবা 'ছুটছি' এ শব্দের সত্য কেননা যেতে হবে বোধটা মস্তিষ্কে কাজ করলেও নিশ্চিত নই যাচ্ছি না আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মাঝে মাঝে আশ্চর্য হই যখন মনে হয় বেঁচ আছি, কেননা জীবিত কেউই ছুটতে পারে বলে ভাবা হয়। কারা ভাবে? ওই যে সহস্র বছরের পানা-শেওলায় ঢাকা বিস্তীর্ণ জলাভূমি, তাতে এই ছুঁড়ে ফেললাম সমস্ত প্রশ্ন -- "জীবন আর মৃত্যু কেনো এতো অস্পষ্ট যে দু'টোতে তফাত করা যায় না" এইসব।
ঝিলটায় লাফিয়ে পড়ে আকাশ আর পৃথিবীর সমস্ত আয়োজন নস্যাৎ করে দিতে পারি, কিন্তু সেটি সঙ্গত কি না জানি না। বস্তুত আমি কিছুই জানি না কিংবা এটুকুই শুধু জানি যে আমি কিছুই জানি না। কী জানি কতো পথ সমুখে, আমি হাঁটছি।
মহাকাল, পথ আর পথিক নিয়ে কেউ একজন খেলছে। খেলাটা দেখে যাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।