আমি বাংলার গান গাই আমি বাংলায় গান গাই আমি আমার আমাকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই
বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলের একটি বিশেষ দুর্বলতা ছিল বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। সে সময় সাধারণ মানুশষের পক্ষে বাজারে প্রবেশ করা যতনা ছিল বিরক্তিকর তার চেয়ে বেশি ছিল যন্ত্রণাদায়ক। বিশেষ করে সাধারণ মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় সেইসব মানুষের পক্ষে বাজারদরের সাথে পাল্লা দেওয়া ছিল দুঃস্বাধ্য। এমনও দেখা গেছে যে, বাজারে প্রবেশ করে টাকার সাথে পেরে উঠতে না পেরে নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ কাঁদতে কাঁদতে বাজার থেকে বের হয়ে আসছেন। সন্তান-সন্ততির মুখে সামান্য রোজগারে কিছু তুলে দেওয়া যাবে কি না সেটি চিন্তা করে মানুষের সেই যন্ত্রণা বিবেকবান মানুষকে সে সময় বেশ নাড়া দিয়েছিল।
আজকের বাজার পরিস্থিতর সাথে তত্বাবধায়ক সরকারের সেই সময়ের পরিস্থিতির তুলনাটা স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে।
আর মাত্র কয়েকদি পর পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। আর এই পবিত্র মাসকে সামনে রেখে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা শুরু করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরকার এবং তার বাণিজ্য মন্ত্রীর বক্তব্য, আহবানকে থোড়াই কেয়ার করে দিনের পর দিন পণের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। রিকশাওয়ালা, ঠেলাচালক, মুটে, মজুরসহ নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ বাজারে দ্রব্যের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বারবার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে হুমকি প্রদান করে বলছেন, অনৈতিকভাবে যে বা যারা বাজার পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক করবে সরকার তাদের বরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকার সেটা চায় না। আর চায়না বলেই বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের কাছে আহবান জানিয়ে বলেছেন, তারা যেন নজেরাই এই অনৈতিক পথ থেকে সরে আসেন। একই কথা বলেছেন এফবিসিসিআই এর সভাপতি আনিসুল হকও।
কিন্তু, কে শোনে কার কথা! সাধারণ মানুষ এবং তার আচার উৎসবকে পুঁজি করে অধিক মুনাফা লাভের যে লালসা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দানা বেধেছে তা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারছে না বলেই মনে হয়।
আর এটি থেকে ব্যবসায়ীরা বের হয়ে আসতে না পারলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না, মানুষের দুর্দশাও লাঘব হবে না। এর থেকে পরিত্রাণের পথ কি এখন সেটিই দেখার বিষয়। আমরা, আমজনতা বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ চাই। যেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।