কুড়াই প্রহরব্যেপে স্মৃতিলগ্ন ধূলি
প্রবেশিকা: ঢাকা শহরে সিঙ্গেল মানুষের বাসা ভাড়া পাওয়া যে কতো কষ্টকর তা ভুক্তভোগী মাত্রেরই জানা। এ অভাগাকেও সে কারণে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। একবার বাসা খুঁজতে খুঁজতে হয়রান। শেষমেশ এক ফ্ল্যাটবাড়িতে একটা ফ্যামিলির সঙ্গে সাবলেট থাকার সুযোগ মিললো। আগে একটা ছোট ফ্যামিলি থাকতো।
ওরা চলে গেছে। ওরকম ঝামেলাহীন আরেকটা ফ্যামিলি সময়মতো পাওয়া না যাওয়ায় আমার ভাগ্য প্রসন্ন হলো। যা হোক, বাসায় ঊঠলাম। বেশ ক'দিন পর রুমের বন্ধ করে রাখা দরোজাটার নিচে কাগজমতো কী একটা চোখে পড়লো। কী মনে করে ওটা বের করলাম।
ধুলোবালি ঝেড়ে খুলে দেখি একটা ডেয়েরির ছেঁড়া পাতা। মেয়েলি হাতের লেখা। ওপরে তারিখ ২৭/৯/২০০২। শেষ 'দুই'টির ওপর ক্রস দেয়া। লেখাটি পড়ে আমার মনে কেমন জানি ঔৎসুক্য জেগেছিলো।
ঔৎসুক্যটুকু শেয়ার করতে এখানে লেখাটা কবিতার মতো করে তুলে দিলাম।
অবশেষে আমি পেলাম, আর পেয়ে বুঝলাম
যারা পেয়েছে তারা পায়নি।
কিভাবে মানুষ কী ভাবে, কী কী ভাবে!
আমি একথা কাঊকে বলতে পারবো না, না!
আসলে আমি কি বলতে পারবো
নগরীর এ ব্যস্ত সড়কে এতো এতো মানষের ভিড়ে
একটা সিএনজি কিভাবে তিন তিনবার
নভোযান হয়ে ঘুরে এলো মহাকাশ?
প্রতিটি ঊড়ালে দূর থেকে বহুদূর...
আশ্চর্য, সত্যিই তো মহাবিশ্ব বাড়ন্ত!
হাবল ছাড়াই বোঝা যায়।
শেষে একটা উড়ন্ত বেলুনের মতো
মাটি ছুঁয়ে সিএনজিটা মৃদু লাফাচ্ছে
আর আমি তার ভেতর একমুঠো ফুরফুরে হাওয়া!
কই একথা তো ওরা কেউ বলেনি আগে?
একদিন এমন হোক কতদিন চেয়েছি!
অথচ কালের শেয়াল আমাকে বারবাবর
একই মুখ দেখিয়েছে।
যে পায় সে ছাড়া আর কেউ
কিভাবে জানবে কি পেয়েছে সে?
তবে না পাওয়ার যন্ত্রণাটা পোড়াতো খুব
দগ্ধ প্রাণে ছিলে তবু পাওয়ার প্রবল আকুতি
তাই মাঝে মাঝে বর্ণনায় এঁকেছি
অপ্রাপ্তির সকরুণ সবাকচিত্র--
হাপরের মতো হয়ে যেতো মুখটা
আর সেলুলয়েড ফুরাতেই চাইতো না
বলতে বলতে শিউরে ঊঠতাম
চোখের সামনে একটা আগুনমুখো
ড্রাগনের ছবি জ্বল জ্বল করতো।
তবে, আজ করজোড়ে ক্ষমা চাই
কী পেয়েছি আমাকে জিজ্ঞেস করো না।
টিকা: এই আপাত-বিক্ষিপ্ত অনুভূতি কিংবা তার শাব্দিক অনুবাদ একের।
অতএব, বহুর প্রবেশ অনেকটা অসম্ভবই মানি। তবে এক একে বহুর হতেও পারে। কী জানি!
পুনশ্চ: মূল লেখাটা আর আমার কাছে নেই।
মানে কম্পোজের পর প্রয়োজন নেই মনে করে ফেলে দিয়েছি। পরে দেখি কাজটা ঠিক হয়নি।
ঊল্লেখ্য, সংযুক্ত টিকা অবশ্য মূল কপিতেই ছিলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।