আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুখোশ উন্মোচন: পিয়াস করিমকে চিনছইন?

জামায়াত-শিবির অনুরাগী ‘বুদ্ধিজীবী’ পিয়াস করিমকে সারাদেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার প্রজন্ম চত্বর থেকে আন্দোলনকারীরা এই কথিত বুদ্ধিজীবীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, শুধু পিয়াস করিমই নয় যেসব বুদ্ধিজীবী বিভিন্ন টিভি টকশোতে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে প্রতিনিয়ত বক্তব্য দিয়ে আসছেন তাঁরাও ’৭১-এর অপরাধে সমঅপরাধী। সারাদেশ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জেগে উঠেছে তখন কথিত এসব বুদ্ধিজীবীর কর্মকা-ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে এ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের সদস্যরা। প্রজন্ম চত্বরে শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এফ এম শাহিন বুধবার জনকণ্ঠকে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।

এই আন্দোলনে সারাদেশের মানুষ শামিল হয়েছে। এর বাইরে রয়েছেন গুটিকয়েক মানুষ যাঁদের অনেকেই চেনেন। এরা নানাভাবে জামায়াত-শিবির এবং যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চাইছেন। পিয়াস করিম তাঁদের অন্যতম। সম্প্রতি অংশ নেয়া সব টকশোতেই তিনি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করেছেন আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি এসব বুদ্ধিজীবীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।

তিনি বলেন, এরাও ’৭১-এর দোষে দোষী। এদিকে বুধবার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু প্রজন্ম চত্বরে ঘোষণা দেন দৈনিক নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন, সংগ্রাম এবং আমার দেশসহ সকল জামায়াতী প্রচার মাধ্যমে যে সব ব্যক্তি টকশো বা কলাম লেখেন তাদের শাহবাগে অবাঞ্ছিত করা হলো। এদের শাহবাগে কোন প্রয়োজন নেই। তিনি দেশের বিবেকবান মানুষকে এসব মাধ্যমে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, যেসব বৃদ্ধিজীবী টিভি টকশোতে জামায়াত বিএনপির পক্ষ নেয় তাদের মধ্যে পিয়াস করিম নগ্নভাবে যুদ্ধাপরাধী এবং জামায়াত শিবিরের পক্ষে কথা বলেন।

সব ক্ষেত্রেই তিনি আলোচকদের কথা কেড়ে নিয়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিতে গিয়ে কৌশলে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেন। তাঁদের রাজনীতির বৈধতার পাশাপাশি ’৭১-এ জামায়াত-শিবিরের কর্মকা- সমর্থন করেন। শুরুর দিকে কথিত এই বৃদ্ধিজীবী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন নিয়ে বিভিন্ন টকশো মাতালেও এখন তিনি প্রায়ই জামায়াত-শিবিরের সমর্থনে কাজ করছেন। আন্দোলনকারীদের মতে, দিগন্ত টেলিভিশনে একটি নিয়মিত টকশোতে সঞ্চালক হিসেবে দেখা যায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক রণাঙ্গনের বীর সৈনিক বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমকে। তিনি ওই টকশোতে সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই শাহবাগ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের এই জামায়াত প্রীতিতে আমরা বিস্মিত। যেখানে তার উচিত ছিল আমাদের নতুন প্রজন্মকে পথ দেখানো সেখানে আমাদের বিভ্রান্ত করার অর্থ খুঁজে পাই না। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে টানা নয়দিন ধরে আন্দোলন চললেও এই বীর মুক্তিযোদ্ধা একবারও সংহতি প্রকাশ করতে আসেননি। আন্দোলনকারীরা বলছেন, কাদের সিদ্দিকী জামায়াতের অর্থে তাঁর রাজনীতি পরিচালনা করছেন। এ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের সদস্য তন্ময় আহমেদ বেসরকারী টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে তথাকথিত এসব বুদ্ধিজীবীকে পরিত্যাগ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এঁরা জাতিকে বিভ্রান্তিতে ফেলেন। এঁরা ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছেন। এঁদের কেউ কেউ বলছেন, শাহবাগের আন্দোলনকারীরা ইতিহাস জানে না। কথিত ওসব বুদ্ধিজীবীকে শাহবাগে আহ্বান জানিয়ে তন্ময় বলেন, এখানে এলে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস জেনে যাবেন। কিন্তু তারা আসবে না, কারণ তারা বর্ণচোরা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।