আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডায়েরির খন্ডচিত্র - কাঁচা হাতের লেখা

মাঝে মাঝে মনে হয়, সকালে উঠে ব্লগ খুলে দেখব আমি হিট ব্লগার হয়ে গেছি । সকালের স্বপ্ন পুরন না হওয়াই ভালো সবাই বলে, আমি ফ্রেন্ডলি না, বন্ধুদের সময় দেইনা, আড্ডা দেই না। অভিযোগ সত্য। কোন অদ্ভূত কারনে, আড্ডা দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। ক্লাসে গোলমাল হত, চুপ করে দেখতাম কে কি বলছে, মাঝে মাঝে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করতাম এবং ব্যর্থ হতাম।

অদ্ভূত এক গা-শিহরন অনুভূতি হত, মনে হত চারপাশের সময় থেমে গেছে , আমি অতি সুক্ষ্মভাবে সবাই কে পর্যবেক্ষন করছি। হঠাত্‍ স্যার আসে । চিন্তার সুতো কেটে যায়, আবার ব্যস্ত হয়ে পরি। জানি না, কেউ হয়ত বোঝে কি না- ক্লাস এর প্রতি কত মায়া-মমতা। পড়াশুনার জন্য না, সবার হাসি মুখ দেখছি, এতেই আনন্দ।

ছোটবেলা থেকেই একা বড় হয়েছি। পাড়ার ছেলেরা খেলতে নিত না। দূর থেকে ওদের খেলা দেখ্তাম। কখন হয়ত বল আমাদের বাসায় আসলে, কেউ নিতে আসত। উত্‍সুক চোখে তাকাতাম, আবার তারা দূরে চলে যেত।

তখন থেকে দূর থেকে দেখা অভ্যাস হয়ে গেছে। সবাই স্যার না আসলে, স্কুল পালাতে চাইত। আমারো ইচ্ছে হত, আজকে ক্লাস না করি । দুই একদিন স্কুল পালাইলাম। কিন্তু দেখি, স্কুল থেকে ফিরে বাসায় কিছু করার নাই।

তখন থেকে জোর-জবস্তি করলেও, স্কুল পালাতাম না। মুখে বলতাম- আজকে এক্সাম আছে, আর স্কুল পালাবি ! মনে মনে বলতাম, তোদের ছাড়া ভাল লাগে না রে। ক্লাস-এ অনেকেই আমাকে অপছন্দ করত, পিছনে লাগার চেস্টা করত। ভাল করেই জানত, সায়েম কে কিছু বললে কেউ এগিয়ে আসবে না। সায়েম, একাই আবার কি করবে, একটা ঝাপর দিলেই চুপ।

আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম, আমার আশে-পাশে কতজন আছে, যারা আমাকে ভালবাসে! স্কুল জীবনের প্রতি নিরাসক্ত ভালবাসা, কখন জোর গলায় দেখাই নি, ভিতরে ভিতরে লালন করি। যেদিন স্কুল লাইফ শেষ হয়, অনেকের চোখে পানি দেখেছিলাম…আমি আমার চোখ ছুয়ে দেখি.…আমার চোখ শুকনো কেন…!…"""_। _ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.