অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!
গতকাল ২৭ তারিখে বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি একটা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। সে জন্য শেরাটনে একটি দোয়া মাহফিল, ইফতার আর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মাননীয় বিজ্ঞান প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
বিসিএস সভাপতি অনুষ্ঠানে যা জানিয়েছেন -
ক. এই স্মারকে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে,
খ. দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির জন্য একটি তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে,
গ. এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে
ঘ. কালিয়াকৈরের হাইটেক পার্কে এই প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার ৫ একর জমি বরাদ্দ করেছে
ঙ. দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এই জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে,
চ. এটি পাবলিক প্রাইভেট অংশিদারিত্বে চলবে।
তিনি আরো বলেছেন-
১. এই স্মারকটি মাত্র ১৪ দিনে মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করেছে,
২. কোরিয়ানদের সঙ্গে আলোচনার এক পর্যায়ে জনাব মোস্তফা জব্বার টেলিফোনে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সহায়তা চাইলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাতে রাজী হয়ে যান।
৩. এটি এই সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রথম পিপিপি চুক্তি।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শিল্পের চাহিদা মাফিক জনশক্তি তৈরি করছে না বলে দীর্ঘদিন ধরে একটি অভিযোগ সফটওয়্যার শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা করছেন। আশা করা যায়, তারা যেহেতু নিজেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবেন, সেহেতু এই দূরত্বটা এবার ঘুচবে। একাডমিয়া আর ইন্ডাস্ট্রির দূরত্ব কমাতে এই উদ্যোগটি ভাল হতে পারে।
আমি সব সময় সম্ভাবনা দেখি, মানুষের অমিত সম্ভাবনা। এবারও দেখছি।
বিসিএসের আর মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ সফল হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।