এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
ছবি: ইটালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি এবং স্ত্রী ভেরোনিকা লারিও।
রাজনীতির ময়দানে বেশ জনপ্রিয় ইটালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে একের পর এক স্ক্যান্ডালের খেসারত তাকে এবার দিতে হচ্ছে।
এমনিতেই কূটনৈতিক মহলে ইটালির প্রধানমন্ত্রীর দুর্নাম রয়েছে যে তিনি মাঝেমধ্যেই অসতর্ক উক্তি করে বসেন। কিন্তু তাঁর এই অসতর্কতা যে ব্যক্তি জীবনেও রয়েছে, সেটা বোধকরি আগে এভাবে জানাজানি হয়নি।
এর পরিণতি হিসেবে তার বর্তমান ও দ্বিতীয় স্ত্রী ভেরোনিকা লারিওর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ যে নিশ্চিত, তা বলা যায়। সম্প্রতি একটি আত্মজীবনী লিখেছেন ভেরোনিকা – যাতে তিনি তুলে ধরেছেন, কেন তিনি দীর্ঘ ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান চান।
দাম্পত্য জীবনের বাইরেও একের পর এক নারী সঙ্গ পেয়েছেন সিলভিও বার্লুসকোনি। এক পর্যায়ে স্বামীর এই অসততা টের পেয়ে যান ভেরোনিকা। গত এপ্রিল মাসে এক সন্ধ্যায় বার্লুসকোনি তাকে টেলিফোনে জানান, যে তাঁকে নেপলস যেতে হচ্ছে একটি জরুরী সভায় যোগ দেওয়ার জন্য।
কিন্তু পরে ফাঁস হয়ে যায় যে আসলে কোন জরুরী সভা নয় – সেটি ছিল ১৮ বছর বয়সী নোয়েমি লেটিজিয়ার জন্মদিনের পার্টি – যিনি মূলত মেয়েদের অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল। জন্মদিনের ওই পার্টিতে মডেল নোয়েমিকে ছয় হাজার ইউরো দামের একটি নেকলেসও উপহার দেন বার্লুসকোনি। এই ধরণের অনেক ঘটনা স্ত্রীর কাছে লুকিয়েছেন বার্লুসকোনি, যা উঠে এসেছে ভেরোনিকার কথায়। এই ব্যাপারে ভেরোনিকা বলেন, ‘‘আমি মনে করি, আমার আর কোন উপায় ছিল না বিচ্ছেদ ছাড়া। যদি আমি এটা মেনে নেই, তাহলে সে আবার আমার কাছে মিথ্যা কথা বলবে।
'' এই ঘটনার পর ৪ঠা মে বিচ্ছেদের দাবি তোলেন ভেরোনিকা। এছাড়া এসব বিষয় নিয়ে একটি আত্মজীবনী প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন ভেরোনিকা। কথা বলেন সাংবাদিক মারিয়া লাটেলার সঙ্গে। তবে এর মধ্যেই আবার নতুন স্ক্যান্ডাল। এবার প্যাট্রিসিয়া দাদ্দারিও নামে এক পতিতার স্বীকারোক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী বার্লুসকোনির সঙ্গে তার রাত কাটানোর কাহিনী।
ছবি: অষ্টাদশী মডেল নোয়েমি লেটিজিয়া।
ভেরোনিকা ট্রেন্ড নামে এই আত্মজীবনীতে ভেরোনিকা আরো বলেছেন, অন্য নারীদের প্রতি তাঁর স্বামীর আচার আচরণ তিনি অনেক সহ্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি পথের শেষ প্রান্তে এসে দাড়িয়েছি। ১০ বছর আগেও আমি এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তবে আমি এখন এই লোককে ছেড়ে যাচ্ছি।
'' তিনি বার্লুসকোনিকে বিশ্বের সামনে হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেছেন।
সিলভিও বার্লুসকোনি এবং ভেরোনিকা লারিওর প্রথম সাক্ষাত হয় ১৯৮০ সালে। সেই থেকে প্রেম, চলে দীর্ঘ ১০ বছর। এর মধ্যে তিন সন্তানের জন্মও দেন ভেরোনিকা। এরপর ১৯৯০ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।
দীর্ঘ ২৯ বছরের সম্পর্কে প্রেমিক ও স্বামী বার্লুসকোনির উত্থান দেখেছেন তিনি। পতনটাও নিজ চোখে দেখছেন। ‘‘যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে কষ্ট দেয়, তা হলো বার্লুসকোনির মত মানুষ কিভাবে নিজেকে প্রতারণা করতে পারে?'' আক্ষেপ ভেরোনিকার। ‘‘সে অনেক কিছু করেছে, অনেককে জয় করেছে অথচ এখন মানুষ এমন কিছু নিয়ে কথা বলছে যা তার এসব অর্জনকে ভুলিয়ে দিয়েছে। ''
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।